Monday, December 1, 2025

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ততই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার তথা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, “উনি ভারতে বসে কি করছেন, কি নির্দেশ দিচ্ছেন—সেগুলো অবশ্যই আমাদের মনিটরিংয়ে আছে।” অর্থাৎ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে থামানোর পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সরকারের কর্মকাণ্ডে মানুষ এখন অতিষ্ঠ। তারা বৈষম্যের কথা বলে আন্দোলন করে, অথচ নিজেরাই লুটপাটে ব্যস্ত। তারাও বুঝতে পেরেছে দেশে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে তাদের মনে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ধারণা, শিগগিরই ভিডিও সাক্ষাৎকারে আসতে পারেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। এ ইঙ্গিত দিয়েছে বিবিসি। তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে যদি ভিডিও ক্যামেরার সামনে বসে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা যায়, তাহলেও বোধহয় অবাক হওয়ার কিছু নেই।”

এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। ১০ নভেম্বর থেকে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউনের ঘোষণাও দিয়েছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে , মাঠপর্যায় থেকে ৫০ শতাংশ সেনাসদস্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় দেশবিরোধী চক্রের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। কারণ সেনাবাহিনী না থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সহজেই রাজপথ দখলে নিতে পারবে।

গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নয়, বরং দরিদ্রদের মর্যাদা, নারীদের ক্ষমতায়ন এবং দুর্বলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্প, নারী-কেন্দ্রিক এসএমই প্রোগ্রাম এবং বয়স্ক ও অসহায়দের জন্য ভাতা দিয়ে শেখ হাসিনা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন, যেখানে সুযোগ ও সহানুভূতি মিলেমিশে একাকার হয়েছে।

তিনি শুধু পরিবর্তনের কথা বলেননি, পরিবর্তনকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। আজ লাখ লাখ বাংলাদেশি গর্বের সঙ্গে বলতে পারে—তার কারণে তারা আরও ভালো, নিরাপদ ও আশাবাদী জীবন যাপন করছে। শেখ হাসিনার গল্প কেবল নেতৃত্বের নয়; এটি জনগণের প্রতি তার ভালোবাসা ও সেই প্রতিশ্রুতির গল্প, যা তিনি রক্ষা করেছেন। প্রতিটি বাংলাদেশির জীবনমান উন্নত করা ও তাদের জীবন বদলে দেওয়াই ছিল তার মিশন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের সবচেয়ে সংগঠিত ও জনভিত্তিসম্পন্ন রাজনৈতিক শক্তির প্রতীক। অন্তর্বর্তী সরকারের চাপ, আন্তর্জাতিক অবস্থান কিংবা প্রশাসনিক বাধা—কোনোটিই তার রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা কমাতে পারেনি। বরং দূর থেকে থাকলেও তার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব বাড়ছে।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার নাম মানেই স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের প্রতীক। যতদিন তিনি আছেন, আওয়ামী লীগ মাঠে ও মনে উভয় জায়গাতেই শক্ত অবস্থান ধরে রাখবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ততই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার তথা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, “উনি ভারতে বসে কি করছেন, কি নির্দেশ দিচ্ছেন—সেগুলো অবশ্যই আমাদের মনিটরিংয়ে আছে।” অর্থাৎ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে থামানোর পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সরকারের কর্মকাণ্ডে মানুষ এখন অতিষ্ঠ। তারা বৈষম্যের কথা বলে আন্দোলন করে, অথচ নিজেরাই লুটপাটে ব্যস্ত। তারাও বুঝতে পেরেছে দেশে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে তাদের মনে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ধারণা, শিগগিরই ভিডিও সাক্ষাৎকারে আসতে পারেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। এ ইঙ্গিত দিয়েছে বিবিসি। তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে যদি ভিডিও ক্যামেরার সামনে বসে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা যায়, তাহলেও বোধহয় অবাক হওয়ার কিছু নেই।”

এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। ১০ নভেম্বর থেকে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউনের ঘোষণাও দিয়েছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে , মাঠপর্যায় থেকে ৫০ শতাংশ সেনাসদস্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় দেশবিরোধী চক্রের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। কারণ সেনাবাহিনী না থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সহজেই রাজপথ দখলে নিতে পারবে।

গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নয়, বরং দরিদ্রদের মর্যাদা, নারীদের ক্ষমতায়ন এবং দুর্বলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্প, নারী-কেন্দ্রিক এসএমই প্রোগ্রাম এবং বয়স্ক ও অসহায়দের জন্য ভাতা দিয়ে শেখ হাসিনা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন, যেখানে সুযোগ ও সহানুভূতি মিলেমিশে একাকার হয়েছে।

তিনি শুধু পরিবর্তনের কথা বলেননি, পরিবর্তনকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। আজ লাখ লাখ বাংলাদেশি গর্বের সঙ্গে বলতে পারে—তার কারণে তারা আরও ভালো, নিরাপদ ও আশাবাদী জীবন যাপন করছে। শেখ হাসিনার গল্প কেবল নেতৃত্বের নয়; এটি জনগণের প্রতি তার ভালোবাসা ও সেই প্রতিশ্রুতির গল্প, যা তিনি রক্ষা করেছেন। প্রতিটি বাংলাদেশির জীবনমান উন্নত করা ও তাদের জীবন বদলে দেওয়াই ছিল তার মিশন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের সবচেয়ে সংগঠিত ও জনভিত্তিসম্পন্ন রাজনৈতিক শক্তির প্রতীক। অন্তর্বর্তী সরকারের চাপ, আন্তর্জাতিক অবস্থান কিংবা প্রশাসনিক বাধা—কোনোটিই তার রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা কমাতে পারেনি। বরং দূর থেকে থাকলেও তার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব বাড়ছে।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার নাম মানেই স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের প্রতীক। যতদিন তিনি আছেন, আওয়ামী লীগ মাঠে ও মনে উভয় জায়গাতেই শক্ত অবস্থান ধরে রাখবে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ