বাংলাদেশের ইতিহাসে আইসিটি আদালত ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য। যারা ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে, গ্রামে গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছে, যারা স্বাধীনতার পতাকা জ্বালিয়ে দিতে চেয়েছিল তাদের বিচার হয়েছে এই আদালতে।
কিন্তু আজ, সেই একই আদালতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিচার করা হচ্ছে! অথচ সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিচার করার জন্য তাদের নিজস্ব বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু অন্যায়ভাবে কেন আইসিটি আদালতেই সেনাবাহিনীর বিচার করা হচ্ছে?
মূল কারণ হচ্ছে সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ তৈরী করা, দেশের জনগণের কাছে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করা। সেনাবাহিনীকে দূর্বল করতে পারলেই দেশ দখলকারী ইউনুস বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারবে। তখন দেশের নিয়ন্ত্রণ বিদেশী শক্তির কাছে তুলে দেওয়াটা অনেক সহজ হবে। দেশ চলবে বিদেশী শক্তির নিয়ন্ত্রণে, বাধা দেওয়ার কেউ থাকবেনা।
কাজেই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্যের বিচার এই কোর্টে হতে পারে না। এটা ন্যায়ের পরিপন্থী, সংবিধানের পরিপন্থী, জাতির আত্মসম্মানের পরিপন্থী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য এই কোর্টে হাজিরা দেবে না, এটাই হওয়া উচিত জাতির অবস্থান।
এই মুহূর্তে আইসিটি আদালত বন্ধ করতে হবে। সকল রাজবন্দী, সকল দেশপ্রেমিক সেনা সদস্য এবং মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আটক সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। আমরা ভুলিনি— ৭১-এ কারা গণহত্যা করেছিল, কারা ধর্ষণ করেছিল, কারা এই মাটিকে কলঙ্কিত করেছিল। তাদের বিচার হয়েছে আইসিটিতে।
কিন্তু আজ সেই একই আদালত যদি স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়, তবে সেটা ন্যায়বিচার নয়— এটা হবে প্রতিশোধের এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বাংলাদেশের মানুষ এটা মেনে নেবে না। এই দেশ স্বাধীনতা-বিরোধীদের নয়, এই দেশ স্বাধীনতার সৈনিকদের।

