Monday, December 1, 2025

ভারতকে অস্থিতিশীল করতে পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তাদের ঘনঘন ঢাকা সফর

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতকে অস্থিতিশীল করতে ঘনঘন ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তারা। আর তাদেরকে এ সুযোগ করে দিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একটি বিশেষ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ রোববার (৯ অক্টোবর) তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা ঢাকা সফর করেন। এর আগে গত জুনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী-এর তিন ব্রিগেডিয়ার ঢাকায় আসেন। তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-এর কক্সবাজারের রামুতে অবস্থিত ১০ম পদাতিক ডিভিশনের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন।

সিনিয়র বাংলাদেশি সামরিক কর্মকর্তারা রামু সেনানিবাসে এ সফর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এটি বর্তমানে আরাকান আর্মিকে সহায়তার ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত। আর এই আরাকান আর্মিকে তারা কাজে লাগাতে চায় ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে অস্থিতিশীল করতে।

পাকিস্তানের নৌবাহিনী প্রধানের সফরের আগেই চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান থেকে আসা এক জাহাজে মিলেছে নিষিদ্ধ পপি বীজ।

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নভেম্বরে পাকিস্তানের করাচি থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এটি ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের পর করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে নোঙর করা প্রথম কোনও জাহাজ। ওই জাহাজে অবৈধ জিনিসপত্র ছিল বলে তখন খবর বের হয়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। সূত্র বলছে, পাকিস্তান ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে টার্গেট করতে চাইছে। অস্ত্রসহ বিভিন্ন মাদক পণ্য তারা বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতে ঢোকাতে চাইছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক কূটনীতি শুধু আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক জোরদারের উদ্দেশ্যে নয়, এর পেছনে আঞ্চলিক কৌশলগত লক্ষ্যও থাকতে পারে। তার মতে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল — যাকে “সেভেন সিস্টার্স” বলা হয় — অঞ্চলটি বহু বছর ধরেই বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমের জন্য সংবেদনশীল। পাকিস্তান অতীতে এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে, এবং বর্তমানে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর গতিবিধি ঘিরে নতুন করে সেই আগ্রহ দেখা দিতে পারে।

তারা বলেন, পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তাদের ঘনঘন ঢাকা সফর সেই প্রেক্ষাপটে সতর্কতার সঙ্গে দেখা উচিত। যদি এসব সফর স্বচ্ছ ও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া হয়, তবে এতে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বাড়তে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতকে অস্থিতিশীল করতে ঘনঘন ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তারা। আর তাদেরকে এ সুযোগ করে দিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একটি বিশেষ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ রোববার (৯ অক্টোবর) তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা ঢাকা সফর করেন। এর আগে গত জুনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী-এর তিন ব্রিগেডিয়ার ঢাকায় আসেন। তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-এর কক্সবাজারের রামুতে অবস্থিত ১০ম পদাতিক ডিভিশনের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন।

সিনিয়র বাংলাদেশি সামরিক কর্মকর্তারা রামু সেনানিবাসে এ সফর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এটি বর্তমানে আরাকান আর্মিকে সহায়তার ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত। আর এই আরাকান আর্মিকে তারা কাজে লাগাতে চায় ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে অস্থিতিশীল করতে।

পাকিস্তানের নৌবাহিনী প্রধানের সফরের আগেই চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান থেকে আসা এক জাহাজে মিলেছে নিষিদ্ধ পপি বীজ।

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নভেম্বরে পাকিস্তানের করাচি থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এটি ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের পর করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে নোঙর করা প্রথম কোনও জাহাজ। ওই জাহাজে অবৈধ জিনিসপত্র ছিল বলে তখন খবর বের হয়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। সূত্র বলছে, পাকিস্তান ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে টার্গেট করতে চাইছে। অস্ত্রসহ বিভিন্ন মাদক পণ্য তারা বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতে ঢোকাতে চাইছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক কূটনীতি শুধু আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক জোরদারের উদ্দেশ্যে নয়, এর পেছনে আঞ্চলিক কৌশলগত লক্ষ্যও থাকতে পারে। তার মতে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল — যাকে “সেভেন সিস্টার্স” বলা হয় — অঞ্চলটি বহু বছর ধরেই বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমের জন্য সংবেদনশীল। পাকিস্তান অতীতে এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে, এবং বর্তমানে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর গতিবিধি ঘিরে নতুন করে সেই আগ্রহ দেখা দিতে পারে।

তারা বলেন, পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তাদের ঘনঘন ঢাকা সফর সেই প্রেক্ষাপটে সতর্কতার সঙ্গে দেখা উচিত। যদি এসব সফর স্বচ্ছ ও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া হয়, তবে এতে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বাড়তে পারে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ