Wednesday, November 5, 2025

শিল্প বন্ধ, অর্থনীতি নিঃস্ব অথচ সরকার বলছে ‘দেশের জন্য খারাপ কিছু নয়’!

দেশের শিল্পখাত আজ অভূতপূর্ব সংকটে। একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, শ্রমিকেরা বেকার হচ্ছেন, উৎপাদন কমছে, আমদানি-রপ্তানি হ্রাস পাচ্ছে। অথচ সরকারের মুখপাত্র ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের অবিশ্বাস্য মন্তব্য— “শিল্প বন্ধ হওয়া দেশের জন্য খারাপ কিছু নয়”— জাতির বিবেককে আহত করেছে।

এই বক্তব্য যেন বর্তমান সরকারের বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন মানসিকতার নগ্ন প্রতিফলন। যে দেশে হাজার হাজার পরিবার এক টুকরো রুটির জন্য সংগ্রাম করছে, যেখানে লাখ লাখ দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে রাস্তায় নেমেছে, সেখানে সরকারের মুখপাত্র যদি এমন মন্তব্য করেন— তবে সেটি শুধু অজ্ঞতা নয়, এটি রাষ্ট্রবিরোধী উদাসীনতা।

এস আলম, বেক্সিমকো, গাজী গ্রুপ, মদিনা গ্রুপসহ শত শত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে উৎপাদন বন্ধ করেছে। গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, ওয়ার্কশপ, ছোট কারখানা— কোনো খাতই রক্ষা পায়নি। একসময় এসব কারখানার চারপাশে গড়ে উঠেছিল ক্ষুদ্র ব্যবসা, পরিবহন, সাপ্লাই চেইন— আজ সেগুলোর মালিক ও শ্রমিক সবাই বেকার। কেউ অটোরিকশা চালাচ্ছে, কেউ অন্যের ঘরে কাজ করছে, কেউবা অপরাধ জগতে ঠাঁই নিচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়— সামাজিক বিপর্যয়ও। যখন একজন শ্রমিকের হাতে কাজ থাকে না, তখন সে কেবল আয় হারায় না, হারায় আত্মমর্যাদা, পরিবার হারায় ভবিষ্যতের নিরাপত্তা। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো— কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার উল্টো বলছে, “খারাপ কিছু হয়নি।”

তুলনা করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক সময় শিল্পায়নের উত্থানপর্বে ছিল। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছিল, উৎপাদন ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ছিল বিশ্বে প্রশংসিত উদাহরণ। আজ সেই সাফল্য ধূলিসাৎ— কারণ রাষ্ট্র পরিচালনার হাল গেছে এক দায়হীন ও দিকহীন চক্রের হাতে, যাদের কাছে ক্ষমতা রক্ষা মানেই দেশ রক্ষা।

অর্থনীতি থেমে গেছে, ব্যাংক খাত নড়বড়ে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকুচিত, আর সরকার ব্যস্ত শুধু নিজেদের বৈধতা রক্ষার প্রচারণায়। দেশ আজ দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও হতাশার চোরাবালিতে। এ অবস্থায় একটাই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক যারা বলছে “খারাপ কিছু হয়নি”, তারা কি সত্যিই এই দেশের মানুষ?

দেশের শিল্পখাত আজ অভূতপূর্ব সংকটে। একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, শ্রমিকেরা বেকার হচ্ছেন, উৎপাদন কমছে, আমদানি-রপ্তানি হ্রাস পাচ্ছে। অথচ সরকারের মুখপাত্র ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের অবিশ্বাস্য মন্তব্য— “শিল্প বন্ধ হওয়া দেশের জন্য খারাপ কিছু নয়”— জাতির বিবেককে আহত করেছে।

এই বক্তব্য যেন বর্তমান সরকারের বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন মানসিকতার নগ্ন প্রতিফলন। যে দেশে হাজার হাজার পরিবার এক টুকরো রুটির জন্য সংগ্রাম করছে, যেখানে লাখ লাখ দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে রাস্তায় নেমেছে, সেখানে সরকারের মুখপাত্র যদি এমন মন্তব্য করেন— তবে সেটি শুধু অজ্ঞতা নয়, এটি রাষ্ট্রবিরোধী উদাসীনতা।

এস আলম, বেক্সিমকো, গাজী গ্রুপ, মদিনা গ্রুপসহ শত শত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে উৎপাদন বন্ধ করেছে। গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, ওয়ার্কশপ, ছোট কারখানা— কোনো খাতই রক্ষা পায়নি। একসময় এসব কারখানার চারপাশে গড়ে উঠেছিল ক্ষুদ্র ব্যবসা, পরিবহন, সাপ্লাই চেইন— আজ সেগুলোর মালিক ও শ্রমিক সবাই বেকার। কেউ অটোরিকশা চালাচ্ছে, কেউ অন্যের ঘরে কাজ করছে, কেউবা অপরাধ জগতে ঠাঁই নিচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়— সামাজিক বিপর্যয়ও। যখন একজন শ্রমিকের হাতে কাজ থাকে না, তখন সে কেবল আয় হারায় না, হারায় আত্মমর্যাদা, পরিবার হারায় ভবিষ্যতের নিরাপত্তা। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো— কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার উল্টো বলছে, “খারাপ কিছু হয়নি।”

তুলনা করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক সময় শিল্পায়নের উত্থানপর্বে ছিল। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছিল, উৎপাদন ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ছিল বিশ্বে প্রশংসিত উদাহরণ। আজ সেই সাফল্য ধূলিসাৎ— কারণ রাষ্ট্র পরিচালনার হাল গেছে এক দায়হীন ও দিকহীন চক্রের হাতে, যাদের কাছে ক্ষমতা রক্ষা মানেই দেশ রক্ষা।

অর্থনীতি থেমে গেছে, ব্যাংক খাত নড়বড়ে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকুচিত, আর সরকার ব্যস্ত শুধু নিজেদের বৈধতা রক্ষার প্রচারণায়। দেশ আজ দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও হতাশার চোরাবালিতে। এ অবস্থায় একটাই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক যারা বলছে “খারাপ কিছু হয়নি”, তারা কি সত্যিই এই দেশের মানুষ?

আরো পড়ুন

সর্বশেষ