Wednesday, December 10, 2025

নিম্নমানের বই, উচ্চমানের দুর্নীতি: ইউনুস সরকারের শিক্ষা সংস্কার

দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে আবারও নিম্নমানের পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার আয়োজন চলছে। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য যেসব বই ছাপা হচ্ছে, সেগুলোর বড় একটা অংশে নির্ধারিত মানদণ্ড মানা হচ্ছে না। কাগজের গুণমান থেকে শুরু করে ছাপার মান পর্যন্ত সবকিছুতেই চলছে প্রতারণা। অথচ যে সরকার সংস্কারের নামে ক্ষমতায় বসেছে, শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের কথা বলেছে, সেই সরকারের আমলেই এই দুর্নীতি চলছে নির্বিঘ্নে।

নোয়াখালীর চারটি প্রিন্টিং প্রেস এবার ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের পাঠ্যবই ছাপার দায়িত্ব পেয়েছে। এই চারটি প্রতিষ্ঠান পরস্পর সম্পর্কিত। দুই ভাই আর তাদের ভগ্নিপতির মালিকানায় থাকা এই প্রেসগুলো আগের বছরেও একই ধরনের কাজ করেছে। নিম্নমানের বই ছাপিয়ে, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে তারা পার পেয়ে গেছে। এবারও একই পথে হাঁটছে তারা। যে কাগজে বই ছাপার কথা ছিল ৮০ জিএসএম আর ৮৫ ব্রাইটনেসের, সেখানে দেওয়া হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ জিএসএমের কাগজ। ব্রাইটনেসও ৮০-এর বেশি উঠছে না। এর মানে হলো বইগুলো আরও পাতলা, আরও নিম্নমানের।

যে কাগজের বাজারমূল্য প্রতি টন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, তার বদলে ৯০ হাজার টাকার রিসাইকেলড কাগজ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কাগজে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভার্জিন পাল্প, বাকিটা পুরোনো কাগজ থেকে তৈরি। এমন কাগজে ছাপা বই ছয় মাসও টিকবে না। শিক্ষার্থীদের চোখের ওপরও পড়বে বাড়তি চাপ। কিন্তু এসব নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই।

যারা এই দুর্নীতি ধরতে গেছেন, তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা নোয়াখালী থেকে নিম্নমানের কাগজের নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসার সময় তার ব্যাগ কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর অন্য কর্মকর্তারা ওই প্রেসগুলোতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। ইন্সপেকশন এজেন্টদেরও বাধ্য করা হচ্ছে ভালো কাগজের নমুনা পরীক্ষা করতে। আসল যে নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপা হচ্ছে, সেটা লুকিয়ে রাখা হচ্ছে।

এনসিটিবির ভেতরেই এমন কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন যারা এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। তারা একজন রাজনৈতিক নেতার নাম করে অন্যদের ভয় দেখান। নিম্নমানের বই দেখেও ভালো রিপোর্ট দিতে বাধ্য করেন। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষেও এই প্রেসগুলো থেকে ৮০ শতাংশ নিম্নমানের বই সরবরাহ করা হয়েছিল। তদন্ত শুরু হলেও তা থেমে গেছে। কেউ কোনো শাস্তি পায়নি। ফলে এবারও তারা একই কাজ করার সাহস পাচ্ছে।

মুদ্রণ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষরাই বলছেন, এই সিন্ডিকেট আগেও কয়েকশ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। শুধু কাগজের মানে কম খরচ করেই তারা অর্ধেক টাকা লোপাট করেছে। এবারও তাই হতে চলেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আর এনসিটিবির দায়িত্ব ছিল কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু সেখানে চরম ব্যর্থতা দেখা যাচ্ছে।

এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা হলো, যে সরকার নৈতিকতা আর সুশাসনের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের আমলে কীভাবে এত বড় দুর্নীতি চলছে? ইউনুস আর তার সহযোগীরা যখন নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলতেন। এখন নিজেরা দায়িত্বে এসে কী করছেন? শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতেও চলছে নির্লজ্জ লুটপাট। কোটি কোটি শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের বই। তাদের চোখের ক্ষতি হবে, বই ছিঁড়ে যাবে, কিন্তু দায়িত্বশীল কেউ মাথা ঘামাচ্ছেন না।

যে চক্র এই দুর্নীতি করছে, তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় আছে বলেই তারা এত সাহসী। তারা জানে, তাদের কিছু হবে না। এনসিটিবির কর্মকর্তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে, ব্যাগ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, অথচ সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। এটা কি স্বীকার করে নেওয়া নয় যে দুর্নীতিবাজদের হাতে দেশ জিম্মি? নাকি এই সিন্ডিকেটের সাথে সরকারের ভেতরের কারো যোগাযোগ আছে?

নতুন সরকার যেভাবে ক্ষমতায় এসেছে, যেসব দাবি নিয়ে এসেছে, তাতে এই ধরনের দুর্নীতি হওয়ার কথা ছিল না। বরং উচিত ছিল আগের সব দুর্নীতিবাজদের বিচারের মুখোমুখি করা। কিন্তু সেটা না করে তাদের আরও ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন আরও নির্ভয়ে কাজ করছে তারা।

এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ৩০ কোটি বই ছাপার কাজ চলছে। এর মধ্যে যদি বড় একটা অংশ নিম্নমানের হয়, তাহলে পুরো শিক্ষাবর্ষটাই নষ্ট হবে। শিক্ষার্থীরা ভুগবে। অভিভাবকরা টাকা খরচ করে নতুন বই কিনতে বাধ্য হবেন। আর যারা এই দুর্নীতি করছে, তারা মোটা অঙ্কের টাকা পকেটে পুরে হাসবে।

ইউনুস সরকার যদি সত্যিই সংস্কার চায়, যদি সুশাসন চায়, তাহলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সিন্ডিকেটকে ভেঙে ফেলতে হবে। যারা নিম্নমানের বই সরবরাহ করছে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এনসিটিবির ভেতরে যারা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, তাদের চিহ্নিত করে বের করে দিতে হবে। না হলে শিক্ষা খাতে যে দুর্নীতি চলছে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।

কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো, এসব ব্যাপারে সরকারের কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সংস্কারের নামে তারা ব্যস্ত অন্য অনেক কিছু নিয়ে। শিক্ষার মতো মৌলিক খাত যেখানে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, সেদিকে তাদের নজর নেই। এটাই হয়তো তাদের আসল চরিত্র। মুখে অনেক বড় বড় কথা, কাজে কিছুই না।

দেশের মানুষ দেখছে। বুঝছে। এই সরকার এসেছিল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে। কিন্তু পরিবর্তনের জায়গায় যা হচ্ছে, তা আরও খারাপ দিকে যাচ্ছে। শিক্ষা খাতে দুর্নীতি নতুন কিছু নয়, কিন্তু একটা অবৈধ সরকারের আমলে এই দুর্নীতি যখন আরও প্রকটভাবে চলতে থাকে, তখন প্রশ্ন ওঠে তাদের নৈতিক অবস্থান নিয়ে। যাদের গণতান্ত্রিক বৈধতা নেই, তারা কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে? কীভাবে তারা জবাবদিহি করবে?

শিক্ষার্থীদের হাতে যে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেটা শুধু কাগজ আর কালির সমষ্টি নয়। এটা তাদের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম, ভবিষ্যৎ গড়ার হাতিয়ার। সেই হাতিয়ার যদি নিম্নমানের হয়, তাহলে পুরো প্রজন্মই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই দায় কে নেবে? ইউনুস নেবেন? নাকি তার শিক্ষা উপদেষ্টা নেবেন? নাকি সবাই মিলে চুপচাপ থেকে এই দুর্নীতি চলতে দেবেন?

বাস্তবতা হলো, যতদিন এই ধরনের অবৈধ সরকার দেশ চালাবে, ততদিন এই দুর্নীতি চলবে। কারণ তাদের নিজেদেরই কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা নির্বাচনে আসেনি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তাই জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করার প্রয়োজনও নেই। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতিবাজরা যে মাথা তুলে দাঁড়াবে, সেটাই স্বাভাবিক।

দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে আবারও নিম্নমানের পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার আয়োজন চলছে। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য যেসব বই ছাপা হচ্ছে, সেগুলোর বড় একটা অংশে নির্ধারিত মানদণ্ড মানা হচ্ছে না। কাগজের গুণমান থেকে শুরু করে ছাপার মান পর্যন্ত সবকিছুতেই চলছে প্রতারণা। অথচ যে সরকার সংস্কারের নামে ক্ষমতায় বসেছে, শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের কথা বলেছে, সেই সরকারের আমলেই এই দুর্নীতি চলছে নির্বিঘ্নে।

নোয়াখালীর চারটি প্রিন্টিং প্রেস এবার ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের পাঠ্যবই ছাপার দায়িত্ব পেয়েছে। এই চারটি প্রতিষ্ঠান পরস্পর সম্পর্কিত। দুই ভাই আর তাদের ভগ্নিপতির মালিকানায় থাকা এই প্রেসগুলো আগের বছরেও একই ধরনের কাজ করেছে। নিম্নমানের বই ছাপিয়ে, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে তারা পার পেয়ে গেছে। এবারও একই পথে হাঁটছে তারা। যে কাগজে বই ছাপার কথা ছিল ৮০ জিএসএম আর ৮৫ ব্রাইটনেসের, সেখানে দেওয়া হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ জিএসএমের কাগজ। ব্রাইটনেসও ৮০-এর বেশি উঠছে না। এর মানে হলো বইগুলো আরও পাতলা, আরও নিম্নমানের।

যে কাগজের বাজারমূল্য প্রতি টন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, তার বদলে ৯০ হাজার টাকার রিসাইকেলড কাগজ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কাগজে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভার্জিন পাল্প, বাকিটা পুরোনো কাগজ থেকে তৈরি। এমন কাগজে ছাপা বই ছয় মাসও টিকবে না। শিক্ষার্থীদের চোখের ওপরও পড়বে বাড়তি চাপ। কিন্তু এসব নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই।

যারা এই দুর্নীতি ধরতে গেছেন, তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা নোয়াখালী থেকে নিম্নমানের কাগজের নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসার সময় তার ব্যাগ কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর অন্য কর্মকর্তারা ওই প্রেসগুলোতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। ইন্সপেকশন এজেন্টদেরও বাধ্য করা হচ্ছে ভালো কাগজের নমুনা পরীক্ষা করতে। আসল যে নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপা হচ্ছে, সেটা লুকিয়ে রাখা হচ্ছে।

এনসিটিবির ভেতরেই এমন কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন যারা এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। তারা একজন রাজনৈতিক নেতার নাম করে অন্যদের ভয় দেখান। নিম্নমানের বই দেখেও ভালো রিপোর্ট দিতে বাধ্য করেন। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষেও এই প্রেসগুলো থেকে ৮০ শতাংশ নিম্নমানের বই সরবরাহ করা হয়েছিল। তদন্ত শুরু হলেও তা থেমে গেছে। কেউ কোনো শাস্তি পায়নি। ফলে এবারও তারা একই কাজ করার সাহস পাচ্ছে।

মুদ্রণ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষরাই বলছেন, এই সিন্ডিকেট আগেও কয়েকশ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। শুধু কাগজের মানে কম খরচ করেই তারা অর্ধেক টাকা লোপাট করেছে। এবারও তাই হতে চলেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আর এনসিটিবির দায়িত্ব ছিল কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু সেখানে চরম ব্যর্থতা দেখা যাচ্ছে।

এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা হলো, যে সরকার নৈতিকতা আর সুশাসনের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের আমলে কীভাবে এত বড় দুর্নীতি চলছে? ইউনুস আর তার সহযোগীরা যখন নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলতেন। এখন নিজেরা দায়িত্বে এসে কী করছেন? শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতেও চলছে নির্লজ্জ লুটপাট। কোটি কোটি শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের বই। তাদের চোখের ক্ষতি হবে, বই ছিঁড়ে যাবে, কিন্তু দায়িত্বশীল কেউ মাথা ঘামাচ্ছেন না।

যে চক্র এই দুর্নীতি করছে, তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় আছে বলেই তারা এত সাহসী। তারা জানে, তাদের কিছু হবে না। এনসিটিবির কর্মকর্তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে, ব্যাগ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, অথচ সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। এটা কি স্বীকার করে নেওয়া নয় যে দুর্নীতিবাজদের হাতে দেশ জিম্মি? নাকি এই সিন্ডিকেটের সাথে সরকারের ভেতরের কারো যোগাযোগ আছে?

নতুন সরকার যেভাবে ক্ষমতায় এসেছে, যেসব দাবি নিয়ে এসেছে, তাতে এই ধরনের দুর্নীতি হওয়ার কথা ছিল না। বরং উচিত ছিল আগের সব দুর্নীতিবাজদের বিচারের মুখোমুখি করা। কিন্তু সেটা না করে তাদের আরও ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন আরও নির্ভয়ে কাজ করছে তারা।

এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ৩০ কোটি বই ছাপার কাজ চলছে। এর মধ্যে যদি বড় একটা অংশ নিম্নমানের হয়, তাহলে পুরো শিক্ষাবর্ষটাই নষ্ট হবে। শিক্ষার্থীরা ভুগবে। অভিভাবকরা টাকা খরচ করে নতুন বই কিনতে বাধ্য হবেন। আর যারা এই দুর্নীতি করছে, তারা মোটা অঙ্কের টাকা পকেটে পুরে হাসবে।

ইউনুস সরকার যদি সত্যিই সংস্কার চায়, যদি সুশাসন চায়, তাহলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সিন্ডিকেটকে ভেঙে ফেলতে হবে। যারা নিম্নমানের বই সরবরাহ করছে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এনসিটিবির ভেতরে যারা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, তাদের চিহ্নিত করে বের করে দিতে হবে। না হলে শিক্ষা খাতে যে দুর্নীতি চলছে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।

কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো, এসব ব্যাপারে সরকারের কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সংস্কারের নামে তারা ব্যস্ত অন্য অনেক কিছু নিয়ে। শিক্ষার মতো মৌলিক খাত যেখানে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, সেদিকে তাদের নজর নেই। এটাই হয়তো তাদের আসল চরিত্র। মুখে অনেক বড় বড় কথা, কাজে কিছুই না।

দেশের মানুষ দেখছে। বুঝছে। এই সরকার এসেছিল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে। কিন্তু পরিবর্তনের জায়গায় যা হচ্ছে, তা আরও খারাপ দিকে যাচ্ছে। শিক্ষা খাতে দুর্নীতি নতুন কিছু নয়, কিন্তু একটা অবৈধ সরকারের আমলে এই দুর্নীতি যখন আরও প্রকটভাবে চলতে থাকে, তখন প্রশ্ন ওঠে তাদের নৈতিক অবস্থান নিয়ে। যাদের গণতান্ত্রিক বৈধতা নেই, তারা কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে? কীভাবে তারা জবাবদিহি করবে?

শিক্ষার্থীদের হাতে যে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেটা শুধু কাগজ আর কালির সমষ্টি নয়। এটা তাদের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম, ভবিষ্যৎ গড়ার হাতিয়ার। সেই হাতিয়ার যদি নিম্নমানের হয়, তাহলে পুরো প্রজন্মই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই দায় কে নেবে? ইউনুস নেবেন? নাকি তার শিক্ষা উপদেষ্টা নেবেন? নাকি সবাই মিলে চুপচাপ থেকে এই দুর্নীতি চলতে দেবেন?

বাস্তবতা হলো, যতদিন এই ধরনের অবৈধ সরকার দেশ চালাবে, ততদিন এই দুর্নীতি চলবে। কারণ তাদের নিজেদেরই কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা নির্বাচনে আসেনি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তাই জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করার প্রয়োজনও নেই। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতিবাজরা যে মাথা তুলে দাঁড়াবে, সেটাই স্বাভাবিক।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ