Saturday, December 20, 2025

মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত

আমেরিকান পরিকল্পনায় আসন্ন নির্বাচন বানচালের মিশন বাস্তবায়ন করতে নেমেছে জামায়াত। এই মিশনের অংশ হিসেবে এরইমধ্যে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন বানচাল করতে ওসমান হাদির ওপর হামলা হয়েছিল। হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব্যক্তি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে দায়ী করার অভিযোগ উঠেছে, যদিও এখনও কোনো নির্ভরযোগ্য তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। কিন্তু সবচেয়ে বিতর্কিত হয়ে উঠেছে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জামায়াত-ঘনিষ্ঠ ছাত্রনেতা আবু সাদিক কায়েমের ফেসবুক পোস্ট। হামলার মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে তার ভেরিফায়েড পেজে প্রথম পোস্টে তিনি লেখেন: “ওসমান হাদিকে গুলি করা হলো। চাঁদাবাজ ও গ্যাংস্টারদের কবল থেকে ঢাকা সিটিকে মুক্ত করতে অচিরেই আমাদের অভ্যুত্থান শুরু হবে। রাজধানীর ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই পোস্টে হাদির সুস্থতা কামনা বা সহানুভূতির কোনো কথা না থেকে সরাসরি ‘অভ্যুত্থান’-এর হুমকি দেওয়ায় তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘণ্টা দুয়েক পর দ্বিতীয় পোস্টে তিনি ঘটনার দায় আবারও বিএনপির ওপর চাপান।

গোয়েন্দা ও রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, হামলাকারী শ্যুটারের সঙ্গে সাদিক কায়েমের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। পুরো ঘটনার পেছনে জামায়াতের সুপরিকল্পিত ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র বলছে, ওসমান হাদি পাকিস্তানের আইএসআই এজেন্ট ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের শীর্ষ নেতা ছিলেন। এছাড়া ওসমান হাদির বোনও ছাত্রী সংস্কার সদস্য। ওসমান হাদির নির্বাচন কেন্দ্রিক অর্থায়নও করেছিল জামায়াত নেতা ড. মাসুদ। নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমেরিকান নির্দেশেই ওসমান হাদিকে জামায়াত হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এর পেছনে পুরো পরিকল্পনাই আমেরিকার।

গণমাধ্যমের ওপর হামলার পরও চুপ আমেরিকা-জাতিসংঘ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে দুটি সংবাদমাধ্যমে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এখনও কোনো আওয়াজ করে সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ। উল্টো ওসমান হাদির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে যে মব হচ্ছে তাতে সমর্থন দিয়েছে আমেরিকা। এরইমধ্যে ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে দেশটি। তবে দেশজুড়ে যে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে তা নিয়ে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এদিকের বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকেও জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিতে দেখা গেছে। তারাও এই হামলা ঠেকানোর কোনো ইচ্ছা তারা দেখায়নি।

কেন বাংলাদেশে ভোট চায় না আমেরিকা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উদ্বেগের পেছনে চীন একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ যেন তার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) পক্ষে থাকে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিস্তৃত কৌশল, যার লক্ষ্য হচ্ছে পুরো অঞ্চলজুড়ে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করা।

ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি একটি নীলনকশার অংশ, যার লক্ষ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের আধিপত্য বিস্তার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারে চীন-সমর্থিত গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কৌশলগত অবস্থান নিতে সক্রিয় হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট, মানবিক করিডোর, এবং চট্টগ্রাম বন্দর—সব মিলে এই অঞ্চলটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে একটি “খ্রিস্টান রাজ্য” গঠনের ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকে, যা পূর্ব তিমুরের ঘটনার সাথে তুলনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগেও সতর্ক করে বলেছিলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কিছু অংশ নিয়ে এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র চলছে এবং এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা বাংলাদেশে একটি এয়ার বেজ স্থাপনের মাধ্যমেও এসেছে।

একাধিক সূত্র ও বিশ্লেষকের মতে, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এই ষড়যন্ত্রে “প্রক্সি নেতা” হিসেবে ব্যবহার করছে আমেরিকা। তাকে জাতিসংঘ মহাসচিব করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পশ্চিমা স্বার্থ রক্ষায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের সহায়তা, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে বাধা এবং বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির মতো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর পাকিস্তান-জামায়াত ও যুক্তরাষ্ট্রের এই সমন্বিত প্রচেষ্টা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। নিরাপত্তা বাহিনীতে জঙ্গি-সহানুভূতিশীলদের অনুপ্রবেশ, বিদেশি অর্থায়ন এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা কার্যক্রম বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, “পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সমন্বিত কৌশল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য সরাসরি হুমকি। বিদেশি অর্থায়ন ও জঙ্গি নেটওয়ার্ক দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে পারে। বাংলাদেশকে নিজের অভ্যন্তরীণ সংহতি বজায় রাখতে হবে এবং সরকারি তদারকি, গোয়েন্দা কার্যক্রম ও জনসচেতনতা জোরদার করতে হবে।”

আমেরিকান পরিকল্পনায় আসন্ন নির্বাচন বানচালের মিশন বাস্তবায়ন করতে নেমেছে জামায়াত। এই মিশনের অংশ হিসেবে এরইমধ্যে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন বানচাল করতে ওসমান হাদির ওপর হামলা হয়েছিল। হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব্যক্তি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে দায়ী করার অভিযোগ উঠেছে, যদিও এখনও কোনো নির্ভরযোগ্য তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। কিন্তু সবচেয়ে বিতর্কিত হয়ে উঠেছে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জামায়াত-ঘনিষ্ঠ ছাত্রনেতা আবু সাদিক কায়েমের ফেসবুক পোস্ট। হামলার মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে তার ভেরিফায়েড পেজে প্রথম পোস্টে তিনি লেখেন: “ওসমান হাদিকে গুলি করা হলো। চাঁদাবাজ ও গ্যাংস্টারদের কবল থেকে ঢাকা সিটিকে মুক্ত করতে অচিরেই আমাদের অভ্যুত্থান শুরু হবে। রাজধানীর ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই পোস্টে হাদির সুস্থতা কামনা বা সহানুভূতির কোনো কথা না থেকে সরাসরি ‘অভ্যুত্থান’-এর হুমকি দেওয়ায় তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘণ্টা দুয়েক পর দ্বিতীয় পোস্টে তিনি ঘটনার দায় আবারও বিএনপির ওপর চাপান।

গোয়েন্দা ও রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, হামলাকারী শ্যুটারের সঙ্গে সাদিক কায়েমের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। পুরো ঘটনার পেছনে জামায়াতের সুপরিকল্পিত ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র বলছে, ওসমান হাদি পাকিস্তানের আইএসআই এজেন্ট ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের শীর্ষ নেতা ছিলেন। এছাড়া ওসমান হাদির বোনও ছাত্রী সংস্কার সদস্য। ওসমান হাদির নির্বাচন কেন্দ্রিক অর্থায়নও করেছিল জামায়াত নেতা ড. মাসুদ। নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমেরিকান নির্দেশেই ওসমান হাদিকে জামায়াত হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এর পেছনে পুরো পরিকল্পনাই আমেরিকার।

গণমাধ্যমের ওপর হামলার পরও চুপ আমেরিকা-জাতিসংঘ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে দুটি সংবাদমাধ্যমে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এখনও কোনো আওয়াজ করে সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ। উল্টো ওসমান হাদির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে যে মব হচ্ছে তাতে সমর্থন দিয়েছে আমেরিকা। এরইমধ্যে ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে দেশটি। তবে দেশজুড়ে যে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে তা নিয়ে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এদিকের বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকেও জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিতে দেখা গেছে। তারাও এই হামলা ঠেকানোর কোনো ইচ্ছা তারা দেখায়নি।

কেন বাংলাদেশে ভোট চায় না আমেরিকা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উদ্বেগের পেছনে চীন একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ যেন তার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) পক্ষে থাকে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিস্তৃত কৌশল, যার লক্ষ্য হচ্ছে পুরো অঞ্চলজুড়ে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করা।

ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি একটি নীলনকশার অংশ, যার লক্ষ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের আধিপত্য বিস্তার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারে চীন-সমর্থিত গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কৌশলগত অবস্থান নিতে সক্রিয় হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট, মানবিক করিডোর, এবং চট্টগ্রাম বন্দর—সব মিলে এই অঞ্চলটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে একটি “খ্রিস্টান রাজ্য” গঠনের ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকে, যা পূর্ব তিমুরের ঘটনার সাথে তুলনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগেও সতর্ক করে বলেছিলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কিছু অংশ নিয়ে এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র চলছে এবং এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা বাংলাদেশে একটি এয়ার বেজ স্থাপনের মাধ্যমেও এসেছে।

একাধিক সূত্র ও বিশ্লেষকের মতে, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এই ষড়যন্ত্রে “প্রক্সি নেতা” হিসেবে ব্যবহার করছে আমেরিকা। তাকে জাতিসংঘ মহাসচিব করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পশ্চিমা স্বার্থ রক্ষায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের সহায়তা, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে বাধা এবং বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির মতো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর পাকিস্তান-জামায়াত ও যুক্তরাষ্ট্রের এই সমন্বিত প্রচেষ্টা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। নিরাপত্তা বাহিনীতে জঙ্গি-সহানুভূতিশীলদের অনুপ্রবেশ, বিদেশি অর্থায়ন এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা কার্যক্রম বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, “পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সমন্বিত কৌশল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য সরাসরি হুমকি। বিদেশি অর্থায়ন ও জঙ্গি নেটওয়ার্ক দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে পারে। বাংলাদেশকে নিজের অভ্যন্তরীণ সংহতি বজায় রাখতে হবে এবং সরকারি তদারকি, গোয়েন্দা কার্যক্রম ও জনসচেতনতা জোরদার করতে হবে।”

আরো পড়ুন

সর্বশেষ