নিজস্ব প্রতিবেদক
একসময় গরীবদের রক্ত চুষে খেয়েছেন। এবার প্রতারণা করছেন দেশের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে। এই প্রতারক হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সমালোচকদের মতে, ইউনূসের উদ্ভাবিত ক্ষুদ্রঋণ অনেক সময় দরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত না করে বরং ঋণের দুষ্টচক্রে আবদ্ধ করে রাখে।
এবার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর তার প্রতারণা বুঝতে পেরে এখন অনেকেই মুখ খুলছেন। সবচেয়ে বেশি সোচ্চার বিএনপি। তবে অন্য দলগুলো পিছিয়ে নেই।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগকর্তারাও এখন বলছেন, তাঁরা প্রতারিত। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিন।
নির্বাচন বানচালে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার সতর্কবার্তা নিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যখন এ রকম হামলার কথা বলেন তখন তার মানে আরও অনেক বড় কিছু ইঙ্গিত করেন তিনি।…উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেন আরও বড় শক্তি, যে শক্তির কাছে আশ্রয় দিয়েছেন আমাদের পরাজিত শক্তি অথবা যাদের সাথে গাঁটছড়া বাঁধে আরও বিশ্বের বড় বড় মোড়ল শক্তি।’
এর আগে গত জুনে মান্নাই বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।
এদিকে ইউনূসের চালে পড়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছিল বিএনপি। এখন দলটি দেয়ালে তাদের মাথা ঠুকছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপিকে মাইনাস করতেই ওই সনদে দলটিকে স্বাক্ষর করিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে সবশেষ এক অনুষ্ঠানে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণকে বোকা বানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ছাড়া অন্য সব দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জামায়াত, এনসিপিকে গুরুত্ব দিয়ে অন্যান্য দলের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তার এ কথার প্রমাণ পাওয়া যায় জামায়াত নেতা তাহেরের কথায়। তিনি বুধবার মগবাজারে দলের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ঠিক সময়ে না হলেও গণভোট আগে দিতে হবে।
সূত্র বলছে, ভোট নিয়ে সরকার গড়িমসি করলেও জুলাই সনদ নিয়ে ব্যাপক তৎপর সরকার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, আগামী সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি প্রথম ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো এই সময়ের মধ্যে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করবে।
অর্থাৎ তারা যেসব প্রস্তাব রেখে যাচ্ছে তা যে রাজনৈতিক দলই আসুক তারই মেনে চলতে হবে। কারণ এ গণভোট লোক দেখানো ভোট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা আরও বলছেন, ইউনূসই নানাভাবে অপ্রাসঙ্গিক করে নির্বাচন বানচাল করাতে চাইছে। কখনও দেশকে অস্থিতিশীল করে আবার কখনও তার পছন্দের দল এনসিপিকে দিয়ে গোলযোগ তৈরি করে।
