দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রাজ্জাককে গতকাল তাঁর নিজ বাড়ির ছাদে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোক ও রোষের মাতামাতি চলছে; স্থানীয়রা এটিকে কেবল এক সাধারণ হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখছেন না— বরং তারা বলছেন, এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যার অনুরূপ উপকরণ বহন করে।
পরিবার ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মরহুম রাজ্জাক সম্মানিত একটি সামাজিক ভূমিকা পালন করতেন এবং স্থানীয় সালিশি ও উন্নয়নমূলক কাজেও সক্রিয় ছিলেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেেই এলাকার মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও বিচারের বিস্তৃত অনিশ্চয়তা রয়েছে—তাই দেশীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো নিহতের আত্মীয়-স্বজনকে দোয়া-শোক জানিয়ে, ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করে বিবৃতি প্রদান করেছে। স্থানীয়রা বলেন, “দিনদুপুরে জনবহুল এলাকায় একজন নেতাকে হত্যা করা যায়—এতে প্রশ্ন জাগে প্রশাসনের সক্ষমতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর। যদি উড়িয়ে বলা হয়, তা হলে সাধারণ মানুষ কীভাবে সুরক্ষা পাবে?”
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন নাগরিকদের একাংশ আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন যে, রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত সহিংসতা পুনরায় জ্বলজ্বল করছে—যা যদি দ্রুত বাধা না দেয়া হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতিকর ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিবেশ জোরদার হবে। তারা দাবি করেন, তদন্তে যে দুর্বলতা বা অনিয়ম দেখা যাবে, তার বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে যাতে পুনরাবৃত্তি রোধে শক্ত বার্তা যায়।
অধিকার্যরা পুনরায় ঘোষণা করে বলছেন—রাষ্ট্রের প্রথম কর্তব্য হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; আর কোনো রাজনৈতিক গ্রুপ যদি অস্ত্র ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে স্থান দখল করতে চায়, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা প্রতিহত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
আজ সিলেটে শোক ও রোষ দুইই সমান পরিমাণে বিদ্যমান। প্রশ্নটি স্পষ্ট—**যখন একজন গণমান্য নেতাও নিরাপদ নয়, তখন সাধারণ মানুষ কোথায় আশ্রয় পাবে?”

