এক বছরে বন্ধ হয়েছে ২৫৮টি কারখানা, প্রেস সচিব বলছেন খারাপ কিছু না। লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের শ্রমের কোন মূল্যই নাই অবৈধ সরকারের কাছে? বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে পোশাক খাত থেকে। আবার এই খাতেই দেশের জনশক্তির বিশাল একটি অংশ কর্মরত আছেন। কিন্তু এই খাতকে শক্তিশালি করার বদলে ধ্বংস করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে ড ইউনুস ও তার জঙ্গিবাহিনী।
গত এক বছরে ২৫৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু জানিয়েছেন গত এক বছরে ২৫৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। এতে বেকার হয়েছেন এক লক্ষেরও বেশি মানুষ, হাজারো পরিবারের কাছে এখন আয়ের কোন উৎস নেই। এদের মধ্যে অনেকেই বেআইনি কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে, পোশাকশিল্পঘন এলাকায় ও এর আশে পাশের এলাকায় উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই রাহাজানির মত ঘটনা।
এই তথ্যের প্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম (‘ডাস্টবিন শফিক’-নামে সর্বাধিক পরিচিত) বলেছেন “নন-কমপ্লায়েন্ট কারখানা বন্ধ হওয়া দেশের জন্য খারাপ কিছু না।” নন-কমপ্লায়েন্ট বলে উল্লেখ করা কারখানাগুলো মূলত বিজিএমইএ’র তালিকাভুক্ত ছোট ও মাঝারি আকারের পোশাক কারখানা যারা কমপ্লায়েন্ট কারখানার উদ্বৃত্ত অর্ডারের কাজ সাব-কন্ট্রাক্টে করে থাকে।
এই কারখানাগুলো আছে বলে বড় কারখানাগুলো সক্ষমতার বেশি অর্ডার নিয়েও সময়মতন ডেলিভারি দিতে পারে। বড় কারখানাগুলো যদি অর্ডার সময়মতো ডেলিভারি দিতে না পারে, তাহলে খারাপ কিছু হবে কি না, সেটা বুঝতে শিল্পপতি, বিজনেস গুরু হওয়ার প্রয়োজন নেই। অর্ডার ডেলিভারি দিতে না পারলে ভবিষ্যতে অর্ডার কম আসবে, ক্লায়েন্টরা অন্য দেশে চলে যাবে, আমরা বৈদেশিক মুদ্রা হারাবো, আমাদের শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই খারাপ কিছু কি না, সেটা দেশের মানুষ ঠিকই বুঝতে পারছে।
জুলাই আন্দোলন মূলত ছিল দেশ ধ্বংস করার লক্ষ্যে জঙ্গিদের তৎপরতা। এই জঙ্গি হামলার পরে যারা ক্ষমতায় আরোহন করেছে, তাদের একটাই লক্ষ্য দেশকে সর্বতভাবে পরনির্ভরশীল করে দিয়ে একটি ব্যর্থ, ভিক্ষুক রাষ্ট্রে পরিণত করা। এই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে ইউনুস-শফিকুলের মত বিদেশি চর, জঙ্গি সর্দাররা। এদেরকে বিচারের মুখোমুখি না করা পর্যন্ত দেশের মানুষের মুক্তি মিলবে না।

