Wednesday, October 29, 2025

জঙ্গিবাদী মহড়া, রাজনৈতিক নীরবতা, দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি

বাংলাদেশ আজ আবারও জঙ্গিবাদের আতঙ্কে ঘেরা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলো—জেএমবি, আইএস ও তাদের ছদ্মনামধারী উপগোষ্ঠী— নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠছে। প্রশাসনিক সূত্র বলছে, এরা শুধুমাত্র গোপন বৈঠকেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে, ধর্মীয় পোশাকের আড়ালে সংগঠিত হচ্ছে, এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।

চিন্তার বিষয় হলো, এই জঙ্গি পুনরুত্থানের পেছনে রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক পৃষ্ঠপোষকতা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। জামায়াতে ইসলামি, শিবির, হেফাজত এবং এনসিপির ছায়াতলে এই উগ্র গোষ্ঠীগুলো আশ্রয় ও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীণ মাদরাসা, মসজিদ এবং কিছু ধর্মীয় সংগঠন এখন জঙ্গিদের পুনর্গঠনের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দাড়ি–টুপি পরা ব্যক্তিদের ওপর সাধারণ মানুষের যে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে, তার দায়ও এই উগ্রবাদী রাজনীতির।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। প্রশাসন জানে, কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না; গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা সরাসরি না হলেও, নীরবতা এবং অবহেলা এক প্রকার পরোক্ষ সমর্থনে পরিণত হয়েছে। এর ফলে জঙ্গি নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে, এবং দেশের নিরাপত্তা ক্রমেই ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি–জামায়াতের সঙ্গে এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর পুরোনো যোগসূত্রের পাশাপাশি, ড. ইউনুসের ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীর নীরব সমর্থনের কথাও আলোচনায় এসেছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, উগ্র ইসলামপন্থী এবং বিদেশি স্বার্থনির্ভর এই জোট দেশকে গভীর নিরাপত্তা সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালানোই তাদের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ জঙ্গিবাদ চায় না। তারা শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায়, ধর্মের নামে বিভেদ নয়—সহাবস্থান চায়। কিন্তু জঙ্গিদের এই উত্থান সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি করছে। আলেম-ওলামাদের প্রতি মানুষের যে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে, তা মূলত জঙ্গিদেরই অপরাধ—যারা ধর্মের আড়ালে ধর্মকেই অপমান করছে।

এখন সময় এসেছে রাষ্ট্রকে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার। জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা বা নীরব সমর্থন দেওয়া মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ। প্রশাসনকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে, এবং রাজনৈতিক আশ্রয়দাতাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

জঙ্গিবাদ কোনো রাজনৈতিক দলের সমস্যা নয়; এটি পুরো জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন। একবার যদি এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তা নেভানো কঠিন হবে। বাংলাদেশকে আবারও শান্তি, সহনশীলতা ও আইনশৃঙ্খলার পথে ফিরিয়ে আনতে হলে এখনই ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে ইতিহাস আবারও রক্তে লেখা হবে—একটি নীরব রাষ্ট্র ও অন্ধ রাজনীতির কারণে।

বাংলাদেশ আজ আবারও জঙ্গিবাদের আতঙ্কে ঘেরা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলো—জেএমবি, আইএস ও তাদের ছদ্মনামধারী উপগোষ্ঠী— নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠছে। প্রশাসনিক সূত্র বলছে, এরা শুধুমাত্র গোপন বৈঠকেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে, ধর্মীয় পোশাকের আড়ালে সংগঠিত হচ্ছে, এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।

চিন্তার বিষয় হলো, এই জঙ্গি পুনরুত্থানের পেছনে রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক পৃষ্ঠপোষকতা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। জামায়াতে ইসলামি, শিবির, হেফাজত এবং এনসিপির ছায়াতলে এই উগ্র গোষ্ঠীগুলো আশ্রয় ও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীণ মাদরাসা, মসজিদ এবং কিছু ধর্মীয় সংগঠন এখন জঙ্গিদের পুনর্গঠনের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দাড়ি–টুপি পরা ব্যক্তিদের ওপর সাধারণ মানুষের যে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে, তার দায়ও এই উগ্রবাদী রাজনীতির।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। প্রশাসন জানে, কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না; গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা সরাসরি না হলেও, নীরবতা এবং অবহেলা এক প্রকার পরোক্ষ সমর্থনে পরিণত হয়েছে। এর ফলে জঙ্গি নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে, এবং দেশের নিরাপত্তা ক্রমেই ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি–জামায়াতের সঙ্গে এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর পুরোনো যোগসূত্রের পাশাপাশি, ড. ইউনুসের ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীর নীরব সমর্থনের কথাও আলোচনায় এসেছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, উগ্র ইসলামপন্থী এবং বিদেশি স্বার্থনির্ভর এই জোট দেশকে গভীর নিরাপত্তা সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালানোই তাদের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ জঙ্গিবাদ চায় না। তারা শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায়, ধর্মের নামে বিভেদ নয়—সহাবস্থান চায়। কিন্তু জঙ্গিদের এই উত্থান সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি করছে। আলেম-ওলামাদের প্রতি মানুষের যে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে, তা মূলত জঙ্গিদেরই অপরাধ—যারা ধর্মের আড়ালে ধর্মকেই অপমান করছে।

এখন সময় এসেছে রাষ্ট্রকে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার। জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা বা নীরব সমর্থন দেওয়া মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ। প্রশাসনকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে, এবং রাজনৈতিক আশ্রয়দাতাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

জঙ্গিবাদ কোনো রাজনৈতিক দলের সমস্যা নয়; এটি পুরো জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন। একবার যদি এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তা নেভানো কঠিন হবে। বাংলাদেশকে আবারও শান্তি, সহনশীলতা ও আইনশৃঙ্খলার পথে ফিরিয়ে আনতে হলে এখনই ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে ইতিহাস আবারও রক্তে লেখা হবে—একটি নীরব রাষ্ট্র ও অন্ধ রাজনীতির কারণে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ