Thursday, November 6, 2025

মাইক্রোক্রেডিট মহাজনের হাতে দেশের ম্যাক্রো লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই মাসে রক্তাক্ত দাঙ্গার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তাদের হাতে দেশের অর্থনীতি এখন মৃত্যুশয্যায়। বিদেশী অর্থে পরিচালিত সহিংস অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন এই অবৈধ সরকার মাত্র কয়েক মাসে দেশকে এমন এক আর্থিক সংকটে ঠেলে দিয়েছে যার তুলনা বিরল। যিনি নিজে সুদের ব্যবসায় কোটি কোটি টাকার মালিক, সেই ব্যক্তিই এখন পুরো দেশকে ঋণের জালে আটকে ফেলেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন যে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরছে, তা আসলে একটি পরিকল্পিত অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞের গল্প। সামরিক বাহিনীর মদদে এবং ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এখন দেশের সাধারণ চলতি খরচ মেটাতেও ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে। এটা কোনো স্বাভাবিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা নয়, এটা একটা সুপরিকল্পিত লুটপাট।

রাজস্ব আদায়ে যে ধস নেমেছে, তা কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। যে অবৈধ সরকারের নৈতিক ভিত্তি নেই, যাদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই, তাদের আমলে ব্যবসায়ীরা কেন কর দেবেন? যে সরকার ক্যু করে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের প্রতি আস্থা রাখবে কেন মানুষ? জুলাই-আগস্টে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। এটা শুধু সংখ্যা নয়, এটা জনগণের অনাস্থার প্রকাশ।

ইউনুস সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনার নাজুক অবস্থা সবচেয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ঋণ নেওয়ার ধরনে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ঋণ নিচ্ছে, নন-ব্যাংক খাত থেকে ১১ থেকে ১২ শতাংশ সুদে ঋণ নিচ্ছে। জুলাই-আগস্টে মাত্র দুই মাসে নন-ব্যাংক খাত থেকে ৬৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এই সরকার। কোন মুখে যিনি নিজে মাইক্রোক্রেডিটের নামে গরীব মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদ আদায় করেছেন, তিনিই এখন পুরো দেশকে চড়া সুদের ঋণের ফাঁদে ফেলছেন।

সবচেয়ে লজ্জাজনক বিষয় হলো, সরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ১.৭৯ শতাংশ, কিন্তু বেসরকারি খাতে ঋণ কমেছে ০.০৩ শতাংশ। এর মানে হলো উৎপাদনে কোনো টাকা যাচ্ছে না, কর্মসংস্থান হচ্ছে না, অর্থনীতির চাকা ঘুরছে না। এই অবৈধ সরকার শুধু নিজেদের খরচ চালাতে ঋণ নিচ্ছে, দেশের উন্নয়নে এক পয়সাও খরচ হচ্ছে না।

যে দাঙ্গার মাধ্যমে এরা ক্ষমতায় এসেছে, সেই দাঙ্গাই এখন অর্থনীতিকে গ্রাস করছে। বেসরকারি খাতে টানা এক বছর ধরে মন্দা চলছে। জুলাইয়ের দাঙ্গার পর থেকে এই মন্দা আরও গভীর হয়েছে। রপ্তানি খাত, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সব জায়গায় স্থবিরতা। আর এই স্থবিরতার সুযোগে বিদেশী প্রভুদের টাকায় ক্ষমতায় আসা এই সরকার দেশকে আরও বেশি বিদেশী ঋণের জালে জড়াচ্ছে।

আইএমএফ যখন সরকারি খাতের ঋণ কমাতে বলছে, তখন এই সরকার উল্টো পথে হাঁটছে। কারণ তারা জানে তাদের ক্ষমতার মেয়াদ হয়তো বেশি দিন নয়। তাই যত পারা যায় ঋণ নিয়ে নিতে হবে, দেশকে যত বেশি দায়ে জড়ানো যায় তত ভালো। পরবর্তী যে সরকার আসবে, তাদের জন্য একটা ধ্বংসপ্রায় অর্থনীতি রেখে যেতে হবে। এটাই কি তাদের এজেন্ডা?

মূল্যস্ফীতি তিন বছর ধরে ৮ থেকে ১১ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা একেবারে তলানিতে। দ্রব্যমূল্যের আগুন যেন নিভছেই না। আর এই অবস্থায় যে সরকার বৈধতাহীনভাবে ক্ষমতায় আছে, তারা শুধু নিজেদের খরচ চালাতেই ব্যস্ত। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সেই টাকা আসবে কোথা থেকে? আরও ঋণ থেকে?

ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট এত প্রকট যে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারছে না। বরং ব্যাংকের আগের ঋণ শোধ করতে তারা নন-ব্যাংক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নিচ্ছে। এটা কেমন অর্থনৈতিক পরিচালনা? একটা ঋণ শোধ করতে আরেকটা বেশি সুদের ঋণ নেওয়া? এটা কি কোনো দায়িত্বশীল সরকারের কাজ হতে পারে?

বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে গিয়ে চড়া দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। ঋণের কিস্তি স্থগিত করায় সুদও বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিটা ক্ষেত্রে দেশ আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে। আর এই সবকিছুর মূলে আছে জুলাইয়ের সেই রক্তাক্ত অভ্যুত্থান, যার মাধ্যমে একটা নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে।

যে মানুষটি সারাজীবন দরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে সুদ নিয়ে কোটিপতি হয়েছেন, তিনি এখন পুরো দেশকে সুদের জালে জড়াচ্ছেন। ইউনুসের এই অবৈধ সরকার আসলে একটা অর্থনৈতিক মহাজনের মতো আচরণ করছে। দেশকে ক্রমাগত ঋণের বোঝায় চাপিয়ে দিচ্ছে, আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘাড়ে এই বিশাল দায় চাপিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকছে।

প্রশ্ন হলো, কতদিন চলবে এই অর্থনৈতিক নৈরাজ্য? যে সরকার জনগণের ভোটে আসেনি, যাদের কোনো গণতান্ত্রিক বৈধতা নেই, যারা বিদেশী টাকায় পরিচালিত দাঙ্গার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা কীভাবে দেশের অর্থনীতি সামলাবে? উত্তর সহজ – সামলাতে পারবে না, কারণ সামলানোর কোনো ইচ্ছাই তাদের নেই। তাদের লক্ষ্য দেশকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেখান থেকে ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব। আর সেই কাজটা তারা অত্যন্ত সফলতার সাথেই করে যাচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই মাসে রক্তাক্ত দাঙ্গার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তাদের হাতে দেশের অর্থনীতি এখন মৃত্যুশয্যায়। বিদেশী অর্থে পরিচালিত সহিংস অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন এই অবৈধ সরকার মাত্র কয়েক মাসে দেশকে এমন এক আর্থিক সংকটে ঠেলে দিয়েছে যার তুলনা বিরল। যিনি নিজে সুদের ব্যবসায় কোটি কোটি টাকার মালিক, সেই ব্যক্তিই এখন পুরো দেশকে ঋণের জালে আটকে ফেলেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন যে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরছে, তা আসলে একটি পরিকল্পিত অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞের গল্প। সামরিক বাহিনীর মদদে এবং ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এখন দেশের সাধারণ চলতি খরচ মেটাতেও ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে। এটা কোনো স্বাভাবিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা নয়, এটা একটা সুপরিকল্পিত লুটপাট।

রাজস্ব আদায়ে যে ধস নেমেছে, তা কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। যে অবৈধ সরকারের নৈতিক ভিত্তি নেই, যাদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই, তাদের আমলে ব্যবসায়ীরা কেন কর দেবেন? যে সরকার ক্যু করে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের প্রতি আস্থা রাখবে কেন মানুষ? জুলাই-আগস্টে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। এটা শুধু সংখ্যা নয়, এটা জনগণের অনাস্থার প্রকাশ।

ইউনুস সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনার নাজুক অবস্থা সবচেয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ঋণ নেওয়ার ধরনে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ঋণ নিচ্ছে, নন-ব্যাংক খাত থেকে ১১ থেকে ১২ শতাংশ সুদে ঋণ নিচ্ছে। জুলাই-আগস্টে মাত্র দুই মাসে নন-ব্যাংক খাত থেকে ৬৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এই সরকার। কোন মুখে যিনি নিজে মাইক্রোক্রেডিটের নামে গরীব মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদ আদায় করেছেন, তিনিই এখন পুরো দেশকে চড়া সুদের ঋণের ফাঁদে ফেলছেন।

সবচেয়ে লজ্জাজনক বিষয় হলো, সরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ১.৭৯ শতাংশ, কিন্তু বেসরকারি খাতে ঋণ কমেছে ০.০৩ শতাংশ। এর মানে হলো উৎপাদনে কোনো টাকা যাচ্ছে না, কর্মসংস্থান হচ্ছে না, অর্থনীতির চাকা ঘুরছে না। এই অবৈধ সরকার শুধু নিজেদের খরচ চালাতে ঋণ নিচ্ছে, দেশের উন্নয়নে এক পয়সাও খরচ হচ্ছে না।

যে দাঙ্গার মাধ্যমে এরা ক্ষমতায় এসেছে, সেই দাঙ্গাই এখন অর্থনীতিকে গ্রাস করছে। বেসরকারি খাতে টানা এক বছর ধরে মন্দা চলছে। জুলাইয়ের দাঙ্গার পর থেকে এই মন্দা আরও গভীর হয়েছে। রপ্তানি খাত, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সব জায়গায় স্থবিরতা। আর এই স্থবিরতার সুযোগে বিদেশী প্রভুদের টাকায় ক্ষমতায় আসা এই সরকার দেশকে আরও বেশি বিদেশী ঋণের জালে জড়াচ্ছে।

আইএমএফ যখন সরকারি খাতের ঋণ কমাতে বলছে, তখন এই সরকার উল্টো পথে হাঁটছে। কারণ তারা জানে তাদের ক্ষমতার মেয়াদ হয়তো বেশি দিন নয়। তাই যত পারা যায় ঋণ নিয়ে নিতে হবে, দেশকে যত বেশি দায়ে জড়ানো যায় তত ভালো। পরবর্তী যে সরকার আসবে, তাদের জন্য একটা ধ্বংসপ্রায় অর্থনীতি রেখে যেতে হবে। এটাই কি তাদের এজেন্ডা?

মূল্যস্ফীতি তিন বছর ধরে ৮ থেকে ১১ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা একেবারে তলানিতে। দ্রব্যমূল্যের আগুন যেন নিভছেই না। আর এই অবস্থায় যে সরকার বৈধতাহীনভাবে ক্ষমতায় আছে, তারা শুধু নিজেদের খরচ চালাতেই ব্যস্ত। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সেই টাকা আসবে কোথা থেকে? আরও ঋণ থেকে?

ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট এত প্রকট যে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারছে না। বরং ব্যাংকের আগের ঋণ শোধ করতে তারা নন-ব্যাংক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নিচ্ছে। এটা কেমন অর্থনৈতিক পরিচালনা? একটা ঋণ শোধ করতে আরেকটা বেশি সুদের ঋণ নেওয়া? এটা কি কোনো দায়িত্বশীল সরকারের কাজ হতে পারে?

বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে গিয়ে চড়া দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। ঋণের কিস্তি স্থগিত করায় সুদও বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিটা ক্ষেত্রে দেশ আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে। আর এই সবকিছুর মূলে আছে জুলাইয়ের সেই রক্তাক্ত অভ্যুত্থান, যার মাধ্যমে একটা নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে।

যে মানুষটি সারাজীবন দরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে সুদ নিয়ে কোটিপতি হয়েছেন, তিনি এখন পুরো দেশকে সুদের জালে জড়াচ্ছেন। ইউনুসের এই অবৈধ সরকার আসলে একটা অর্থনৈতিক মহাজনের মতো আচরণ করছে। দেশকে ক্রমাগত ঋণের বোঝায় চাপিয়ে দিচ্ছে, আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘাড়ে এই বিশাল দায় চাপিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকছে।

প্রশ্ন হলো, কতদিন চলবে এই অর্থনৈতিক নৈরাজ্য? যে সরকার জনগণের ভোটে আসেনি, যাদের কোনো গণতান্ত্রিক বৈধতা নেই, যারা বিদেশী টাকায় পরিচালিত দাঙ্গার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা কীভাবে দেশের অর্থনীতি সামলাবে? উত্তর সহজ – সামলাতে পারবে না, কারণ সামলানোর কোনো ইচ্ছাই তাদের নেই। তাদের লক্ষ্য দেশকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেখান থেকে ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব। আর সেই কাজটা তারা অত্যন্ত সফলতার সাথেই করে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ