Wednesday, October 29, 2025

শিক্ষার্থীদের বই ও আশা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, অন্তর্বর্তী সরকার কেড়ে নিয়েছে সব

নিজস্ব প্রতিবেদক
“শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড এবং কোনো শিশুকে জ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়”— শেখ হাসিনার এই কথাগুলো শুধুই স্লোগান ছিল না; এটি পরিণত হয়েছিল একটি জাতীয় মিশনে। ১৬ বছর ধরে তিনি শিক্ষাকে বাংলাদেশের রূপান্তরের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করেছিলেন। প্রতি ইংরেজি নববর্ষের সকালে লাখ লাখ শিশু বিনামূল্যে নতুন বই হাতে পেত। এটি ছিল এমন এক নেত্রীর উপহার, যিনি বিশ্বাস করতেন জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের ওপর। এটি শুধু একটি নীতি নয়, বরং এটি ছিল সমতা, প্রতিশ্রুতি এবং দূরদৃষ্টির প্রতীক।

শিক্ষা: দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি
আজ সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হচ্ছে। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিনামূল্যে বই বিতরণের ঐতিহ্য ধসে পড়েছে। লাখ লাখ শিক্ষার্থী অসহায়ভাবে অপেক্ষা করছে, স্কুলগুলো নিস্তব্ধ, আর আশা পরিণত হচ্ছে হতাশায়। শেখ হাসিনা বছরের পর বছর নিষ্ঠা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে যে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, তা কয়েক মাসেই ভেঙে যাচ্ছে। এটি দুর্ঘটনায় নয়, বরং এটি হচ্ছে অন্তর্বর্তী উদাসীনতা ও অহংকারের কারণে।

শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতার সীমা পেরিয়ে ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত একটি জাতি গড়ার লক্ষ্য। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, একটি দেশের শক্তি নিহিত তার শিক্ষিত নাগরিকদের মধ্যে। তাই তিনি শিক্ষাকে উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করেছিলেন। তার সরকার শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, মানোন্নয়ন এবং সমতা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিল।

বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ: এক যুগান্তকারী উদ্যোগ
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চালু হওয়া দেশব্যাপী বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক কার্যক্রম প্রতি বছর ৪ কোটি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাত। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল শুধু বই সরবরাহ নয়, বরং সমান সুযোগ তৈরি করা—যাতে গ্রামীণ, দরিদ্র ও প্রান্তিক এলাকার শিশুরাও শহুরে শিশুদের সমান সুযোগ পায়। পাঠ্যপুস্তকগুলো পাঁচটি আদিবাসী ভাষায় এবং ব্রেইল সংস্করণে প্রকাশ করা হয়েছিল, যা শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্বের প্রমাণ।

পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও তিনি শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপনে বিপুল বিনিয়োগ করেছিলেন। তার উদ্যোগে মেয়েদের শিক্ষার প্রসার ঘটেছে, লিঙ্গ বৈষম্য কমেছে, এবং তরুণীরা পেয়েছে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস। শেখ হাসিনা দক্ষতা-ভিত্তিক, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির পথে এগিয়ে নিয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের নিষ্ঠা শিক্ষাকে একটি মৌলিক সেবা থেকে জাতীয় আন্দোলনে রূপান্তরিত করেছিল। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করতেন—শিশুদের ওপর বিনিয়োগই দেশের জন্য সবচেয়ে স্থায়ী বিনিয়োগ। তাঁর আমলে শিক্ষা ছিল ক্ষমতায়ন, সমতা ও অগ্রগতির হাতিয়ার।

অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা
কিন্তু ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষিত জাতি গঠনে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। শেখ হাসিনা প্রত্যেক শিশু বই, শিক্ষক ও সুযোগের অধিকারী ছিল। তিনি ১৬ বছরে যে দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলেছিলে তা আজ ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা, পরিকল্পনার দুর্বলত শিক্ষাক্ষেত্রকে বিশৃঙ্খলায় ফেলেছে। পাঠ্যপুস্তক ছাপা ও বিতরণ মারাত্মকভাবে বিলম্বিত হয়েছে; লাখ লাখ শিক্ষার্থী জানে না তাদের শিক্ষাবর্ষ কখন শুরু হবে।

ভেঙে পড়ছে ফলাফল ও মনোবল
এই ব্যর্থতা শুধু লজিস্টিক নয়; এটি শিক্ষার মানকেও গভীরভাবে আঘাত করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের হার নেমে এসেছে প্রায় দুই দশকের সর্বনিম্ন স্তরে। সাম্প্রতিক শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এসএসসি পাসের হার ১৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, আর এইচএসসি পাসের হার মাত্র ৫৮.৮৩%। এটি দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল । এসব পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ক্ষুব্ধ শিক্ষক এবং নীতিগত বিভ্রান্তি দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

নেতৃত্বের পার্থক্য: অগ্রগতির অনুপ্রেরণা বনাম বিশৃঙ্খলার শাসন
যেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অগ্রগতির অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল, সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার বপন করছে অস্থিরতা ও বিভ্রান্তি। বিলম্বিত পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিক্ষার গুণগত মানের পতন এবং শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা এসব কোনো বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়। এগুলো এমন এক ব্যবস্থার লক্ষণ, যা অন্তর্বর্তী সরকারই তৈরি করেছে। যদি এই অবহেলা চলতেই থাকে, তবে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এক দশকের অগ্রগতি ধ্বংস হয়ে যাবে, এবং লাখ লাখ শিক্ষার্থী হয়তো হারাবে সেই ভবিষ্যৎ,যা শেখ হাসিনা কঠোর পরিশ্রমে তাদের জন্য গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক
“শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড এবং কোনো শিশুকে জ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়”— শেখ হাসিনার এই কথাগুলো শুধুই স্লোগান ছিল না; এটি পরিণত হয়েছিল একটি জাতীয় মিশনে। ১৬ বছর ধরে তিনি শিক্ষাকে বাংলাদেশের রূপান্তরের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করেছিলেন। প্রতি ইংরেজি নববর্ষের সকালে লাখ লাখ শিশু বিনামূল্যে নতুন বই হাতে পেত। এটি ছিল এমন এক নেত্রীর উপহার, যিনি বিশ্বাস করতেন জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের ওপর। এটি শুধু একটি নীতি নয়, বরং এটি ছিল সমতা, প্রতিশ্রুতি এবং দূরদৃষ্টির প্রতীক।

শিক্ষা: দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি
আজ সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হচ্ছে। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিনামূল্যে বই বিতরণের ঐতিহ্য ধসে পড়েছে। লাখ লাখ শিক্ষার্থী অসহায়ভাবে অপেক্ষা করছে, স্কুলগুলো নিস্তব্ধ, আর আশা পরিণত হচ্ছে হতাশায়। শেখ হাসিনা বছরের পর বছর নিষ্ঠা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে যে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, তা কয়েক মাসেই ভেঙে যাচ্ছে। এটি দুর্ঘটনায় নয়, বরং এটি হচ্ছে অন্তর্বর্তী উদাসীনতা ও অহংকারের কারণে।

শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতার সীমা পেরিয়ে ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত একটি জাতি গড়ার লক্ষ্য। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, একটি দেশের শক্তি নিহিত তার শিক্ষিত নাগরিকদের মধ্যে। তাই তিনি শিক্ষাকে উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করেছিলেন। তার সরকার শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, মানোন্নয়ন এবং সমতা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিল।

বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ: এক যুগান্তকারী উদ্যোগ
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চালু হওয়া দেশব্যাপী বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক কার্যক্রম প্রতি বছর ৪ কোটি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাত। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল শুধু বই সরবরাহ নয়, বরং সমান সুযোগ তৈরি করা—যাতে গ্রামীণ, দরিদ্র ও প্রান্তিক এলাকার শিশুরাও শহুরে শিশুদের সমান সুযোগ পায়। পাঠ্যপুস্তকগুলো পাঁচটি আদিবাসী ভাষায় এবং ব্রেইল সংস্করণে প্রকাশ করা হয়েছিল, যা শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্বের প্রমাণ।

পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও তিনি শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপনে বিপুল বিনিয়োগ করেছিলেন। তার উদ্যোগে মেয়েদের শিক্ষার প্রসার ঘটেছে, লিঙ্গ বৈষম্য কমেছে, এবং তরুণীরা পেয়েছে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস। শেখ হাসিনা দক্ষতা-ভিত্তিক, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির পথে এগিয়ে নিয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের নিষ্ঠা শিক্ষাকে একটি মৌলিক সেবা থেকে জাতীয় আন্দোলনে রূপান্তরিত করেছিল। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করতেন—শিশুদের ওপর বিনিয়োগই দেশের জন্য সবচেয়ে স্থায়ী বিনিয়োগ। তাঁর আমলে শিক্ষা ছিল ক্ষমতায়ন, সমতা ও অগ্রগতির হাতিয়ার।

অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা
কিন্তু ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষিত জাতি গঠনে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। শেখ হাসিনা প্রত্যেক শিশু বই, শিক্ষক ও সুযোগের অধিকারী ছিল। তিনি ১৬ বছরে যে দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলেছিলে তা আজ ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা, পরিকল্পনার দুর্বলত শিক্ষাক্ষেত্রকে বিশৃঙ্খলায় ফেলেছে। পাঠ্যপুস্তক ছাপা ও বিতরণ মারাত্মকভাবে বিলম্বিত হয়েছে; লাখ লাখ শিক্ষার্থী জানে না তাদের শিক্ষাবর্ষ কখন শুরু হবে।

ভেঙে পড়ছে ফলাফল ও মনোবল
এই ব্যর্থতা শুধু লজিস্টিক নয়; এটি শিক্ষার মানকেও গভীরভাবে আঘাত করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের হার নেমে এসেছে প্রায় দুই দশকের সর্বনিম্ন স্তরে। সাম্প্রতিক শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এসএসসি পাসের হার ১৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, আর এইচএসসি পাসের হার মাত্র ৫৮.৮৩%। এটি দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল । এসব পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ক্ষুব্ধ শিক্ষক এবং নীতিগত বিভ্রান্তি দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

নেতৃত্বের পার্থক্য: অগ্রগতির অনুপ্রেরণা বনাম বিশৃঙ্খলার শাসন
যেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অগ্রগতির অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল, সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার বপন করছে অস্থিরতা ও বিভ্রান্তি। বিলম্বিত পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিক্ষার গুণগত মানের পতন এবং শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা এসব কোনো বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়। এগুলো এমন এক ব্যবস্থার লক্ষণ, যা অন্তর্বর্তী সরকারই তৈরি করেছে। যদি এই অবহেলা চলতেই থাকে, তবে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এক দশকের অগ্রগতি ধ্বংস হয়ে যাবে, এবং লাখ লাখ শিক্ষার্থী হয়তো হারাবে সেই ভবিষ্যৎ,যা শেখ হাসিনা কঠোর পরিশ্রমে তাদের জন্য গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ