Wednesday, December 10, 2025

ফোনে আড়ি পাতার নির্লজ্জ স্বীকারোক্তি; লজ্জাহীনতাই ইউনুসের রাষ্ট্রীয় নীতি

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকাল সচিবালয়ে দাঁড়িয়ে যা বললেন, তা শুনে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বরং বলা যায়, অবশেষে মুখ খুললেন। স্বীকার করলেন যে হ্যাঁ, এই সরকার মানুষের ফোনে আড়ি পাতে। এবং তাদের মতে এটা একদম বৈধ, কারণ নাকি তাদের ‘অনুমোদন’ আছে। এখন প্রশ্ন হলো, কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন? যে সরকার নিজেই অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে, সেই সরকারের দেয়া অনুমোদনের মূল্য কী?

দেশে গত দেড় বছরে যা ঘটেছে, তার পুরোটাই একটা সুপরিকল্পিত নাটক। জুলাইয়ে যে সহিংসতা হলো, যেভাবে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আগুন দেয়া হলো, সরকারি ভবন ভাঙচুর করা হলো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পঙ্গু করে দেয়া হলো, সেটা কি সত্যিই স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন ছিল? যে আন্দোলনে হঠাৎ করে রাতারাতি অত্যাধুনিক অস্ত্র চলে এলো, সংগঠিত হামলার কৌশল দেখা গেলো, সেটা কি ছাত্রদের একার পক্ষে সম্ভব? এর পেছনে যে বিদেশি অর্থায়ন ছিল, যে জঙ্গি সংগঠনগুলো সুযোগ পেয়ে মাঠে নেমেছিল, যে সামরিক মহলের একাংশ নীরবে সমর্থন দিয়েছিল, সেটা এখন আর গোপন নেই।

আর সেই অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের একজন উপদেষ্টা এখন বলছেন তারা জনগণের ফোনে আড়ি পাতার অধিকার রাখেন। কোন অধিকারে? সংবিধান তো তাদের এই ক্ষমতা দেয়নি। জনগণের ভোট তো তারা পাননি। তাহলে এই অনুমোদন কোথা থেকে এলো? নিজেরাই নিজেদের অনুমোদন দিয়ে নিলেন, এটাই তো সত্য।

আড়ি পাতার বিষয়টা আসলে ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকেই চলছিল। জুলাইয়ের পর থেকে কত মানুষ যে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তার হিসাব নেই। কীভাবে তারা জানতো কে কোথায়, কে কার সাথে যোগাযোগ করছে, কে কী বলছে? ফোন ট্যাপিং ছাড়া এটা সম্ভব নয়। অনেকেই লক্ষ্য করেছেন, তাদের ব্যক্তিগত কথাবার্তা কীভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পৌঁছে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লেখার পরপরই হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেকে। এখন সেই কাজটাই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করলেন।

যে দেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা হয়, সেই দেশে প্রাইভেসি বলে আর কিছু থাকে না। প্রতিটি নাগরিক তখন সন্দেহভাজন হয়ে ওঠে। প্রতিটি ফোন কল হয়ে ওঠে নজরদারির বিষয়। প্রতিটি মেসেজ হয়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় তথ্যভাণ্ডারের অংশ। এটাই হলো একটা অবৈধ সরকারের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। তাদের বৈধতা নেই বলেই তারা ভয়ে থাকে। তারা জানে জনগণ তাদের চায় না। তাই জনগণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়, ভয় দেখাতে হয়।

মুহাম্মদ ইউনূস একজন সুদী ব্যাংকের মালিক। তার গ্রামীণ ব্যাংক দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে নিজেকে দরিদ্রবান্ধব হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রচার করেছে। নোবেল পুরস্কার পেয়েছে সেই সুদখোরির জন্যই। তার এনজিও সাম্রাজ্য তৈরি হয়েছে পশ্চিমা দাতাদের অর্থে। এবং এখন সেই পশ্চিমা প্রভুদের স্বার্থেই তাকে বসানো হয়েছে দেশের শীর্ষে। তার চারপাশে যারা উপদেষ্টা হয়ে বসেছেন, তাদের বেশিরভাগেরই কোনো জনসমর্থন নেই, জনগণ তাদের চেনেও না। কিন্তু তারা এখন দেশ চালাচ্ছেন। এবং জনগণের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপের অধিকারও নিয়ে নিয়েছেন।

এই সরকার জানে তাদের ভিত্তি দুর্বল। তাই তারা প্রতিটি নাগরিককে সন্দেহের চোখে দেখছে। প্রতিটি ফোন কল, প্রতিটি মেসেজ, প্রতিটি কথাবার্তা এখন নজরদারিতে। তারা বলছেন এটা নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু কার নিরাপত্তা? দেশের নাকি তাদের চেয়ারের? একটা বৈধ, নির্বাচিত সরকারের এতটা ভয়ে থাকার কথা নয়। কিন্তু যে সরকার জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছে, সেই সরকার জনগণকে ভয় পাবেই। এবং সেই ভয়ের ফসলই হলো এই ব্যাপক নজরদারি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, যাদের অনুমোদন নেই তারা আড়ি পাতবে না। মানে কী? মানে হলো যাদের অনুমোদন আছে তারা পাতবে। কিন্তু কারা সেই অনুমোদনপ্রাপ্ত? কোন আইনে তারা এই অনুমোদন পেয়েছে? কোন আদালতের নির্দেশে? নাকি শুধুমাত্র এই অবৈধ সরকারের খেয়ালখুশিতে? এবং সবচেয়ে বড় কথা, এই নজরদারির বিরুদ্ধে নাগরিকদের আপত্তি করার বা প্রতিকার চাওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে কি? উত্তর হলো না। কারণ এটা একটা একনায়কতান্ত্রিক ব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্র সবকিছু দেখবে, শুনবে, জানবে, কিন্তু নাগরিকের কোনো অধিকার থাকবে না জানার, প্রশ্ন করার, আপত্তি করার।

এই সরকারের আমলে দেশে একটা পুলিশি রাষ্ট্র তৈরি হয়েছে। যেখানে প্রতিটি নাগরিক সন্দেহভাজন, প্রতিটি কথা শোনা হচ্ছে, প্রতিটি পদক্ষেপ ট্র্যাক করা হচ্ছে। এবং এখন সেই নজরদারিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। এটা একটা বিপজ্জনক নজির। একবার যদি সরকার মনে করে যে সে নাগরিকদের সব কিছু জানার অধিকার রাখে, তাহলে সেই সরকার আর কোনো সীমা মানবে না। আজ ফোনে আড়ি, কাল হয়তো ঘরে ক্যামেরা বসানো, পরশু হয়তো চিন্তাভাবনাও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।

যে সরকার জনগণের ভোটে আসেনি, সেই সরকার জনগণের আস্থাও পাবে না। তাই তাদের একমাত্র অবলম্বন হলো ভয় আর নজরদারি। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর এই স্বীকারোক্তি আসলে একটা ব্যর্থ সরকারের আত্মস্বীকার। তারা জানে তারা টিকে আছে শুধুমাত্র দমন আর নিয়ন্ত্রণের জোরে, জনসমর্থনের জোরে নয়। এবং সেই কারণেই তাদের প্রয়োজন প্রতিটি নাগরিকের ওপর নজর রাখা। কারণ তারা জানে, যেদিন জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে, সেদিন তাদের এই অবৈধ শাসনের অবসান হবে। আর সেই দিনটা যেন না আসে, সেজন্যই এই ব্যাপক নজরদারি, এই ভয়ের রাজত্ব।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকাল সচিবালয়ে দাঁড়িয়ে যা বললেন, তা শুনে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বরং বলা যায়, অবশেষে মুখ খুললেন। স্বীকার করলেন যে হ্যাঁ, এই সরকার মানুষের ফোনে আড়ি পাতে। এবং তাদের মতে এটা একদম বৈধ, কারণ নাকি তাদের ‘অনুমোদন’ আছে। এখন প্রশ্ন হলো, কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন? যে সরকার নিজেই অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে, সেই সরকারের দেয়া অনুমোদনের মূল্য কী?

দেশে গত দেড় বছরে যা ঘটেছে, তার পুরোটাই একটা সুপরিকল্পিত নাটক। জুলাইয়ে যে সহিংসতা হলো, যেভাবে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আগুন দেয়া হলো, সরকারি ভবন ভাঙচুর করা হলো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পঙ্গু করে দেয়া হলো, সেটা কি সত্যিই স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন ছিল? যে আন্দোলনে হঠাৎ করে রাতারাতি অত্যাধুনিক অস্ত্র চলে এলো, সংগঠিত হামলার কৌশল দেখা গেলো, সেটা কি ছাত্রদের একার পক্ষে সম্ভব? এর পেছনে যে বিদেশি অর্থায়ন ছিল, যে জঙ্গি সংগঠনগুলো সুযোগ পেয়ে মাঠে নেমেছিল, যে সামরিক মহলের একাংশ নীরবে সমর্থন দিয়েছিল, সেটা এখন আর গোপন নেই।

আর সেই অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের একজন উপদেষ্টা এখন বলছেন তারা জনগণের ফোনে আড়ি পাতার অধিকার রাখেন। কোন অধিকারে? সংবিধান তো তাদের এই ক্ষমতা দেয়নি। জনগণের ভোট তো তারা পাননি। তাহলে এই অনুমোদন কোথা থেকে এলো? নিজেরাই নিজেদের অনুমোদন দিয়ে নিলেন, এটাই তো সত্য।

আড়ি পাতার বিষয়টা আসলে ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকেই চলছিল। জুলাইয়ের পর থেকে কত মানুষ যে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তার হিসাব নেই। কীভাবে তারা জানতো কে কোথায়, কে কার সাথে যোগাযোগ করছে, কে কী বলছে? ফোন ট্যাপিং ছাড়া এটা সম্ভব নয়। অনেকেই লক্ষ্য করেছেন, তাদের ব্যক্তিগত কথাবার্তা কীভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পৌঁছে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লেখার পরপরই হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেকে। এখন সেই কাজটাই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করলেন।

যে দেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা হয়, সেই দেশে প্রাইভেসি বলে আর কিছু থাকে না। প্রতিটি নাগরিক তখন সন্দেহভাজন হয়ে ওঠে। প্রতিটি ফোন কল হয়ে ওঠে নজরদারির বিষয়। প্রতিটি মেসেজ হয়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় তথ্যভাণ্ডারের অংশ। এটাই হলো একটা অবৈধ সরকারের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। তাদের বৈধতা নেই বলেই তারা ভয়ে থাকে। তারা জানে জনগণ তাদের চায় না। তাই জনগণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়, ভয় দেখাতে হয়।

মুহাম্মদ ইউনূস একজন সুদী ব্যাংকের মালিক। তার গ্রামীণ ব্যাংক দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে নিজেকে দরিদ্রবান্ধব হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রচার করেছে। নোবেল পুরস্কার পেয়েছে সেই সুদখোরির জন্যই। তার এনজিও সাম্রাজ্য তৈরি হয়েছে পশ্চিমা দাতাদের অর্থে। এবং এখন সেই পশ্চিমা প্রভুদের স্বার্থেই তাকে বসানো হয়েছে দেশের শীর্ষে। তার চারপাশে যারা উপদেষ্টা হয়ে বসেছেন, তাদের বেশিরভাগেরই কোনো জনসমর্থন নেই, জনগণ তাদের চেনেও না। কিন্তু তারা এখন দেশ চালাচ্ছেন। এবং জনগণের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপের অধিকারও নিয়ে নিয়েছেন।

এই সরকার জানে তাদের ভিত্তি দুর্বল। তাই তারা প্রতিটি নাগরিককে সন্দেহের চোখে দেখছে। প্রতিটি ফোন কল, প্রতিটি মেসেজ, প্রতিটি কথাবার্তা এখন নজরদারিতে। তারা বলছেন এটা নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু কার নিরাপত্তা? দেশের নাকি তাদের চেয়ারের? একটা বৈধ, নির্বাচিত সরকারের এতটা ভয়ে থাকার কথা নয়। কিন্তু যে সরকার জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছে, সেই সরকার জনগণকে ভয় পাবেই। এবং সেই ভয়ের ফসলই হলো এই ব্যাপক নজরদারি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, যাদের অনুমোদন নেই তারা আড়ি পাতবে না। মানে কী? মানে হলো যাদের অনুমোদন আছে তারা পাতবে। কিন্তু কারা সেই অনুমোদনপ্রাপ্ত? কোন আইনে তারা এই অনুমোদন পেয়েছে? কোন আদালতের নির্দেশে? নাকি শুধুমাত্র এই অবৈধ সরকারের খেয়ালখুশিতে? এবং সবচেয়ে বড় কথা, এই নজরদারির বিরুদ্ধে নাগরিকদের আপত্তি করার বা প্রতিকার চাওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে কি? উত্তর হলো না। কারণ এটা একটা একনায়কতান্ত্রিক ব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্র সবকিছু দেখবে, শুনবে, জানবে, কিন্তু নাগরিকের কোনো অধিকার থাকবে না জানার, প্রশ্ন করার, আপত্তি করার।

এই সরকারের আমলে দেশে একটা পুলিশি রাষ্ট্র তৈরি হয়েছে। যেখানে প্রতিটি নাগরিক সন্দেহভাজন, প্রতিটি কথা শোনা হচ্ছে, প্রতিটি পদক্ষেপ ট্র্যাক করা হচ্ছে। এবং এখন সেই নজরদারিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। এটা একটা বিপজ্জনক নজির। একবার যদি সরকার মনে করে যে সে নাগরিকদের সব কিছু জানার অধিকার রাখে, তাহলে সেই সরকার আর কোনো সীমা মানবে না। আজ ফোনে আড়ি, কাল হয়তো ঘরে ক্যামেরা বসানো, পরশু হয়তো চিন্তাভাবনাও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।

যে সরকার জনগণের ভোটে আসেনি, সেই সরকার জনগণের আস্থাও পাবে না। তাই তাদের একমাত্র অবলম্বন হলো ভয় আর নজরদারি। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর এই স্বীকারোক্তি আসলে একটা ব্যর্থ সরকারের আত্মস্বীকার। তারা জানে তারা টিকে আছে শুধুমাত্র দমন আর নিয়ন্ত্রণের জোরে, জনসমর্থনের জোরে নয়। এবং সেই কারণেই তাদের প্রয়োজন প্রতিটি নাগরিকের ওপর নজর রাখা। কারণ তারা জানে, যেদিন জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে, সেদিন তাদের এই অবৈধ শাসনের অবসান হবে। আর সেই দিনটা যেন না আসে, সেজন্যই এই ব্যাপক নজরদারি, এই ভয়ের রাজত্ব।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ