১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার গ্রামের মানুষের চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত এসে ক্লিনিক গুলো বন্ধ করে দেয় এবং ক্লিনিকগুলো যাতে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্র হয়ে ওঠে তা নিশ্চিত করে।
২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা আবারো এই কর্মসুচি চালু করেন। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংশিত হয় কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল। এই ক্লিনিক গুলোতে স্বল্প ও বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ পাওয়া যেতো। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে কমিউনিটি ক্লিনিক ছিল একটি ভরসার জায়গা।
বিএনপি-জামায়াতের মত একই পথে হাঁটছে ইউনুস সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে চরমভাবে অবহেলিত অবস্থায় আছে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক। অকেজো পড়ে আছে সকল যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মত কোন কাঠামোই এখন নেই। ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের নামে কালক্ষেপন করে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করছে। একই সাথে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, যিনি সুদীর্ঘ সময় ধরে ইউনুসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীন ব্যাংকের এমডি ছিলেন, প্রস্তাব দিয়েছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের নাম পালটে ‘গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র’ নামকরণ করার।
ইউনুস দেশকে ঠিক করতে আসেননি, তিনি এসেছেন তার ‘গ্রামীণ’ সাম্রাজ্যকে বড় করতে। দেশসেবার লক্ষ্য তার আগেও ছিল না, এখনও নেই।

