Wednesday, October 29, 2025

কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গণহত্যা চলছে নীরবে, মানবাধিকার কোথায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি অবস্থায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু (৮০) মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি কালো অধ্যায় যুক্ত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

কারাগারের সুপার এস এম কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বাচ্চু চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে ছিলেন। তিনি হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু ১০টার মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।

চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর দরবার শরীফ এলাকার বাসিন্দা বাচ্চু জুলাই আন্দোলনের সময় এনায়েতপুর থানায় হামলা এবং ১৫ পুলিশ হত্যা মামলাসহ চারটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ময়নাতদন্তের পর তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে এবং দুই মেয়ের পিতা ছিলেন এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তবে পরিবার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, এই মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়—এটি একটি পরিকল্পিত হত্যার অংশ। অবৈধ ইউনুস সরকারের অধীনে কারাগারগুলোকে নৃশংস হত্যাকারখানায় পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কারাগারে হত্যার ধারাবাহিকতা: মহাযজ্ঞের ছবি
বাচ্চুর মৃত্যু শুধু একক ঘটনা নয়; এটি ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর থেকে চলমান একটি মহাযজ্ঞের অংশ বলে দাবি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ভরা মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের কারাগারে ঢুকিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শহীদদের রক্তের বিনিময়ে গড়ে ওঠা এই দলকে নির্মূল করার জন্য ইউনুসের ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা কারাগারগুলোকে ‘জাকার্তা মেথড’-এর মতো গোপন হত্যাকারখানায় পরিণত করেছে। এই পদ্ধতিতে রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘আত্মহত্যা’ বা ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হিসেবে দেখিয়ে হত্যা করা হয়।

গত এক বছরে কারাগারে আওয়ামী লীগের অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, যার বেশিরভাগই নির্যাতন এবং চিকিৎসা অবহেলার কারণে। পরিবারগণ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে যে, এগুলো পরিকল্পিত হত্যা। গত ১০ মাসে মৃত্যু ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগ ‘হার্ট অ্যাটাক’ বা ‘আত্মহত্যা’ বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু নিহতদের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং চিকিৎসা অস্বীকার করা হয়েছে।

মানবাধিকারের লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক নীরবতা
এই হত্যামহাযজ্ঞের মূলে রয়েছে ইউনুস সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিযোগ। জুলাই বিপ্লবের পর ১ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় আটক করা হয়েছে, যাতে তাদের নির্যাতন করা যায়। কারাগারগুলোতে চিকিৎসা সুবিধা নেই, জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং ময়নাতদন্তের নামে কোনো তদন্ত হয় না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনাগুলোকে ‘কাস্টডিয়াল ডেথ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা অস্বস্তিকর। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো সংস্থা কেন এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর তোলে না?

এই মহাযজ্ঞ শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের উপর আঘাত। ১৯৭৫ সালের জেল হত্যার কালো অধ্যায় ফিরে এসেছে এবার ফ্যাসিস্ট ইউনুসের হাতে। জনগণকে উঠে দাঁড়াতে হবে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে। নইলে, আরও রক্তের নদী বইবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি অবস্থায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু (৮০) মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি কালো অধ্যায় যুক্ত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

কারাগারের সুপার এস এম কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বাচ্চু চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে ছিলেন। তিনি হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু ১০টার মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।

চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর দরবার শরীফ এলাকার বাসিন্দা বাচ্চু জুলাই আন্দোলনের সময় এনায়েতপুর থানায় হামলা এবং ১৫ পুলিশ হত্যা মামলাসহ চারটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ময়নাতদন্তের পর তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে এবং দুই মেয়ের পিতা ছিলেন এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তবে পরিবার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, এই মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়—এটি একটি পরিকল্পিত হত্যার অংশ। অবৈধ ইউনুস সরকারের অধীনে কারাগারগুলোকে নৃশংস হত্যাকারখানায় পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কারাগারে হত্যার ধারাবাহিকতা: মহাযজ্ঞের ছবি
বাচ্চুর মৃত্যু শুধু একক ঘটনা নয়; এটি ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর থেকে চলমান একটি মহাযজ্ঞের অংশ বলে দাবি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ভরা মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের কারাগারে ঢুকিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শহীদদের রক্তের বিনিময়ে গড়ে ওঠা এই দলকে নির্মূল করার জন্য ইউনুসের ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা কারাগারগুলোকে ‘জাকার্তা মেথড’-এর মতো গোপন হত্যাকারখানায় পরিণত করেছে। এই পদ্ধতিতে রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘আত্মহত্যা’ বা ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হিসেবে দেখিয়ে হত্যা করা হয়।

গত এক বছরে কারাগারে আওয়ামী লীগের অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, যার বেশিরভাগই নির্যাতন এবং চিকিৎসা অবহেলার কারণে। পরিবারগণ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে যে, এগুলো পরিকল্পিত হত্যা। গত ১০ মাসে মৃত্যু ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগ ‘হার্ট অ্যাটাক’ বা ‘আত্মহত্যা’ বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু নিহতদের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং চিকিৎসা অস্বীকার করা হয়েছে।

মানবাধিকারের লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক নীরবতা
এই হত্যামহাযজ্ঞের মূলে রয়েছে ইউনুস সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিযোগ। জুলাই বিপ্লবের পর ১ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় আটক করা হয়েছে, যাতে তাদের নির্যাতন করা যায়। কারাগারগুলোতে চিকিৎসা সুবিধা নেই, জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং ময়নাতদন্তের নামে কোনো তদন্ত হয় না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনাগুলোকে ‘কাস্টডিয়াল ডেথ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা অস্বস্তিকর। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো সংস্থা কেন এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর তোলে না?

এই মহাযজ্ঞ শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের উপর আঘাত। ১৯৭৫ সালের জেল হত্যার কালো অধ্যায় ফিরে এসেছে এবার ফ্যাসিস্ট ইউনুসের হাতে। জনগণকে উঠে দাঁড়াতে হবে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে। নইলে, আরও রক্তের নদী বইবে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ