বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তথা ইউনূসের ক্যাঙ্গারু কোর্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় আগামীকাল সোমবার ঘোষণা করা হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া জামায়াত। তাদের আইনজীবীরাই রয়েছেন এই মামলার প্রসিকিউশনে। তারা শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচারের প্রতিশোধ নিতে চায়। এ রায় নিয়ে উদ্বিগ্ন আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা, উদ্বেগ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।
এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান। তিনি দাবি করেন, তাজুল ইসলাম, শিশির মনিরদের চালাকি পুরোটাই ফাঁস হয়ে গেছে।
আজ রোববার ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, মনের অজান্তে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে সবাই, বিচারের নামে তামাশা চলছে। এককালের মানবতাবিরোধী আসামির পক্ষ নেওয়া আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাহেব আজ নিজেই মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কারো বিচার করছে, এর চেয়ে হাস্যকর কি হতে পারে। বিষয়টা বিচারকে ৭১-এর মানবতাবিরোধীদের বিচারের প্রতিশোধের মতো লাগছে। রায় ঘোষণার আগে একজন নিরপেক্ষ ব্যাক্তিকে চিফ প্রসিকিউটর করার দাবি জানাচ্ছি।
ওই পোস্টে মো. তারেক রহমান বলেন, পলাতককে হয়ত ফাঁসির রায় দেবে, যাকে এ জীবনে দেশে আনা যাবে না, আর আটককে রাজসাক্ষী বানিয়ে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করবে।
এই বিচারকার্য নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ জানান আমজনতার দলের সদস্য সচিব। তিনি বলেন, জুলাই নিয়ে বিচার ও আইনি গতিপথ পুরোটাই পথভ্রষ্ট। তাজুল ইসলাম, শিশির মনিরদের চালাকি পুরোটাই ফাঁস হয়ে গেছে, আইজিপি মামুনকে নিয়ে একটা বড় দান মেরে দিয়েছে। পুরো জুলাই মামলা তাদের নির্বাচনী ব্যায়ের-আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। আবার দেখবেন লোক দেখানো বিচার করতে দু-চারজন এমপি মন্ত্রীকে ফাঁসিও দিয়ে দিতে পারে।
এদিকে শেখ হাসিনার রায় নিয়ে সন্দেহের কথা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। । এ রায় ঘোষণার আগে পূর্ণ ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত একটি বার্তা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল। ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আগামীকাল (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছে, যেখানে গত বছরের ঢাকায় সংঘটিত প্রাণঘাতী সহিংসতা ও দমনপীড়নের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা পূর্ণ ন্যায়বিচার এবং স্বচ্ছতা দাবি জানাই।’
সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তার অনুপস্থিতিতে যে বিচার চলছে, তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের’ সাজানো এক ‘প্রহসন’। ‘এই বিচার শুরু থেকেই ‘পূর্বনির্ধারিত রায়ের দিকে’ এগোচ্ছে।

