Thursday, November 6, 2025

কীভাবে শেখ হাসিনা বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জনগণকে একত্রিত করেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬টি অসাধারণ বছর ধরে বাংলাদেশ এক স্বপ্নের অধীনে বিকশিত হয়েছে — ঐক্য, মর্যাদা ও সাংস্কৃতিক গর্বের স্বপ্ন। এটি ছিল শেখ হাসিনার লালিত স্বপ্ন। তিনি বিশ্বাস করতেন, একটি জাতির প্রকৃত শক্তি তার অর্থনীতি বা অবকাঠামোয় নয়, বরং মানুষের হৃদস্পন্দনে — তাদের ভাষা, শিল্প ও সম্প্রীতিতে নিহিত।

তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেনি; তা নতুন প্রাণে পুনরুজ্জীবিত করেছে। বাউল গানের সুর, রবীন্দ্রনাথের কবিতা এবং লোকউৎসবের রঙিন ছোঁয়া আবারও জাতীয় গর্ব ও পরিচয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

হাসিনার বাংলাদেশ ছিল এমন এক ভূমি, যেখানে বিশ্বাস ও সংস্কৃতি সুন্দরভাবে সহাবস্থান করে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে এক অনন্ত বার্তা প্রতিধ্বনিত করেছে— “আমরা সবাই একই মাটির সন্তান।”

অগ্রগতির পথে শেখ হাসিনা আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সোনালি সুতো একত্রে বুনেছিলেন, নিশ্চিত করেছিলেন যে বাংলাদেশ উন্নয়নের শিখরে উঠলেও তার শিকড়ের সাথে সংযোগ হারাবে না।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের মধ্য দিয়ে গেছে। বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি ও ছায়ানটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনি আধুনিক ও সক্রিয় করেছেন, যেগুলো হয়ে উঠেছে শিল্প, সাহিত্য ও সৃজনশীলতার প্রাণকেন্দ্র।

বাউল গান, নজরুল সঙ্গীত, গ্রামীণ মেলা ও মঞ্চনাটক — এসব ঐতিহ্যবাহী শিল্পরূপ নতুন উদ্যমে ফিরে এসেছে, জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে তার শিকড়ের কথা। তাঁর সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগে বাংলাদেশের সৃজনশীল আত্মা আরও উজ্জ্বল হয়েছে।

তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বাংলা ভাষাকেও বিশ্ব দরবারে নতুন মর্যাদা এনে দিয়েছে। ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং বিশ্বব্যাপী আয়োজিত বাংলা উৎসব বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছে।

শুধু সংস্কৃতি নয়, শেখ হাসিনা ধর্মীয় সম্প্রীতিকেও বাংলাদেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল ভিত্তি করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন—সত্যিকারের অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন সব ধর্মের মানুষ শান্তি ও পারস্পরিক সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর সরকার ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ রক্ষা করেছে, যাতে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সকলেই সমান অধিকার, মর্যাদা ও উপাসনার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে।

আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় উদযাপনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বন্ধনকে দৃঢ় করেছেন। ঈদ, দুর্গাপূজা, বড়দিন ও বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে কেবল পৃথক ধর্মীয় উৎসব হিসেবে নয়, বরং ঐক্যের প্রতীক হিসেবে।

বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয় পেয়েছে সরকারি সহায়তা ও নিরাপত্তা, যা প্রমাণ করেছে তাঁর সহাবস্থানের অটল প্রতিশ্রুতি। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে ধর্মনিরপেক্ষ সম্প্রীতির এক মডেল, যেখানে সংস্কৃতি ও বিশ্বাস হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলে, আর বৈচিত্র্য শুধু গৃহীত নয়—উদযাপিত হয়।

ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন সেই সাংস্কৃতিক প্রাণশক্তি ধীরে ধীরে ম্লান হতে শুরু করে। শেখ হাসিনার সময় যে উৎসব, শিল্পচর্চা ও মুক্ত চিন্তার পরিবেশ গড়ে উঠেছিল, তা ক্রমে অস্বস্তি ও নীরবতায় আচ্ছন্ন হয়।

মাজার, দরবার ও সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলার খবর—যেমন দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের ভাঙচুর—শিল্পী ও নাগরিকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করে। বাংলা একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠান, যেগুলো একসময় কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর ছিল, এখন অনিশ্চয়তা ও অবহেলার ছায়ায় ঢেকে গেছে।

যে শিল্পী ও লেখকরা একসময় সাহসিকতার সঙ্গে সৃষ্টিশীলতা প্রকাশ করতেন, তারা এখন নিস্তব্ধ। অনেকে নিশ্চিত নন, তাদের কাজ আগের মতো শোনা বা সম্মানিত হবে কি না। এমনকি স্কুলের পাঠ্যবইয়েও পরিবর্তন এসেছে—‘আদিবাসী’ শব্দটি নিঃশব্দে বাদ দেওয়া হয়েছে, ইতিহাসের অংশগুলো ভুল্ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, আর তাতে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

একসময় যে জাতি আত্মবিশ্বাসী, সৃজনশীল ও উদার মানসিকতায় ভরপুর ছিল, তা এখন অনিশ্চয়তায় আচ্ছন্ন। শেখ হাসিনা যে ঐক্য, গর্ব ও উন্মুক্ততার পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন, তা এখন ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।

ইউনূস-নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে ঠিকই, কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় তারা ম্লান করে দিয়েছে সেই সাংস্কৃতিক আলোর শিখা, যা একসময় বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করেছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬টি অসাধারণ বছর ধরে বাংলাদেশ এক স্বপ্নের অধীনে বিকশিত হয়েছে — ঐক্য, মর্যাদা ও সাংস্কৃতিক গর্বের স্বপ্ন। এটি ছিল শেখ হাসিনার লালিত স্বপ্ন। তিনি বিশ্বাস করতেন, একটি জাতির প্রকৃত শক্তি তার অর্থনীতি বা অবকাঠামোয় নয়, বরং মানুষের হৃদস্পন্দনে — তাদের ভাষা, শিল্প ও সম্প্রীতিতে নিহিত।

তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেনি; তা নতুন প্রাণে পুনরুজ্জীবিত করেছে। বাউল গানের সুর, রবীন্দ্রনাথের কবিতা এবং লোকউৎসবের রঙিন ছোঁয়া আবারও জাতীয় গর্ব ও পরিচয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

হাসিনার বাংলাদেশ ছিল এমন এক ভূমি, যেখানে বিশ্বাস ও সংস্কৃতি সুন্দরভাবে সহাবস্থান করে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে এক অনন্ত বার্তা প্রতিধ্বনিত করেছে— “আমরা সবাই একই মাটির সন্তান।”

অগ্রগতির পথে শেখ হাসিনা আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সোনালি সুতো একত্রে বুনেছিলেন, নিশ্চিত করেছিলেন যে বাংলাদেশ উন্নয়নের শিখরে উঠলেও তার শিকড়ের সাথে সংযোগ হারাবে না।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের মধ্য দিয়ে গেছে। বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি ও ছায়ানটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনি আধুনিক ও সক্রিয় করেছেন, যেগুলো হয়ে উঠেছে শিল্প, সাহিত্য ও সৃজনশীলতার প্রাণকেন্দ্র।

বাউল গান, নজরুল সঙ্গীত, গ্রামীণ মেলা ও মঞ্চনাটক — এসব ঐতিহ্যবাহী শিল্পরূপ নতুন উদ্যমে ফিরে এসেছে, জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে তার শিকড়ের কথা। তাঁর সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগে বাংলাদেশের সৃজনশীল আত্মা আরও উজ্জ্বল হয়েছে।

তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বাংলা ভাষাকেও বিশ্ব দরবারে নতুন মর্যাদা এনে দিয়েছে। ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং বিশ্বব্যাপী আয়োজিত বাংলা উৎসব বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছে।

শুধু সংস্কৃতি নয়, শেখ হাসিনা ধর্মীয় সম্প্রীতিকেও বাংলাদেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল ভিত্তি করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন—সত্যিকারের অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন সব ধর্মের মানুষ শান্তি ও পারস্পরিক সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর সরকার ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ রক্ষা করেছে, যাতে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সকলেই সমান অধিকার, মর্যাদা ও উপাসনার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে।

আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় উদযাপনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বন্ধনকে দৃঢ় করেছেন। ঈদ, দুর্গাপূজা, বড়দিন ও বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে কেবল পৃথক ধর্মীয় উৎসব হিসেবে নয়, বরং ঐক্যের প্রতীক হিসেবে।

বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয় পেয়েছে সরকারি সহায়তা ও নিরাপত্তা, যা প্রমাণ করেছে তাঁর সহাবস্থানের অটল প্রতিশ্রুতি। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে ধর্মনিরপেক্ষ সম্প্রীতির এক মডেল, যেখানে সংস্কৃতি ও বিশ্বাস হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলে, আর বৈচিত্র্য শুধু গৃহীত নয়—উদযাপিত হয়।

ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন সেই সাংস্কৃতিক প্রাণশক্তি ধীরে ধীরে ম্লান হতে শুরু করে। শেখ হাসিনার সময় যে উৎসব, শিল্পচর্চা ও মুক্ত চিন্তার পরিবেশ গড়ে উঠেছিল, তা ক্রমে অস্বস্তি ও নীরবতায় আচ্ছন্ন হয়।

মাজার, দরবার ও সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলার খবর—যেমন দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের ভাঙচুর—শিল্পী ও নাগরিকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করে। বাংলা একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠান, যেগুলো একসময় কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর ছিল, এখন অনিশ্চয়তা ও অবহেলার ছায়ায় ঢেকে গেছে।

যে শিল্পী ও লেখকরা একসময় সাহসিকতার সঙ্গে সৃষ্টিশীলতা প্রকাশ করতেন, তারা এখন নিস্তব্ধ। অনেকে নিশ্চিত নন, তাদের কাজ আগের মতো শোনা বা সম্মানিত হবে কি না। এমনকি স্কুলের পাঠ্যবইয়েও পরিবর্তন এসেছে—‘আদিবাসী’ শব্দটি নিঃশব্দে বাদ দেওয়া হয়েছে, ইতিহাসের অংশগুলো ভুল্ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, আর তাতে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

একসময় যে জাতি আত্মবিশ্বাসী, সৃজনশীল ও উদার মানসিকতায় ভরপুর ছিল, তা এখন অনিশ্চয়তায় আচ্ছন্ন। শেখ হাসিনা যে ঐক্য, গর্ব ও উন্মুক্ততার পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন, তা এখন ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।

ইউনূস-নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে ঠিকই, কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় তারা ম্লান করে দিয়েছে সেই সাংস্কৃতিক আলোর শিখা, যা একসময় বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করেছিল।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ