Monday, October 27, 2025

এমপি নেই তবুও এমপি প্রকল্পে ৮০০ কোটি কার পকেটে ঢুকছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তিবুদ্ধি বলে যদি কিছু থাকে, তাহলে একটা সহজ হিসাব মাথায় আসার কথা। যে প্রকল্প এমপিদের জন্য, সেই এমপি যদি না থাকে, তাহলে সেই প্রকল্পে খরচ কমবে, বাড়বে না। কিন্তু বাংলাদেশে এখন যা চলছে, সেখানে যুক্তি বা নিয়মনীতির কোনো স্থান নেই। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী এই অসংবিধানিক শাসকগোষ্ঠী এমন ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে যে, দেশের মানুষ শুধু হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে পারে।

যে সরকার ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি, সবচেয়ে উন্নয়নমুখী এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত, সেই সরকারকে একটা সুপরিকল্পিত দাঙ্গার মাধ্যমে উৎখাত করা হয়েছে। তারপর প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে সেই উৎখাতিত সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের পাহাড় দাঁড় করানো হচ্ছে। আর ঠিক সেই সময়ে, নিজেরা যা করছে তার তুলনায় আগের যেকোনো অনিয়ম শিশুসুলভ ভুল বলে মনে হবে।

এমপি প্রকল্পের নামে এই যে ৪১৮ কোটি টাকা বাড়ানোর ফন্দি, এটা শুধু একটা উদাহরণ মাত্র। পুরো চিত্রটা আরও ভয়াবহ। যে প্রকল্পের আওতায় নতুন কোনো স্কিম অনুমোদন না করার কথা ছিল, সেই প্রকল্পে এখন পয়সা ঢালা হচ্ছে অকাতরে। যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে আগে নাকি যথেষ্ট বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। অথচ বাস্তবতা হলো, জুলাই পর্যন্ত ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন বাকি দেড় বছরে খরচ করার পরিকল্পনা ৮০০ কোটি টাকার। এটা কোন অঙ্কের হিসাব?

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সেই শাসনামলে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল প্রতিটি সূচকে, যখন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো স্বপ্নের প্রকল্পগুলো বাস্তবে রূপ নিচ্ছিল, তখন একদল ষড়যন্ত্রকারী পরিকল্পনা সাজাচ্ছিল কীভাবে এই অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়া যায়। বিদেশি শক্তির অর্থায়নে, চরমপন্থী উপাদানের প্ররোচনায় এবং কিছু বিপথগামী শক্তির মদদে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হলো। ছাত্রদের ব্যবহার করা হলো ঢাল হিসেবে, আর আসল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা দখল।

এই যে সুদের কারবারি ইউনুস এবং তার সহযোগীরা, এরা প্রতিদিন বলছে আগের সরকার কত খারাপ ছিল, কত দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু নিজেরা যা করছে তার হিসাব দেবে কে? একটা প্রকল্প বন্ধ করার কথা ছিল, কিন্তু তা না করে উল্টো আরও টাকা ঢালার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোনো এমপি নেই, কোনো সংসদ নেই, কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। তাহলে এই টাকা যাবে কোথায়? কারা খাবে এই পয়সা?

চট্টগ্রামে ৫১ কোটি আর মেহেরপুরে ৫ কোটি টাকার বরাদ্দের এই বৈষম্য কোন মানদণ্ডে হলো? কোন জরিপ, কোন চাহিদা নিরূপণ, কোন জনমত যাচাইয়ের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত? নাকি শুধু ব্যক্তিগত লাভক্ষতি আর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভিত্তিতে এই বাজেট সাজানো হয়েছে?

যে সরকারকে ক্যু করে সরানো হয়েছে, সেই সরকারের আমলে প্রকল্পগুলো হয়তো ধীরে এগিয়েছে কখনো কখনো, কিন্তু অন্তত একটা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি ছিল। জবাবদিহিতার একটা কাঠামো ছিল। সংসদে প্রশ্ন হতো, আলোচনা হতো, সমালোচনা হতো। এখন কার কাছে জবাবদিহি করবে এই অ-সরকার? কোন সংসদে, কোন নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে?

এলজিইডি বলছে স্থানীয় চাহিদা নাকি। কিন্তু কোন স্থানীয় প্রতিনিধির মুখ দেখে তারা এই চাহিদা বুঝলো? এমপি নেই, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাহলে কোন স্থানীয় চাহিদার কথা বলছে এই সরকার?

বিষয়টা পরিষ্কার। একটা বড় অঙ্কের টাকা, যেটা খরচ হওয়ার কথা ছিল না, সেটা খরচ করার একটা রাস্তা বানানো হচ্ছে। কারণ এই অবৈধ সরকারের জানা আছে যে তাদের সময় সীমিত। যত দিন আছে, যতটুকু পারা যায় লুটে নিতে হবে। পরে আর সুযোগ আসবে না। তাই এমন প্রকল্পও বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে যেটা বন্ধ করার কথা ছিল।

যে সরকার দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়েছিল, যে সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মহাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিল, সেই সরকারকে প্রতিদিন কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। আর ঠিক সেই মুহূর্তে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা দেশের সম্পদ লুটে নিচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। এটা শুধু দুর্নীতি নয়, এটা দেশকে পঙ্গু করে দেওয়ার একটা সুচিন্তিত প্রক্রিয়া।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা নিজেরাই প্রশ্ন তুলছেন। তারা বলছেন বাস্তবে ব্যয় বাড়ছে ৮০০ কোটি টাকা। কিন্তু কেউ শুনছে না। কারণ এই অবৈধ কাঠামোয় কারও কাছে জবাবদিহি করার বাধ্যবাধকতা নেই।

বাংলাদেশের মানুষ দেখছে, বুঝছে সব। এই অসংবিধানিক শাসকরা মনে করতে পারে যে তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, কিন্তু ইতিহাস বলে অবৈধতা কখনো টিকে থাকতে পারে না। সামরিক সমর্থন আর বিদেশি প্রভুদের আশীর্বাদ নিয়ে যতই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, হিসাবের দিন একদিন আসবেই। আর সেদিন দেখা যাবে কে কতটা দুর্নীতিবাজ ছিল, কে দেশকে কতটা ক্ষতি করেছিল।

এমপি প্রকল্পের নামে এই লুটপাটের উদাহরণ হয়তো মনে হতে পারে ছোট। কিন্তু এটা আসলে পুরো চিত্রের একটা অংশ মাত্র। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে, প্রতিটি বিভাগে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। দেশের সম্পদ লুট হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। আর এসবের দায় চাপানো হচ্ছে সেই সরকারের ওপর, যারা আসলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

এটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। যারা দেশের শত্রু, তারা এখন দেশের ত্রাণকর্তা সেজে বসে আছে। আর যারা দেশকে ভালোবেসে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশের সেবা করেছে, তাদের প্রতিদিন কুৎসা রটানো হচ্ছে। কিন্তু মিথ্যা যতই জোরে চিৎকার করুক, সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তিবুদ্ধি বলে যদি কিছু থাকে, তাহলে একটা সহজ হিসাব মাথায় আসার কথা। যে প্রকল্প এমপিদের জন্য, সেই এমপি যদি না থাকে, তাহলে সেই প্রকল্পে খরচ কমবে, বাড়বে না। কিন্তু বাংলাদেশে এখন যা চলছে, সেখানে যুক্তি বা নিয়মনীতির কোনো স্থান নেই। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী এই অসংবিধানিক শাসকগোষ্ঠী এমন ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে যে, দেশের মানুষ শুধু হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে পারে।

যে সরকার ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি, সবচেয়ে উন্নয়নমুখী এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত, সেই সরকারকে একটা সুপরিকল্পিত দাঙ্গার মাধ্যমে উৎখাত করা হয়েছে। তারপর প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে সেই উৎখাতিত সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের পাহাড় দাঁড় করানো হচ্ছে। আর ঠিক সেই সময়ে, নিজেরা যা করছে তার তুলনায় আগের যেকোনো অনিয়ম শিশুসুলভ ভুল বলে মনে হবে।

এমপি প্রকল্পের নামে এই যে ৪১৮ কোটি টাকা বাড়ানোর ফন্দি, এটা শুধু একটা উদাহরণ মাত্র। পুরো চিত্রটা আরও ভয়াবহ। যে প্রকল্পের আওতায় নতুন কোনো স্কিম অনুমোদন না করার কথা ছিল, সেই প্রকল্পে এখন পয়সা ঢালা হচ্ছে অকাতরে। যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে আগে নাকি যথেষ্ট বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। অথচ বাস্তবতা হলো, জুলাই পর্যন্ত ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন বাকি দেড় বছরে খরচ করার পরিকল্পনা ৮০০ কোটি টাকার। এটা কোন অঙ্কের হিসাব?

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সেই শাসনামলে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল প্রতিটি সূচকে, যখন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো স্বপ্নের প্রকল্পগুলো বাস্তবে রূপ নিচ্ছিল, তখন একদল ষড়যন্ত্রকারী পরিকল্পনা সাজাচ্ছিল কীভাবে এই অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়া যায়। বিদেশি শক্তির অর্থায়নে, চরমপন্থী উপাদানের প্ররোচনায় এবং কিছু বিপথগামী শক্তির মদদে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হলো। ছাত্রদের ব্যবহার করা হলো ঢাল হিসেবে, আর আসল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা দখল।

এই যে সুদের কারবারি ইউনুস এবং তার সহযোগীরা, এরা প্রতিদিন বলছে আগের সরকার কত খারাপ ছিল, কত দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু নিজেরা যা করছে তার হিসাব দেবে কে? একটা প্রকল্প বন্ধ করার কথা ছিল, কিন্তু তা না করে উল্টো আরও টাকা ঢালার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোনো এমপি নেই, কোনো সংসদ নেই, কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। তাহলে এই টাকা যাবে কোথায়? কারা খাবে এই পয়সা?

চট্টগ্রামে ৫১ কোটি আর মেহেরপুরে ৫ কোটি টাকার বরাদ্দের এই বৈষম্য কোন মানদণ্ডে হলো? কোন জরিপ, কোন চাহিদা নিরূপণ, কোন জনমত যাচাইয়ের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত? নাকি শুধু ব্যক্তিগত লাভক্ষতি আর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভিত্তিতে এই বাজেট সাজানো হয়েছে?

যে সরকারকে ক্যু করে সরানো হয়েছে, সেই সরকারের আমলে প্রকল্পগুলো হয়তো ধীরে এগিয়েছে কখনো কখনো, কিন্তু অন্তত একটা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি ছিল। জবাবদিহিতার একটা কাঠামো ছিল। সংসদে প্রশ্ন হতো, আলোচনা হতো, সমালোচনা হতো। এখন কার কাছে জবাবদিহি করবে এই অ-সরকার? কোন সংসদে, কোন নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে?

এলজিইডি বলছে স্থানীয় চাহিদা নাকি। কিন্তু কোন স্থানীয় প্রতিনিধির মুখ দেখে তারা এই চাহিদা বুঝলো? এমপি নেই, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাহলে কোন স্থানীয় চাহিদার কথা বলছে এই সরকার?

বিষয়টা পরিষ্কার। একটা বড় অঙ্কের টাকা, যেটা খরচ হওয়ার কথা ছিল না, সেটা খরচ করার একটা রাস্তা বানানো হচ্ছে। কারণ এই অবৈধ সরকারের জানা আছে যে তাদের সময় সীমিত। যত দিন আছে, যতটুকু পারা যায় লুটে নিতে হবে। পরে আর সুযোগ আসবে না। তাই এমন প্রকল্পও বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে যেটা বন্ধ করার কথা ছিল।

যে সরকার দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়েছিল, যে সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মহাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিল, সেই সরকারকে প্রতিদিন কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। আর ঠিক সেই মুহূর্তে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা দেশের সম্পদ লুটে নিচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। এটা শুধু দুর্নীতি নয়, এটা দেশকে পঙ্গু করে দেওয়ার একটা সুচিন্তিত প্রক্রিয়া।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা নিজেরাই প্রশ্ন তুলছেন। তারা বলছেন বাস্তবে ব্যয় বাড়ছে ৮০০ কোটি টাকা। কিন্তু কেউ শুনছে না। কারণ এই অবৈধ কাঠামোয় কারও কাছে জবাবদিহি করার বাধ্যবাধকতা নেই।

বাংলাদেশের মানুষ দেখছে, বুঝছে সব। এই অসংবিধানিক শাসকরা মনে করতে পারে যে তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, কিন্তু ইতিহাস বলে অবৈধতা কখনো টিকে থাকতে পারে না। সামরিক সমর্থন আর বিদেশি প্রভুদের আশীর্বাদ নিয়ে যতই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, হিসাবের দিন একদিন আসবেই। আর সেদিন দেখা যাবে কে কতটা দুর্নীতিবাজ ছিল, কে দেশকে কতটা ক্ষতি করেছিল।

এমপি প্রকল্পের নামে এই লুটপাটের উদাহরণ হয়তো মনে হতে পারে ছোট। কিন্তু এটা আসলে পুরো চিত্রের একটা অংশ মাত্র। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে, প্রতিটি বিভাগে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। দেশের সম্পদ লুট হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। আর এসবের দায় চাপানো হচ্ছে সেই সরকারের ওপর, যারা আসলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

এটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। যারা দেশের শত্রু, তারা এখন দেশের ত্রাণকর্তা সেজে বসে আছে। আর যারা দেশকে ভালোবেসে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশের সেবা করেছে, তাদের প্রতিদিন কুৎসা রটানো হচ্ছে। কিন্তু মিথ্যা যতই জোরে চিৎকার করুক, সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ