Wednesday, December 17, 2025

বিজয়ের দিবসের আগের রাতে মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন: দেশটা এখন কোন জানোয়ারদের হাতে?

একজন মৃত মানুষের কবরে আগুন দিতে হলে কতটা নীচে নামতে হয়? শরীয়তপুরের নিয়ামতপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খানের কবরে যে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেটা দেখে মনে হচ্ছে এদেশে এখন এমন কিছু জীব ঘুরে বেড়াচ্ছে যাদের কাছে মানবিকতা বলে কিছু নেই। আর এই জীবগুলোকে লালনপালন করছে ইউনূস আর তার পোষা জামায়াতিরা।

দেখুন, ব্যাপারটা কী দাঁড়িয়েছে। জুলাই মাসে একটা সুপরিকল্পিত দাঙ্গা লাগিয়ে দেশের নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দেওয়া হলো। কারা করলো? বিদেশি টাকা, সেনাবাহিনীর একাংশের নীরব সমর্থন আর জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারবাহিনী মিলে। আর সামনে দাঁড় করানো হলো নোবেল প্রাইজওয়ালা এক সুদখোরকে, যার একমাত্র যোগ্যতা হলো গরীব মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা আদায় করা। এই লোকটা এখন দেশ চালাচ্ছে কোনো নির্বাচন ছাড়া, কোনো জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া।

আর এই অবৈধ ক্ষমতার ছত্রছায়ায় এখন যা হচ্ছে, তা ভয়াবহ। জামায়াতে ইসলামী, যে দলটা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে মিলে বাঙালি হত্যা করেছিলো, সেই দলটাই এখন মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের নেতারা, যাদের অনেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিলো, তারা এখন প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে। আর তাদের ক্যাডাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে আগুন দিচ্ছে।

ভাবুন তো, একজন মানুষ ১৯৭১ সালে দেশের জন্য যুদ্ধ করলো, পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করলো। ২০১০ সালে মারা গেলো। তার স্ত্রী প্রতিদিন তার কবরে গিয়ে ফাতেহা পড়েন। আর ২০২৪ সালে এসে কিছু জানোয়ার তার কবরে আগুন দিয়ে দিলো। কেন? কারণ সে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো। কারণ সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়েছিলো। কারণ জামায়াতিদের কাছে এখনো পাকিস্তান প্রিয়, বাংলাদেশ ঘৃণ্য।

ইউনূস আর তার সরকার এখন কী করছে? কিছুই না। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছে, সংস্কারের কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবে তারা জামায়াতিদের পুরো ছাড় দিয়ে রেখেছে। কারণ তারা জানে, জুলাইয়ের সেই ক্যু সফল হয়েছিলো এই জামায়াতিদের ক্যাডারবাহিনীর কারণেই। রাস্তায় যারা সহিংসতা চালিয়েছিলো, সরকারি ভবনে আগুন দিয়েছিলো, পুলিশের ওপর হামলা করেছিলো, তাদের বড় অংশই ছিলো জামায়াত-শিবিরের লোক। আর এখন ইউনূস তাদের খুশি রাখতে চাইছে।

কিন্তু সমস্যা হলো, জামায়াতকে খুশি রাখতে গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মেরে ফেলতে হয়। এটা অনিবার্য। কারণ জামায়াতের জন্ম হয়েছিলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করতে। তাদের পূর্বসূরি জামায়াতে ইসলামীর নেতারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো, রাজাকার-আলবদর বাহিনী গঠন করেছিলো, বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিলো। এই দলের আদর্শই হলো পাকিস্তানি ইসলাম, বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা। তো এই দলকে যখন ক্ষমতায় আনা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের টার্গেট হয়ে যায়।

আর শুধু জামায়াত না, তাদের সাথে আছে বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি সংগঠন। হেফাজতে ইসলাম, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জেএমবির বিভিন্ন অংশ। এরা সবাই এখন খোলাখুলি কাজ করছে। রাস্তায় মিছিল করছে, মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, আর সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলোর ওপর হামলা করছে। মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দেওয়া হলো একটা উদাহরণ মাত্র। আগামী দিনে আরো কী কী হবে, সেটা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে।

এখন প্রশ্ন হলো, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে? প্রথমত, দায়ী বিদেশি শক্তিগুলো। যারা বাংলাদেশে একটা নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে একটা পুতুল সরকার বসাতে চেয়েছিলো। কারা তারা? আমেরিকা, পাকিস্তান, কিছু মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। তারা টাকা দিয়েছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে, কূটনৈতিক চাপ দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, দায়ী সেনাবাহিনীর একাংশ। যারা রাজনৈতিক ক্ষমতায় ফিরে আসতে চেয়েছিলো।

১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই দেশ পিছিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের ক্ষমতার লোভ কখনো কমেনি। তৃতীয়ত, দায়ী ইউনূস নিজে। এই লোকটা জানতো সে কাদের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় আসছে। জানতো জামায়াতিরা তার পেছনে আছে, জঙ্গিরা তার পেছনে আছে। কিন্তু ক্ষমতার লোভে সে সব মেনে নিয়েছে। আর এখন তার সরকারের আমলে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস হচ্ছে।

মাহফুজা বেগম, যে বৃদ্ধা প্রতিদিন তার শহীদ স্বামীর কবরে যান, তিনি সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করেছেন, “আমি বিচার কার কাছে চাইবো?” প্রশ্নটা হৃদয়বিদারক। কারণ যারা বিচার দেওয়ার কথা, তারাই এখন অপরাধীদের সাথে। ইউনূসের সরকার কি এই ঘটনার তদন্ত করবে? করবে না। কারণ তদন্ত করলে সব ধরা পড়ে যাবে। জামায়াতি ক্যাডারদের নাম বেরিয়ে আসবে, আর তাতে তার সরকারের ভিত্তি নড়ে যাবে।

বিজয় দিবসের আগের রাতে একজন মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দেওয়া শুধু একটা একটা বার্তাই দিচ্ছে যে, এই দেশে এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জায়গা নেই। যারা ১৯৭১ সালে হেরে গিয়েছিলো, তারা এখন জিতে গেছে। যারা রাজাকার ছিলো, তারা এখন ক্ষমতায়। আর যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলো, তাদের কবরেও শান্তি নেই। এটাই বাস্তবতা ২০২৪ সালের বাংলাদেশে। ইউনূস আর তার জামায়াতি প্রভুদের রাজত্বে।

একজন মৃত মানুষের কবরে আগুন দিতে হলে কতটা নীচে নামতে হয়? শরীয়তপুরের নিয়ামতপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খানের কবরে যে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেটা দেখে মনে হচ্ছে এদেশে এখন এমন কিছু জীব ঘুরে বেড়াচ্ছে যাদের কাছে মানবিকতা বলে কিছু নেই। আর এই জীবগুলোকে লালনপালন করছে ইউনূস আর তার পোষা জামায়াতিরা।

দেখুন, ব্যাপারটা কী দাঁড়িয়েছে। জুলাই মাসে একটা সুপরিকল্পিত দাঙ্গা লাগিয়ে দেশের নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দেওয়া হলো। কারা করলো? বিদেশি টাকা, সেনাবাহিনীর একাংশের নীরব সমর্থন আর জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারবাহিনী মিলে। আর সামনে দাঁড় করানো হলো নোবেল প্রাইজওয়ালা এক সুদখোরকে, যার একমাত্র যোগ্যতা হলো গরীব মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা আদায় করা। এই লোকটা এখন দেশ চালাচ্ছে কোনো নির্বাচন ছাড়া, কোনো জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া।

আর এই অবৈধ ক্ষমতার ছত্রছায়ায় এখন যা হচ্ছে, তা ভয়াবহ। জামায়াতে ইসলামী, যে দলটা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে মিলে বাঙালি হত্যা করেছিলো, সেই দলটাই এখন মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের নেতারা, যাদের অনেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিলো, তারা এখন প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে। আর তাদের ক্যাডাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে আগুন দিচ্ছে।

ভাবুন তো, একজন মানুষ ১৯৭১ সালে দেশের জন্য যুদ্ধ করলো, পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করলো। ২০১০ সালে মারা গেলো। তার স্ত্রী প্রতিদিন তার কবরে গিয়ে ফাতেহা পড়েন। আর ২০২৪ সালে এসে কিছু জানোয়ার তার কবরে আগুন দিয়ে দিলো। কেন? কারণ সে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো। কারণ সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়েছিলো। কারণ জামায়াতিদের কাছে এখনো পাকিস্তান প্রিয়, বাংলাদেশ ঘৃণ্য।

ইউনূস আর তার সরকার এখন কী করছে? কিছুই না। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছে, সংস্কারের কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবে তারা জামায়াতিদের পুরো ছাড় দিয়ে রেখেছে। কারণ তারা জানে, জুলাইয়ের সেই ক্যু সফল হয়েছিলো এই জামায়াতিদের ক্যাডারবাহিনীর কারণেই। রাস্তায় যারা সহিংসতা চালিয়েছিলো, সরকারি ভবনে আগুন দিয়েছিলো, পুলিশের ওপর হামলা করেছিলো, তাদের বড় অংশই ছিলো জামায়াত-শিবিরের লোক। আর এখন ইউনূস তাদের খুশি রাখতে চাইছে।

কিন্তু সমস্যা হলো, জামায়াতকে খুশি রাখতে গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মেরে ফেলতে হয়। এটা অনিবার্য। কারণ জামায়াতের জন্ম হয়েছিলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করতে। তাদের পূর্বসূরি জামায়াতে ইসলামীর নেতারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো, রাজাকার-আলবদর বাহিনী গঠন করেছিলো, বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিলো। এই দলের আদর্শই হলো পাকিস্তানি ইসলাম, বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা। তো এই দলকে যখন ক্ষমতায় আনা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের টার্গেট হয়ে যায়।

আর শুধু জামায়াত না, তাদের সাথে আছে বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি সংগঠন। হেফাজতে ইসলাম, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জেএমবির বিভিন্ন অংশ। এরা সবাই এখন খোলাখুলি কাজ করছে। রাস্তায় মিছিল করছে, মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, আর সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলোর ওপর হামলা করছে। মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দেওয়া হলো একটা উদাহরণ মাত্র। আগামী দিনে আরো কী কী হবে, সেটা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে।

এখন প্রশ্ন হলো, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে? প্রথমত, দায়ী বিদেশি শক্তিগুলো। যারা বাংলাদেশে একটা নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে একটা পুতুল সরকার বসাতে চেয়েছিলো। কারা তারা? আমেরিকা, পাকিস্তান, কিছু মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। তারা টাকা দিয়েছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে, কূটনৈতিক চাপ দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, দায়ী সেনাবাহিনীর একাংশ। যারা রাজনৈতিক ক্ষমতায় ফিরে আসতে চেয়েছিলো।

১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই দেশ পিছিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের ক্ষমতার লোভ কখনো কমেনি। তৃতীয়ত, দায়ী ইউনূস নিজে। এই লোকটা জানতো সে কাদের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় আসছে। জানতো জামায়াতিরা তার পেছনে আছে, জঙ্গিরা তার পেছনে আছে। কিন্তু ক্ষমতার লোভে সে সব মেনে নিয়েছে। আর এখন তার সরকারের আমলে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস হচ্ছে।

মাহফুজা বেগম, যে বৃদ্ধা প্রতিদিন তার শহীদ স্বামীর কবরে যান, তিনি সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করেছেন, “আমি বিচার কার কাছে চাইবো?” প্রশ্নটা হৃদয়বিদারক। কারণ যারা বিচার দেওয়ার কথা, তারাই এখন অপরাধীদের সাথে। ইউনূসের সরকার কি এই ঘটনার তদন্ত করবে? করবে না। কারণ তদন্ত করলে সব ধরা পড়ে যাবে। জামায়াতি ক্যাডারদের নাম বেরিয়ে আসবে, আর তাতে তার সরকারের ভিত্তি নড়ে যাবে।

বিজয় দিবসের আগের রাতে একজন মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দেওয়া শুধু একটা একটা বার্তাই দিচ্ছে যে, এই দেশে এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জায়গা নেই। যারা ১৯৭১ সালে হেরে গিয়েছিলো, তারা এখন জিতে গেছে। যারা রাজাকার ছিলো, তারা এখন ক্ষমতায়। আর যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলো, তাদের কবরেও শান্তি নেই। এটাই বাস্তবতা ২০২৪ সালের বাংলাদেশে। ইউনূস আর তার জামায়াতি প্রভুদের রাজত্বে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ