সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিত্ব নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করেছিল ছাত্ররা। তথাকথিত এই আন্দোলনের দাবি পুরন হলেও আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত করা হয়েছিল, তরুণ সমাজকে তারা স্বপ্ন দেখিয়েছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশের।
অথচ এক বছরের মধ্যে তরুনরা দেখতে পাচ্ছে, েখ হাসিনার আমলে কিছু ভুল ত্রুটি থাকলেও ইউনুস সরকার সরকারি নিয়োগের ব্যাপারে কোন আইনের ধারে কাছেই নাই। বাসায় বসেই সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেওয়া যাচ্ছে এখন।
শুধু তাইই নয়, মেধার জোরে নিয়োগের সব পর্যায়ে পাশ করে গেলেও শুধু ধর্মীয় কারণে অনেককে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দুর্নীতি বা কোন গর্হিত অপরাধ ছাড়াই সরকারি চাকরি থেকে অপসারনের মত ঘটনাও ঘটছে।
বর্তমান বাংলাদেশে চাকরি নিয়োগের সকল চাবিকাঠি ছাত্রসমন্বয়ক ও আন্দোলনের সুবিধাভোগি বিএনপি-জামায়াতের হাতে। ২০-২৫ লাখ টাকা দিলেই সরকারি চাকরি জুটে যাচ্ছে এখন।
মেধার এমন মুল্যায়ন দেখার জন্যেই কি সেদিন রাস্তায় নেমেছিল তরুণরা? নাকি নিয়োগবানিজ্য, টেন্ডারবাজি, ছিনতাই, দখলের রাজনীতির পুনর্জন্মই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য? বাংলাদেশের মানুষ আজ এই প্রশ্নের জবাব চায়।

