Thursday, November 6, 2025

যেভাবে কারাগারে হত্যা করা হচ্ছে আওয়ামী কর্মীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ‘জেল কিলিং’ চলছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সাবেক কারাবন্দি এক আওয়ামী লীগ সমর্থক দাবি করেছেন, কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগারসহ বিভিন্ন জেলে বন্দিদের খাবারে কেমিক্যাল মিশিয়ে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া ঘটানো হচ্ছে। এতে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত, শরীর দুর্বল এবং ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি নিজে ছয় মাস কারাবাসের পর শরীরে অস্বাভাবিক কেমিক্যাল লেভেল (সিরাম ৬০০-এর ওপর) পেয়েছেন, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় গুণ বেশি।

খাবারে বিষক্রিয়া: বায়োলজিক্যাল ওয়েপেনের অভিযোগ
অভিযোগকারী জানান, কারাগারে সরকারিভাবে মাংস, মাছ ও ডিম দেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে বন্দিরা পান নিম্নমানের খাবার। সপ্তাহে একদিন মাংস দেওয়া হয় মাত্র ‘এক টুকরো’ (মুরগির ঠোকরানোর মতো আকারের), মাছ ভাজা হয় ক্ষুদ্র টুকরো এবং সবজি-ডালে ব্যবহৃত হয় বাজারের সবচেয়ে খারাপ মানের উপাদান। এসব খাবারে কেমিক্যাল মেশানো হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্ক ড্যামেজ, এলার্জি, ক্যান্সার ও শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি করে।

তারা বলেন, “পাকিস্তানিরা বুলেটে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে। কিন্তু এখন পশ্চিমা দোসররা বায়োলজিক্যাল ওয়েপেন ব্যবহার করছে। তিনবেলা খাওয়ানো হয়, কিন্তু খাবারে থাকে বিষ। ধীরে ধীরে মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরবে, সরকারের গায়ে দোষ লাগবে না।”

চিকিৎসাহীনতা ও মানসিক নির্যাতন
কারাগারে রাজবন্দিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয় না। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নং ওয়ার্ডের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলোর উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, তাকে ক্যান্সারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়া হয় মাটিতে তোষক ফেলে, হাত বেঁধে। জেল কর্তৃপক্ষ বন্দিদের অভিযোগ শোনেন না। প্রতি সপ্তাহে ‘সুপারফাইল’ নামে জেলার পরিদর্শন করে, কিন্তু কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না।

মিথ্যা মামলা ও জামিন বাধা
অভিযোগকারী নিজে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলার কারণে মিথ্যা হত্যা মামলায় ছয় মাস কারাবাস করেছেন। জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, তবু মামলা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “রিমান্ডে আমাকে বোঝানো হয়েছে – তুই গরিব ঘরের ছেলে, দেশ-মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলার অধিকার তোর নেই।”

জামিন হলেও নতুন মিথ্যা মামলা (পিডব্লিউ) দিয়ে বন্দিদের জেলে রাখা হয়। এর পেছনে ‘কোর্স সিস্টেম’ – কমপক্ষে ১.৫-২ বছর কেমিক্যাল প্রয়োগ করে মস্তিষ্ক ও শরীর নষ্ট করা।

উপদেষ্টাদের ভিজিট: তদারকি না প্রহসন?
প্রতি ১৫ দিনে উপদেষ্টারা (রেজোয়ানা চৌধুরীসহ) কেরানীগঞ্জ-কাশিমপুর জেল ভিজিট করেন। অভিযোগ, তারা শুধু ‘কেমিক্যালাইজেশন ও পয়জনিং ঠিকমতো হচ্ছে কিনা’ দেখেন, বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জেলারের কক্ষ পর্যন্ত যান, রাজবন্দিদের দেখেন না।

বিএনপির ভূমিকা ও পশ্চিমা প্রভাব
মামলার পেছনে বিএনপির হাত ছিল বলে আইনজীবীর মাধ্যমে জানা গেছে। তবে “নিয়তির বিচারে” বিএনপি এখন নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত। পশ্চিমারা তাদের পছন্দের ‘ম্যান’ বসিয়েছে, কিন্তু সাধারণ নাগরিকদের ক্ষমতায়ন পছন্দ করেন না।

অভিযোগকারী বলেন, “এটা গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। ১৯৭১-এর মতো বুদ্ধিজীবী হত্যা চলছে, বুলেট নয় – বায়োলজিক্যাল ওয়েপেনে।” তিনি জনগণের সমর্থন, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ও কারাগারে বায়োলজিক্যাল ওয়েপেন নিষিদ্ধের দাবি জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ‘জেল কিলিং’ চলছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সাবেক কারাবন্দি এক আওয়ামী লীগ সমর্থক দাবি করেছেন, কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগারসহ বিভিন্ন জেলে বন্দিদের খাবারে কেমিক্যাল মিশিয়ে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া ঘটানো হচ্ছে। এতে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত, শরীর দুর্বল এবং ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি নিজে ছয় মাস কারাবাসের পর শরীরে অস্বাভাবিক কেমিক্যাল লেভেল (সিরাম ৬০০-এর ওপর) পেয়েছেন, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় গুণ বেশি।

খাবারে বিষক্রিয়া: বায়োলজিক্যাল ওয়েপেনের অভিযোগ
অভিযোগকারী জানান, কারাগারে সরকারিভাবে মাংস, মাছ ও ডিম দেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে বন্দিরা পান নিম্নমানের খাবার। সপ্তাহে একদিন মাংস দেওয়া হয় মাত্র ‘এক টুকরো’ (মুরগির ঠোকরানোর মতো আকারের), মাছ ভাজা হয় ক্ষুদ্র টুকরো এবং সবজি-ডালে ব্যবহৃত হয় বাজারের সবচেয়ে খারাপ মানের উপাদান। এসব খাবারে কেমিক্যাল মেশানো হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্ক ড্যামেজ, এলার্জি, ক্যান্সার ও শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি করে।

তারা বলেন, “পাকিস্তানিরা বুলেটে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে। কিন্তু এখন পশ্চিমা দোসররা বায়োলজিক্যাল ওয়েপেন ব্যবহার করছে। তিনবেলা খাওয়ানো হয়, কিন্তু খাবারে থাকে বিষ। ধীরে ধীরে মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরবে, সরকারের গায়ে দোষ লাগবে না।”

চিকিৎসাহীনতা ও মানসিক নির্যাতন
কারাগারে রাজবন্দিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয় না। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নং ওয়ার্ডের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলোর উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, তাকে ক্যান্সারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়া হয় মাটিতে তোষক ফেলে, হাত বেঁধে। জেল কর্তৃপক্ষ বন্দিদের অভিযোগ শোনেন না। প্রতি সপ্তাহে ‘সুপারফাইল’ নামে জেলার পরিদর্শন করে, কিন্তু কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না।

মিথ্যা মামলা ও জামিন বাধা
অভিযোগকারী নিজে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলার কারণে মিথ্যা হত্যা মামলায় ছয় মাস কারাবাস করেছেন। জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, তবু মামলা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “রিমান্ডে আমাকে বোঝানো হয়েছে – তুই গরিব ঘরের ছেলে, দেশ-মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলার অধিকার তোর নেই।”

জামিন হলেও নতুন মিথ্যা মামলা (পিডব্লিউ) দিয়ে বন্দিদের জেলে রাখা হয়। এর পেছনে ‘কোর্স সিস্টেম’ – কমপক্ষে ১.৫-২ বছর কেমিক্যাল প্রয়োগ করে মস্তিষ্ক ও শরীর নষ্ট করা।

উপদেষ্টাদের ভিজিট: তদারকি না প্রহসন?
প্রতি ১৫ দিনে উপদেষ্টারা (রেজোয়ানা চৌধুরীসহ) কেরানীগঞ্জ-কাশিমপুর জেল ভিজিট করেন। অভিযোগ, তারা শুধু ‘কেমিক্যালাইজেশন ও পয়জনিং ঠিকমতো হচ্ছে কিনা’ দেখেন, বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জেলারের কক্ষ পর্যন্ত যান, রাজবন্দিদের দেখেন না।

বিএনপির ভূমিকা ও পশ্চিমা প্রভাব
মামলার পেছনে বিএনপির হাত ছিল বলে আইনজীবীর মাধ্যমে জানা গেছে। তবে “নিয়তির বিচারে” বিএনপি এখন নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত। পশ্চিমারা তাদের পছন্দের ‘ম্যান’ বসিয়েছে, কিন্তু সাধারণ নাগরিকদের ক্ষমতায়ন পছন্দ করেন না।

অভিযোগকারী বলেন, “এটা গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। ১৯৭১-এর মতো বুদ্ধিজীবী হত্যা চলছে, বুলেট নয় – বায়োলজিক্যাল ওয়েপেনে।” তিনি জনগণের সমর্থন, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ও কারাগারে বায়োলজিক্যাল ওয়েপেন নিষিদ্ধের দাবি জানান।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ