নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশজুড়ে এখন একটাই স্লোগান “ইউনুস হটাও, দেশ বাঁচাও।” অর্থনীতি ধ্বংস, দুর্নীতি, ও প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতায় ক্লান্ত জনতা রাস্তায় নামছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। বাজারে আগুন, কৃষকের হতাশা, শ্রমজীবী মানুষের অস্থিরতা—সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে এখন জনরোষের আগুন জ্বলছে। জনগণের প্রশ্ন, এই অনির্বাচিত ও অদক্ষ উপদেষ্টা সরকারের হাতে দেশ আর কতদিন টিকবে?
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণকে দিয়েছিল “স্বচ্ছতা ও সংস্কারের” প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই প্রতিশ্রুতি পরিণত হয়েছে ভয়, বিভ্রান্তি ও অনিয়মের প্রতীকে।
চাষি তার উৎপাদিত ধানের দাম পায় না, শ্রমিক পায় না কাজ, ব্যবসায়ী পায় না আমদানি অনুমতি—কিন্তু সরকারের উপদেষ্টারা নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন বিদেশ সফর ও পদ আঁকড়ে রাখার রাজনীতিতে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা দেশের উৎপাদন ও বিনিয়োগ খাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমছে, টাকার মান পড়ছে, বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
রাজধানী থেকে শুরু করে মফস্বল শহর, উপজেলা সদর, এমনকি গ্রামীণ জনপদেও এখন একই দৃশ্য—মানুষ বলছে “অবৈধ সরকার নিপাত যাক।”
সামাজিক মাধ্যমে তরুণরা প্রতিবাদ সংগঠিত করছে, পেশাজীবী ও শ্রমজীবীরা গড়ে তুলছে স্থানীয় আন্দোলন। সংবাদপত্র, টকশো ও জনআলোচনায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয়—ইউনূস সরকারের ব্যর্থতা ও দমননীতি।
সাংবাদিকদের ভয় দেখানো, রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেপ্তার, বিরোধী কণ্ঠ দমন—সব মিলিয়ে দেশজুড়ে এক আতঙ্কের আবহ। সাধারণ মানুষ মনে করছে, এই সরকার গণতন্ত্র নয়, বরং ভয় ও প্রতিশোধের রাজনীতি চালাচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় গড়ে উঠছে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি কর্মসূচি। শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষক, তরুণ—সবাই আজ এক কণ্ঠে বলছে, “দেশ বাঁচাতে হলে ইউনূস সরকারকে যেতে হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই জনরোষ এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যা দমন করে রাখা অসম্ভব। ইতিহাস বলছে, বাংলাদেশের জনগণ কখনো অবিচার মেনে নেয়নি—এবারও তারা নেবে না।
জনগণই রাষ্ট্রের মালিক, আর সেই জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলছে—দেশ ধ্বংসের দায় যাদের, তাদের বিদায় এখন সময়ের দাবি।
অবৈধ শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠাই আজ জনতার একমাত্র লক্ষ্য। ইউনূস সরকারের পতন শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়—এটি হবে জনগণের বাঁচার অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম।

