Wednesday, November 5, 2025

বাংলাদেশিদের জীবনমান উন্নত করাই ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার মিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
“আমার স্বপ্ন সহজ: প্রতিটি নাগরিকের একটি বাড়ি, মর্যাদা এবং সুযোগ থাকবে।” কথাগুলো আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার। দায়িত্বের প্রথম দিন থেকেই শেখ হাসিনার মিশন ছিল প্রতিটি বাংলাদেশিকে উন্নীত করা, সমৃদ্ধির পথে কাউকেই পিছনে না ফেলা।

ষোল বছর ধরে তিনি সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে কর্মে রূপ দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্ব শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নয়, বরং দরিদ্রদের মর্যাদা, নারীদের ক্ষমতায়ন এবং দুর্বলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্প, নারী-কেন্দ্রিক এসএমই প্রোগ্রাম এবং বয়স্ক ও অসহায়দের জন্য ভাতা দিয়ে শেখ হাসিনা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন, যেখানে সুযোগ ও সহানুভূতি মিলেমিশে একাকার হয়েছে।

তিনি শুধু পরিবর্তনের কথা বলেননি, পরিবর্তনকে সক্রিয় করেছেন। দুর্যোগপীড়িত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে গ্রামীণ নারীদের মাইক্রোক্রেডিটের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন—সবখানেই তিনি ছিলেন অভিভাবক, দূরদর্শী ও জাতির মা হিসেবে।

আজ লাখ লাখ বাংলাদেশি গর্বের সঙ্গে বলতে পারে—তাঁর কারণে তারা আরও ভালো, নিরাপদ ও আশাবাদী জীবন যাপন করছে। শেখ হাসিনার গল্প কেবল নেতৃত্বের নয়; এটি জনগণের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও সেই প্রতিশ্রুতির গল্প, যা তিনি রক্ষা করেছেন—প্রতিটি বাংলাদেশিকে উন্নীত করা, একে একে জীবন বদলে দেওয়া।

আশ্রয়ণ প্রকল্প: গৃহহীনদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া
আশ্রয়ণ প্রকল্প শুরু হয়েছিল মানবতার কর্ম হিসেবে, এক ট্র্যাজেডির প্রতিক্রিয়া হিসেবে। ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের পর হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়লে শেখ হাসিনা কল্পনা করেছিলেন এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের মাথার ওপর একটি ছাদ থাকবে। যা একসময় জরুরি ত্রাণ প্রচেষ্টা হিসেবে শুরু হয়েছিল, তা শিগগিরই পরিণত হয় জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচিতে।

বছরের পর বছর প্রকল্পটি অকল্পনীয়ভাবে প্রসারিত হয়েছে। দেড় কোটির বেশি মানুষ পেয়েছে নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ। যে গ্রামগুলো একসময় হতাশায় নিমজ্জিত ছিল, সেগুলো এখন হাসি, আশা ও সুযোগের স্পন্দনে গমগম করছে। যে শিশুরা একসময় খোলা আকাশের নিচে ঘুমাত, তারা এখন প্রতিদিন স্কুলে যায়। যে পরিবারগুলো একসময় ভুলে যাওয়া হয়েছিল, তারা এখন ঠিকানা, স্বপ্ন ও মর্যাদা পেয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্প কেবল আশ্রয় নয়; এটি জাতীয় করুণা ও গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। প্রমাণ করেছে—মানবতায় ভরপুর নেতৃত্ব শুধু ঘর নয়, জীবনও বদলে দিতে পারে। এর প্রভাবে বদলে গেছে গ্রামীণ বাংলাদেশের চেহারা; চরম দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়েছে এবং হাজারো নারী-নেতৃত্বাধীন পরিবার তাদের নতুন ঘরে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পেয়েছে।

জমির মালিকানার মাধ্যমে অনেক নারী সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছেন, সাহায্যের নিষ্ক্রিয় গ্রহীতা থেকে পরিবর্তনের সক্রিয় এজেন্টে পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনা একবার বলেছিলেন— “যখন আপনি কাউকে একটি ঘর দেন, আপনি তাকে একটি ভবিষ্যৎ দেন।” তাঁর নেতৃত্বে সেই ভবিষ্যৎ আর স্বপ্ন নয়; এটি লাখ লাখ মানুষের জন্য জীবন্ত বাস্তবতা।

নারীরা উঠে দাঁড়ায়, বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হয়
নারীর ক্ষমতায়ন শেখ হাসিনার কাছে কখনো কেবল নীতি ছিল না—এটি ছিল সমতা, মর্যাদা ও জাতীয় অগ্রগতির মিশন। তিনি বুঝেছিলেন, নারীরা যখন উঠে দাঁড়ায়, পরিবার সমৃদ্ধ হয়, জাতি এগিয়ে যায়। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় এক বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে।

বিস্তৃত মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রাম এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে (এসএমই) সরাসরি সহায়তার মাধ্যমে শেখ হাসিনা লাখ লাখ গ্রামীণ নারীর উদ্যোক্তা হওয়ার পথ খুলে দিয়েছেন। সেলাই ও হস্তশিল্প থেকে শুরু করে কৃষি, খাদ্য উৎপাদন এবং অনলাইন ব্যবসা পর্যন্ত—বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে নারীরা পেয়েছে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ। সহজ ঋণ, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও সরকার-সমর্থিত সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে এক স্বনির্ভর নারী প্রজন্ম, যারা আর দারিদ্র্য বা নির্ভরশীলতায় আবদ্ধ নয়।

এই ক্ষমতায়ন শুধু সামাজিক নয়, অর্থনৈতিকও বটে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, বিশেষ করে গার্মেন্টস ও সেবা খাতে—ফলে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের এক বিশ্ব মডেলে। জিডিপিতে তাদের ক্রমবর্ধমান অবদান প্রমাণ করে শেখ হাসিনার বিশ্বাস—সত্যিকারের অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি নারী নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

আজ বিশ্ব বাংলাদেশকে কেবল তার প্রবৃদ্ধির জন্য নয়, বরং সেই প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রে নারীদের রাখার সাহসের জন্য স্বীকৃতি দেয়। আর এর কেন্দ্রে আছেন শেখ হাসিনা—যিনি ক্ষমতায়নকে কর্মে, আর স্বপ্নকে জীবিকায় রূপ দিয়েছেন।

সত্যিকারের নেতৃত্ব জাতির সবচেয়ে দুর্বলদের কীভাবে রক্ষা করে, তা দিয়েই পরিমাপ করা হয়। শেখ হাসিনা এটি গভীরভাবে বুঝেছিলেন। তাঁর কাছে উন্নয়ন কখনো সম্পূর্ণ ছিল না, যতক্ষণ না বয়স্ক, বিধবা, ভিন্নভাবে সক্ষম ও দরিদ্ররা নিরাপদ, সম্মানিত ও যত্নপ্রাপ্ত হয়।

তার মানবিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিস্তৃত সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক। বয়স্ক ভাতা, বিধবা অনুদান, অক্ষমতা সহায়তা ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে লাখ লাখ দুর্বল নাগরিক পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত সহায়তা। প্রতিটি নীতিই বহন করেছে এক গভীর বার্তা—প্রতিটি বাংলাদেশি, তার পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মর্যাদার যোগ্য।

তাঁর পদ্ধতি ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক; নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে সাহায্য দেশের সবচেয়ে দুর্গম স্থানেও পৌঁছায়। যে পরিবারগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনিশ্চয়তায় ছিল, তারা পেয়েছে স্থিতিশীলতা। একসময় ভুলে যাওয়া বয়স্করা এখন পাচ্ছেন আর্থিক ও মানসিক নিরাপত্তা।

বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারির সময়, যখন অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছিল, শেখ হাসিনার সরকার বাড়িয়েছে নগদ সহায়তা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবা—অভূতপূর্ব মাত্রায়। তাঁর দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপ নিশ্চিত করেছে যে, এমনকি সবচেয়ে কঠিন সময়েও “কেউ ক্ষুধার্ত ঘুমায়নি।”

প্রতিটি পদক্ষেপে শেখ হাসিনার কল্যাণদর্শন প্রতিফলিত করেছে এক মায়ের হৃদয়। তিনি শুধু নীতি প্রণয়ন করেননি; সহায়তা ও মানবতায় বোনা এক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক গড়েছেন, যা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, কেউ পিছনে পড়ে নেই।

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সংজ্ঞায়িত হয়েছে সহানুভূতি ও কর্মের মাধ্যমে। তিনি বন্যার পানিতে হেঁটেছেন, দুর্যোগপীড়িতদের সান্ত্বনা দিয়েছেন এবং কর্মসূচির মাধ্যমে কষ্ট থেকে উঠে আসা নারী উদ্যোক্তাদের কথা শুনেছেন। লাখ লাখ মানুষের কাছে তিনি নেতা নয়, ছিলেন মাতৃতুল্য এক অভিভাবক—যিনি তাদের সংগ্রাম ও স্বপ্ন ভাগ করে নিয়েছেন।

তার ১৬ বছরের নিরবচ্ছিন্ন কল্যাণদর্শন গড়ে তুলেছে আরও মানবিক ও সমান বাংলাদেশ। আশ্রয়ণ ঘর, বয়স্ক ভাতা, নারীদের সুযোগ—সবই ছিল ভালোবাসার প্রতিফলন, যা জীবন বদলে দিয়েছে। আজও অনেকে স্মরণ করে—“যেদিন শেখ হাসিনা আমাদের একটি ছাদ দিয়েছিলেন।”

তাঁর স্বপ্ন, ভিশন ২০৪১, বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল একটি সম্পূর্ণ উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতি গড়া। কিন্তু তাঁর প্রস্থান ও ইউনুসের শাসন সেই অগ্রগতি ব্যাহত করেছে; অসংখ্য প্রকল্প স্থগিত, আর সুবিধাভোগীরা অনিশ্চয়তায়।

তিনি যে মানবতার বীজ বপন করেছেন, তা মুছে ফেলা যায় না। বাংলাদেশকে তাঁর স্বপ্ন মরতে দেওয়া উচিত নয়—কারণ এটাই সেই স্বপ্ন, যা একটি জাতিকে আশা করতে, গড়তে ও একসাথে উঠতে শিখিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
“আমার স্বপ্ন সহজ: প্রতিটি নাগরিকের একটি বাড়ি, মর্যাদা এবং সুযোগ থাকবে।” কথাগুলো আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার। দায়িত্বের প্রথম দিন থেকেই শেখ হাসিনার মিশন ছিল প্রতিটি বাংলাদেশিকে উন্নীত করা, সমৃদ্ধির পথে কাউকেই পিছনে না ফেলা।

ষোল বছর ধরে তিনি সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে কর্মে রূপ দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্ব শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নয়, বরং দরিদ্রদের মর্যাদা, নারীদের ক্ষমতায়ন এবং দুর্বলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্প, নারী-কেন্দ্রিক এসএমই প্রোগ্রাম এবং বয়স্ক ও অসহায়দের জন্য ভাতা দিয়ে শেখ হাসিনা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন, যেখানে সুযোগ ও সহানুভূতি মিলেমিশে একাকার হয়েছে।

তিনি শুধু পরিবর্তনের কথা বলেননি, পরিবর্তনকে সক্রিয় করেছেন। দুর্যোগপীড়িত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে গ্রামীণ নারীদের মাইক্রোক্রেডিটের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন—সবখানেই তিনি ছিলেন অভিভাবক, দূরদর্শী ও জাতির মা হিসেবে।

আজ লাখ লাখ বাংলাদেশি গর্বের সঙ্গে বলতে পারে—তাঁর কারণে তারা আরও ভালো, নিরাপদ ও আশাবাদী জীবন যাপন করছে। শেখ হাসিনার গল্প কেবল নেতৃত্বের নয়; এটি জনগণের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও সেই প্রতিশ্রুতির গল্প, যা তিনি রক্ষা করেছেন—প্রতিটি বাংলাদেশিকে উন্নীত করা, একে একে জীবন বদলে দেওয়া।

আশ্রয়ণ প্রকল্প: গৃহহীনদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া
আশ্রয়ণ প্রকল্প শুরু হয়েছিল মানবতার কর্ম হিসেবে, এক ট্র্যাজেডির প্রতিক্রিয়া হিসেবে। ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের পর হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়লে শেখ হাসিনা কল্পনা করেছিলেন এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের মাথার ওপর একটি ছাদ থাকবে। যা একসময় জরুরি ত্রাণ প্রচেষ্টা হিসেবে শুরু হয়েছিল, তা শিগগিরই পরিণত হয় জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচিতে।

বছরের পর বছর প্রকল্পটি অকল্পনীয়ভাবে প্রসারিত হয়েছে। দেড় কোটির বেশি মানুষ পেয়েছে নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ। যে গ্রামগুলো একসময় হতাশায় নিমজ্জিত ছিল, সেগুলো এখন হাসি, আশা ও সুযোগের স্পন্দনে গমগম করছে। যে শিশুরা একসময় খোলা আকাশের নিচে ঘুমাত, তারা এখন প্রতিদিন স্কুলে যায়। যে পরিবারগুলো একসময় ভুলে যাওয়া হয়েছিল, তারা এখন ঠিকানা, স্বপ্ন ও মর্যাদা পেয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্প কেবল আশ্রয় নয়; এটি জাতীয় করুণা ও গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। প্রমাণ করেছে—মানবতায় ভরপুর নেতৃত্ব শুধু ঘর নয়, জীবনও বদলে দিতে পারে। এর প্রভাবে বদলে গেছে গ্রামীণ বাংলাদেশের চেহারা; চরম দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়েছে এবং হাজারো নারী-নেতৃত্বাধীন পরিবার তাদের নতুন ঘরে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পেয়েছে।

জমির মালিকানার মাধ্যমে অনেক নারী সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছেন, সাহায্যের নিষ্ক্রিয় গ্রহীতা থেকে পরিবর্তনের সক্রিয় এজেন্টে পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনা একবার বলেছিলেন— “যখন আপনি কাউকে একটি ঘর দেন, আপনি তাকে একটি ভবিষ্যৎ দেন।” তাঁর নেতৃত্বে সেই ভবিষ্যৎ আর স্বপ্ন নয়; এটি লাখ লাখ মানুষের জন্য জীবন্ত বাস্তবতা।

নারীরা উঠে দাঁড়ায়, বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হয়
নারীর ক্ষমতায়ন শেখ হাসিনার কাছে কখনো কেবল নীতি ছিল না—এটি ছিল সমতা, মর্যাদা ও জাতীয় অগ্রগতির মিশন। তিনি বুঝেছিলেন, নারীরা যখন উঠে দাঁড়ায়, পরিবার সমৃদ্ধ হয়, জাতি এগিয়ে যায়। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় এক বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে।

বিস্তৃত মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রাম এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে (এসএমই) সরাসরি সহায়তার মাধ্যমে শেখ হাসিনা লাখ লাখ গ্রামীণ নারীর উদ্যোক্তা হওয়ার পথ খুলে দিয়েছেন। সেলাই ও হস্তশিল্প থেকে শুরু করে কৃষি, খাদ্য উৎপাদন এবং অনলাইন ব্যবসা পর্যন্ত—বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে নারীরা পেয়েছে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ। সহজ ঋণ, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও সরকার-সমর্থিত সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে এক স্বনির্ভর নারী প্রজন্ম, যারা আর দারিদ্র্য বা নির্ভরশীলতায় আবদ্ধ নয়।

এই ক্ষমতায়ন শুধু সামাজিক নয়, অর্থনৈতিকও বটে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, বিশেষ করে গার্মেন্টস ও সেবা খাতে—ফলে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের এক বিশ্ব মডেলে। জিডিপিতে তাদের ক্রমবর্ধমান অবদান প্রমাণ করে শেখ হাসিনার বিশ্বাস—সত্যিকারের অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি নারী নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

আজ বিশ্ব বাংলাদেশকে কেবল তার প্রবৃদ্ধির জন্য নয়, বরং সেই প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রে নারীদের রাখার সাহসের জন্য স্বীকৃতি দেয়। আর এর কেন্দ্রে আছেন শেখ হাসিনা—যিনি ক্ষমতায়নকে কর্মে, আর স্বপ্নকে জীবিকায় রূপ দিয়েছেন।

সত্যিকারের নেতৃত্ব জাতির সবচেয়ে দুর্বলদের কীভাবে রক্ষা করে, তা দিয়েই পরিমাপ করা হয়। শেখ হাসিনা এটি গভীরভাবে বুঝেছিলেন। তাঁর কাছে উন্নয়ন কখনো সম্পূর্ণ ছিল না, যতক্ষণ না বয়স্ক, বিধবা, ভিন্নভাবে সক্ষম ও দরিদ্ররা নিরাপদ, সম্মানিত ও যত্নপ্রাপ্ত হয়।

তার মানবিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিস্তৃত সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক। বয়স্ক ভাতা, বিধবা অনুদান, অক্ষমতা সহায়তা ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে লাখ লাখ দুর্বল নাগরিক পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত সহায়তা। প্রতিটি নীতিই বহন করেছে এক গভীর বার্তা—প্রতিটি বাংলাদেশি, তার পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মর্যাদার যোগ্য।

তাঁর পদ্ধতি ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক; নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে সাহায্য দেশের সবচেয়ে দুর্গম স্থানেও পৌঁছায়। যে পরিবারগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনিশ্চয়তায় ছিল, তারা পেয়েছে স্থিতিশীলতা। একসময় ভুলে যাওয়া বয়স্করা এখন পাচ্ছেন আর্থিক ও মানসিক নিরাপত্তা।

বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারির সময়, যখন অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছিল, শেখ হাসিনার সরকার বাড়িয়েছে নগদ সহায়তা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবা—অভূতপূর্ব মাত্রায়। তাঁর দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপ নিশ্চিত করেছে যে, এমনকি সবচেয়ে কঠিন সময়েও “কেউ ক্ষুধার্ত ঘুমায়নি।”

প্রতিটি পদক্ষেপে শেখ হাসিনার কল্যাণদর্শন প্রতিফলিত করেছে এক মায়ের হৃদয়। তিনি শুধু নীতি প্রণয়ন করেননি; সহায়তা ও মানবতায় বোনা এক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক গড়েছেন, যা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, কেউ পিছনে পড়ে নেই।

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সংজ্ঞায়িত হয়েছে সহানুভূতি ও কর্মের মাধ্যমে। তিনি বন্যার পানিতে হেঁটেছেন, দুর্যোগপীড়িতদের সান্ত্বনা দিয়েছেন এবং কর্মসূচির মাধ্যমে কষ্ট থেকে উঠে আসা নারী উদ্যোক্তাদের কথা শুনেছেন। লাখ লাখ মানুষের কাছে তিনি নেতা নয়, ছিলেন মাতৃতুল্য এক অভিভাবক—যিনি তাদের সংগ্রাম ও স্বপ্ন ভাগ করে নিয়েছেন।

তার ১৬ বছরের নিরবচ্ছিন্ন কল্যাণদর্শন গড়ে তুলেছে আরও মানবিক ও সমান বাংলাদেশ। আশ্রয়ণ ঘর, বয়স্ক ভাতা, নারীদের সুযোগ—সবই ছিল ভালোবাসার প্রতিফলন, যা জীবন বদলে দিয়েছে। আজও অনেকে স্মরণ করে—“যেদিন শেখ হাসিনা আমাদের একটি ছাদ দিয়েছিলেন।”

তাঁর স্বপ্ন, ভিশন ২০৪১, বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল একটি সম্পূর্ণ উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতি গড়া। কিন্তু তাঁর প্রস্থান ও ইউনুসের শাসন সেই অগ্রগতি ব্যাহত করেছে; অসংখ্য প্রকল্প স্থগিত, আর সুবিধাভোগীরা অনিশ্চয়তায়।

তিনি যে মানবতার বীজ বপন করেছেন, তা মুছে ফেলা যায় না। বাংলাদেশকে তাঁর স্বপ্ন মরতে দেওয়া উচিত নয়—কারণ এটাই সেই স্বপ্ন, যা একটি জাতিকে আশা করতে, গড়তে ও একসাথে উঠতে শিখিয়েছে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ