নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের ষড়যন্ত্র টিকতে না পেরে এবার সত্য ফাঁস করে দিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণকে বোকা বানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুলাই আন্দোলনে মেটিকুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে জনগণকে বোকা বানিয়ে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটনা ইউনূস। কিন্তু বিএনপি ইউনূসের চালে পড়ে এখন মাথা ঠুকছে। তাই দলটির মুখ থেকে এখন একের পর এক সত্য করা বের হচ্ছে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি মহল একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেটি করার সুযোগ নেই। কারণ একাত্তরেই আমাদের জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মুক্তিযুদ্ধকে ‘গোলমাল’ বলেছিলেন। জাতি সেটা ভোলেনি। জনগণকে বোকা বানিয়ে সংস্কার চালাচ্ছে বর্তমান সরকার।
সূত্র বলছে, ভোট নিয়ে সরকার গড়িমসি করলেও জুলাই সনদ নিয়ে ব্যাপক তৎপর অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, আগামী সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি প্রথম ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো এই সময়ের মধ্যে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করবে।
অর্থাৎ তারা যেসব প্রস্তাব রেখে যাচ্ছে তা যে রাজনৈতিক দলই আসুক তারই মেনে চলতে হবে। কারণ এ গণভোট লোক দেখানো ভোট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা আরও বলছেন, ইউনূসই নানাভাবে অপ্রাসঙ্গিক করে নির্বাচন বানচাল করাতে চাইছে। কখনও দেশকে অস্থিতিশীল করে আবার কখনও তার পছন্দের দল এনসিপিকে দিয়ে ঝামেলা তৈরি করে।
সূত্র বলছে, আমেরিকান ষড়যন্ত্রে জাতিসংঘের সমর্থনে জামায়াতি চালে বাংলাদেশে গত বছর ক্ষমতার পটপরিবর্তন হয়। আমেরিকার চাওয়া ছিল সেন্টমার্টিন, বন্দর ও পার্বত্য অঞ্চল দখলে নিয়ে এই অঞ্চলে চীনকে টেক্কা দেওয়া। অপরদিকে ইউনূসের চাওয়া ছিল শেখ হাসিনার পতন। কারণ শেখ হাসিনাই তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের হিসাব জনগণের সামনে একের পর এক তুলে ধরছিলেন। যেদিন শেখ হাসিনা জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচতে ভারতে আশ্রয় নেয় সেদিনই ইউনূসের মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল। তবে বিএনপি এসব জেনেশুনেও এতদিন চুপ ছিল। কারণ তারা ভেবেছিল ক্ষমতার খুব কাছে। কিন্তু এখন অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বিএনপিকেও মাইনাস করতে চান ইউনূস।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বিএনপি যদি একাট্টা না হয় তাহলে হয়তো ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের ক্ষমা করবে না। তারাও জামায়াতের মতো বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে।
