Thursday, November 6, 2025

১১ নভেম্বর থেকে দেশ ডুবে যাচ্ছে লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে, দায় কার?

আদানি পাওয়ার চিঠি দিয়েছে। ১০ তারিখের মধ্যে টাকা না দিলে ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ। এই খবরটা শুনে প্রথমে মনে হলো হয়তো কোনো হিসাবের গোলমাল আছে। কিন্তু চিঠিতে পরিষ্কার লেখা আছে – ৪৯৬ মিলিয়ন ডলার বাকি, যার মধ্যে ২৬২ মিলিয়ন ডলার তো বিপিডিবি নিজেই মানছে যে দিতে হবে। মানে এখানে কোনো বিতর্ক নাই, ঝগড়াঝাটি নাই। সোজা কথা – পাওনা আছে, দিচ্ছে না।

এখন কথা হলো, টাকা নাই কেন? মাসের পর মাস তো বিদ্যুতের বিল উঠছে মানুষের ঘর থেকে। বিল না দিলে কানেকশন কেটে দেয়। দুই মাস বাকি রাখলে মামলা ঠুকে দেয়। সেই বিপিডিবির কাছে এখন পাওনাদারদের দেওয়ার টাকা নাই? আরে ভাই, গত তিন মাসে কতবার দাম বাড়ানো হলো? ভ্যাট বাড়লো, ট্যাক্স বাড়লো, সারচার্জ বাড়লো। সব বাড়ছে শুধু বাড়ছেই। তাহলে সেই টাকাগুলা গেলো কোথায়?

জুলাই মাসের আগে তো এরকম শোনা যায় নাই। গত পনের বছরে বিদ্যুৎ নিয়ে যত সমস্যাই থাকুক, আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে পাওনা দেওয়া নিয়ে এই ধরনের সংকট হয় নাই। এখন হঠাৎ করে কী হলো? কোন জাদুর কাঠিতে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ফাঁকা হয়ে গেলো? নাকি ফাঁকা করা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে কে?

দেশ চালানোর নামে যা চলছে, সেটা তো ভাবলেই মাথা ঘুরে যায়। একদিকে জনগণের কাছ থেকে টাকা তুলছে নিয়ম করে, অন্যদিকে যাদের পাওনা তাদের দিচ্ছে না। এই দুইয়ের মাঝখানে টাকাটা কোথায় যাচ্ছে? এই হিসাবটা তো স্বচ্ছ হওয়া দরকার। কিন্তু স্বচ্ছতা আসবে কোত্থেকে যখন যারা বসে আছে তাদের নিজেদেরই কোনো বৈধতা নাই?

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ইউনুস সাহেব আর তার দলবল তো বিদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ঘুরে। দেশে কিছু হলে উড়োজাহাজে চেপে চলে যাবে। কিন্তু এখানে যে লাখ লাখ মানুষ আছে, কারখানা চালাতে হয়, ব্যবসা চালাতে হয়, অসুখ-বিসুখে হাসপাতালে বিদ্যুৎ লাগে, তাদের কী হবে? তারা তো আর জার্মানি বা আমেরিকা চলে যেতে পারবে না। তাদের তো এই মাটিতেই থাকতে হবে, অন্ধকারে বসে থাকতে হবে।

আদানির কথায় আসি। চিঠিতে লেখা আছে বারবার চেয়েছে, কিন্তু পায় নাই। এখন শেষ সতর্কতা দিয়েছে। এটা তো কোনো অন্যায় দাবি না। ২০১৭ সালে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তি অনুযায়ী পাওনা চাইছে। এতে দোষের কী আছে? দোষ তো তাদের যারা চুক্তি মানছে না। আর এই চুক্তি ভাঙার পরিণতি কী হবে সেটা কি ভেবে দেখা হয়েছে? একবার যদি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেখে যে বাংলাদেশ চুক্তি মানে না, তাহলে আর কে আসবে এখানে?

জুলাই মাসে যারা রাস্তায় নেমেছিল, তাদের সবাই তো এই দিন দেখার জন্য আন্দোলন করে নাই। তারা হয়তো চেয়েছিল একটা ভালো পরিবর্তন। কিন্তু পেয়েছে কী? অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, দাম বাড়ছে প্রতিদিন, এখন বিদ্যুৎ যাওয়ার খবর। এই কি সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ? যে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের কথা বলার কেউ নাই, যেখানে শুধু লুটপাট আর অব্যবস্থাপনা চলে?

টাকা আসছে কিন্তু যাচ্ছে কোথায় সেটা তো কেউ বলছে না। প্রতি মাসে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদ্যুতের বিল বাবদ উঠছে। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে দেওয়া হচ্ছে না কেন? মাঝখানে কোথাও তো ফুটো আছে। সেই ফুটো বন্ধ করার দায়িত্ব কার? যারা ক্ষমতায় বসে আছে তাদের তো এই হিসাব দেওয়া উচিত। কিন্তু হিসাব দেবে কে যখন জবাবদিহিতার কোনো ব্যবস্থাই নাই?

এখন যদি ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কারখানা বন্ধ হবে, ব্যবসা বন্ধ হবে, মানুষের জীবন অচল হয়ে যাবে। কিন্তু ইউনুস সাহেবের অফিসে তো জেনারেটর চলবে। তার গাড়িতে এসি চলবে। তার বাসায় আলো জ্বলবে। সমস্যা হবে শুধু সাধারণ মানুষের। যারা সারাদিন খেটে রাতে বাসায় গিয়ে একটু শান্তিতে থাকতে চায়, তাদের। যারা ছোট দোকান চালায়, ছোট ব্যবসা করে, তাদের।

বাংলাদেশের মানুষ কি এতটাই অসহায় যে তাদের পকেট থেকে টাকা তুলে নিয়ে সেই টাকার হিসাব পর্যন্ত দেওয়া হবে না? এটা কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা? লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া আর সাধারণ মানুষকে অন্ধকারে ফেলে দেওয়া – এই তো নীতি? জনগণের টাকায় বিলাসবহুল জীবন যাপন করা আর জনগণকে কষ্টে ফেলে দেওয়া – এই তো দায়িত্ব?

আদানির এই চিঠি আসলে একটা বড় সমস্যার ছোট একটা নমুনা মাত্র। রাষ্ট্রযন্ত্র যেভাবে চলছে, সেখানে আরও কত জায়গায় কত টাকা বাকি পড়ে আছে কে জানে। আরও কত আন্তর্জাতিক চুক্তি ভাঙা হচ্ছে কে জানে। কিন্তু এসবের মাশুল দিতে হবে দেশের সাধারণ মানুষকে। যারা দায়ী তারা তো নিরাপদে থাকবে তাদের বিদেশি পাসপোর্ট আর বিদেশি ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে।

আদানি পাওয়ার চিঠি দিয়েছে। ১০ তারিখের মধ্যে টাকা না দিলে ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ। এই খবরটা শুনে প্রথমে মনে হলো হয়তো কোনো হিসাবের গোলমাল আছে। কিন্তু চিঠিতে পরিষ্কার লেখা আছে – ৪৯৬ মিলিয়ন ডলার বাকি, যার মধ্যে ২৬২ মিলিয়ন ডলার তো বিপিডিবি নিজেই মানছে যে দিতে হবে। মানে এখানে কোনো বিতর্ক নাই, ঝগড়াঝাটি নাই। সোজা কথা – পাওনা আছে, দিচ্ছে না।

এখন কথা হলো, টাকা নাই কেন? মাসের পর মাস তো বিদ্যুতের বিল উঠছে মানুষের ঘর থেকে। বিল না দিলে কানেকশন কেটে দেয়। দুই মাস বাকি রাখলে মামলা ঠুকে দেয়। সেই বিপিডিবির কাছে এখন পাওনাদারদের দেওয়ার টাকা নাই? আরে ভাই, গত তিন মাসে কতবার দাম বাড়ানো হলো? ভ্যাট বাড়লো, ট্যাক্স বাড়লো, সারচার্জ বাড়লো। সব বাড়ছে শুধু বাড়ছেই। তাহলে সেই টাকাগুলা গেলো কোথায়?

জুলাই মাসের আগে তো এরকম শোনা যায় নাই। গত পনের বছরে বিদ্যুৎ নিয়ে যত সমস্যাই থাকুক, আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে পাওনা দেওয়া নিয়ে এই ধরনের সংকট হয় নাই। এখন হঠাৎ করে কী হলো? কোন জাদুর কাঠিতে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ফাঁকা হয়ে গেলো? নাকি ফাঁকা করা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে কে?

দেশ চালানোর নামে যা চলছে, সেটা তো ভাবলেই মাথা ঘুরে যায়। একদিকে জনগণের কাছ থেকে টাকা তুলছে নিয়ম করে, অন্যদিকে যাদের পাওনা তাদের দিচ্ছে না। এই দুইয়ের মাঝখানে টাকাটা কোথায় যাচ্ছে? এই হিসাবটা তো স্বচ্ছ হওয়া দরকার। কিন্তু স্বচ্ছতা আসবে কোত্থেকে যখন যারা বসে আছে তাদের নিজেদেরই কোনো বৈধতা নাই?

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ইউনুস সাহেব আর তার দলবল তো বিদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ঘুরে। দেশে কিছু হলে উড়োজাহাজে চেপে চলে যাবে। কিন্তু এখানে যে লাখ লাখ মানুষ আছে, কারখানা চালাতে হয়, ব্যবসা চালাতে হয়, অসুখ-বিসুখে হাসপাতালে বিদ্যুৎ লাগে, তাদের কী হবে? তারা তো আর জার্মানি বা আমেরিকা চলে যেতে পারবে না। তাদের তো এই মাটিতেই থাকতে হবে, অন্ধকারে বসে থাকতে হবে।

আদানির কথায় আসি। চিঠিতে লেখা আছে বারবার চেয়েছে, কিন্তু পায় নাই। এখন শেষ সতর্কতা দিয়েছে। এটা তো কোনো অন্যায় দাবি না। ২০১৭ সালে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তি অনুযায়ী পাওনা চাইছে। এতে দোষের কী আছে? দোষ তো তাদের যারা চুক্তি মানছে না। আর এই চুক্তি ভাঙার পরিণতি কী হবে সেটা কি ভেবে দেখা হয়েছে? একবার যদি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেখে যে বাংলাদেশ চুক্তি মানে না, তাহলে আর কে আসবে এখানে?

জুলাই মাসে যারা রাস্তায় নেমেছিল, তাদের সবাই তো এই দিন দেখার জন্য আন্দোলন করে নাই। তারা হয়তো চেয়েছিল একটা ভালো পরিবর্তন। কিন্তু পেয়েছে কী? অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, দাম বাড়ছে প্রতিদিন, এখন বিদ্যুৎ যাওয়ার খবর। এই কি সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ? যে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের কথা বলার কেউ নাই, যেখানে শুধু লুটপাট আর অব্যবস্থাপনা চলে?

টাকা আসছে কিন্তু যাচ্ছে কোথায় সেটা তো কেউ বলছে না। প্রতি মাসে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদ্যুতের বিল বাবদ উঠছে। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে দেওয়া হচ্ছে না কেন? মাঝখানে কোথাও তো ফুটো আছে। সেই ফুটো বন্ধ করার দায়িত্ব কার? যারা ক্ষমতায় বসে আছে তাদের তো এই হিসাব দেওয়া উচিত। কিন্তু হিসাব দেবে কে যখন জবাবদিহিতার কোনো ব্যবস্থাই নাই?

এখন যদি ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কারখানা বন্ধ হবে, ব্যবসা বন্ধ হবে, মানুষের জীবন অচল হয়ে যাবে। কিন্তু ইউনুস সাহেবের অফিসে তো জেনারেটর চলবে। তার গাড়িতে এসি চলবে। তার বাসায় আলো জ্বলবে। সমস্যা হবে শুধু সাধারণ মানুষের। যারা সারাদিন খেটে রাতে বাসায় গিয়ে একটু শান্তিতে থাকতে চায়, তাদের। যারা ছোট দোকান চালায়, ছোট ব্যবসা করে, তাদের।

বাংলাদেশের মানুষ কি এতটাই অসহায় যে তাদের পকেট থেকে টাকা তুলে নিয়ে সেই টাকার হিসাব পর্যন্ত দেওয়া হবে না? এটা কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা? লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া আর সাধারণ মানুষকে অন্ধকারে ফেলে দেওয়া – এই তো নীতি? জনগণের টাকায় বিলাসবহুল জীবন যাপন করা আর জনগণকে কষ্টে ফেলে দেওয়া – এই তো দায়িত্ব?

আদানির এই চিঠি আসলে একটা বড় সমস্যার ছোট একটা নমুনা মাত্র। রাষ্ট্রযন্ত্র যেভাবে চলছে, সেখানে আরও কত জায়গায় কত টাকা বাকি পড়ে আছে কে জানে। আরও কত আন্তর্জাতিক চুক্তি ভাঙা হচ্ছে কে জানে। কিন্তু এসবের মাশুল দিতে হবে দেশের সাধারণ মানুষকে। যারা দায়ী তারা তো নিরাপদে থাকবে তাদের বিদেশি পাসপোর্ট আর বিদেশি ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ