Saturday, December 13, 2025

একাত্তরের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে জাতির সঙ্গে জামায়াত আমিরের মশকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
হঠাৎ করেই আজ বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদমাধ্যমগুলোতে বের হয়েছে ভড়কে যাওয়ার মতো খবর। একাত্তরের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তবে তার পুরো বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় কোথাও নির্দিষ্টভাবে তিনি ‘একাত্তর’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। এটা যেন একটা চালাকির খেলা, যাতে জাতিকে বিভ্রান্ত করে জামায়াতের অতীতের কালো পাতাগুলো ঢেকে দেওয়া যায়।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘৪৭ থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের… আজকের দিন ২২ অক্টোবর… এখানকার সময় ৮টা ১১ মিনিট— এই পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যে যেখানে যত কষ্ট পেয়েছেন আমরা বিনাশর্তে, যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে মাফ চাই।’ এখানে দেখুন, তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত সবকিছুর জন্য ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু একাত্তরের গণহত্যা, যেখানে জামায়াতের নেতৃত্বে লাখ লাখ নিরীহ বাঙালি কাটা হয়েছে, সেটা তো এর মধ্যেই পড়ে যায়! তাহলে এটা কি সত্যিকারের ক্ষমা, নাকি একটা ছদ্মবেশ?

জামায়াতের আমির আরও বলেন, অনেকেই আবার বলে, আমাদের একটা দল আছে, যারা বেশি বেশি ক্ষমা চায়। ক্ষমা চাওয়াও অপরাধ তাহলে। ‘শুধু একাত্তরেই ভুল করেছি, আর করি নাই? যারা আমাদের ক্ষমা চাইতে বলে, তারা ফেরেশতার দল? আমরা অন্যদের সম্পর্কে প্রশ্নগুলো এই কারণে তুলি না যে, অতীতের প্রশ্ন যত তোলা হবে, জাতি তত বিভক্ত হবে।’ এখানে স্পষ্ট মশকরা! তিনি যেন বলছেন, আমরা তো সবার থেকে বেশি ক্ষমা চাইছি, তাহলে তো অন্যদের ভুলগুলো কেন তুলব? কিন্তু জাতি জানে, জামায়াতের অতীত শুধু একাত্তরেই সীমাবদ্ধ নয়— পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করে বাঙালির রক্তপাত, পরবর্তী সময়ে জঙ্গিবাদ ছড়ানো, হত্যাকাণ্ড— সবকিছু তাদের হাতে লেগে আছে।

কিন্তু দেশের জামায়াত নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনাম হলো— ‘একাত্তরের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন জামায়াত আমির’। এটা কি সত্যি? না, এটা একটা মিথ্যা প্রচারণা! তার বক্তব্যে ‘একাত্তর’ কথা কোথায়? এই শিরোনাম দিয়ে তারা জাতিকে ধোঁকা দিচ্ছে, যাতে মনে হয় জামায়াত সত্যিই একাত্তরের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এটা ৭৮ বছরের সব ভুলের জন্য একটা ঢিলা ক্ষমা— যাতে একাত্তরের হত্যাকাণ্ডটাও লুকিয়ে যায়। এর ফলে জামায়াত ভোটে অংশ নিতে পারবে, কিন্তু আসল অপরাধীরা শাস্তি পাবে না।

এ পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন: জামায়াত যদি লাখ লাখ মানুষকে হত্যার জন্য এমন নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ভোটে অংশ নিতে পারে, তাহলে আওয়ামী লীগের দোষটা কোথায়? তারা কেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না? আওয়ামী লীগ তো স্বাধীনতার বীরদের দল, যারা একাত্তরে রক্ত দিয়ে দেশ জিতেছে। জামায়াতের মতো তারা কি কখনো পাকিস্তানের পক্ষে বন্দুক ধরেছে? না! তাহলে এই দ্বিচারিতা কেন? জামায়াতের এই ক্ষমা-চাওয়ার নাটক কি শুধু ভোটের জন্য, যাতে তারা আবার ক্ষমতায় এসে দেশকে পাকিস্তানের দাসত্বে ফিরিয়ে নিয়ে যায়?

বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া এটা শুধু একটা রাজনৈতিক ছলনা। আওয়ামী লীগকেও নির্বাচনে ফিরিয়ে আনতে হবে, যাতে জাতি বিভক্ত না হয়ে যায়। জামায়াতের এই খেলায় না পড়ে সবার উচিত ইতিহাস রক্ষা করা।

নিজস্ব প্রতিবেদক
হঠাৎ করেই আজ বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদমাধ্যমগুলোতে বের হয়েছে ভড়কে যাওয়ার মতো খবর। একাত্তরের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তবে তার পুরো বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় কোথাও নির্দিষ্টভাবে তিনি ‘একাত্তর’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। এটা যেন একটা চালাকির খেলা, যাতে জাতিকে বিভ্রান্ত করে জামায়াতের অতীতের কালো পাতাগুলো ঢেকে দেওয়া যায়।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘৪৭ থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের… আজকের দিন ২২ অক্টোবর… এখানকার সময় ৮টা ১১ মিনিট— এই পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যে যেখানে যত কষ্ট পেয়েছেন আমরা বিনাশর্তে, যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে মাফ চাই।’ এখানে দেখুন, তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত সবকিছুর জন্য ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু একাত্তরের গণহত্যা, যেখানে জামায়াতের নেতৃত্বে লাখ লাখ নিরীহ বাঙালি কাটা হয়েছে, সেটা তো এর মধ্যেই পড়ে যায়! তাহলে এটা কি সত্যিকারের ক্ষমা, নাকি একটা ছদ্মবেশ?

জামায়াতের আমির আরও বলেন, অনেকেই আবার বলে, আমাদের একটা দল আছে, যারা বেশি বেশি ক্ষমা চায়। ক্ষমা চাওয়াও অপরাধ তাহলে। ‘শুধু একাত্তরেই ভুল করেছি, আর করি নাই? যারা আমাদের ক্ষমা চাইতে বলে, তারা ফেরেশতার দল? আমরা অন্যদের সম্পর্কে প্রশ্নগুলো এই কারণে তুলি না যে, অতীতের প্রশ্ন যত তোলা হবে, জাতি তত বিভক্ত হবে।’ এখানে স্পষ্ট মশকরা! তিনি যেন বলছেন, আমরা তো সবার থেকে বেশি ক্ষমা চাইছি, তাহলে তো অন্যদের ভুলগুলো কেন তুলব? কিন্তু জাতি জানে, জামায়াতের অতীত শুধু একাত্তরেই সীমাবদ্ধ নয়— পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করে বাঙালির রক্তপাত, পরবর্তী সময়ে জঙ্গিবাদ ছড়ানো, হত্যাকাণ্ড— সবকিছু তাদের হাতে লেগে আছে।

কিন্তু দেশের জামায়াত নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনাম হলো— ‘একাত্তরের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন জামায়াত আমির’। এটা কি সত্যি? না, এটা একটা মিথ্যা প্রচারণা! তার বক্তব্যে ‘একাত্তর’ কথা কোথায়? এই শিরোনাম দিয়ে তারা জাতিকে ধোঁকা দিচ্ছে, যাতে মনে হয় জামায়াত সত্যিই একাত্তরের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এটা ৭৮ বছরের সব ভুলের জন্য একটা ঢিলা ক্ষমা— যাতে একাত্তরের হত্যাকাণ্ডটাও লুকিয়ে যায়। এর ফলে জামায়াত ভোটে অংশ নিতে পারবে, কিন্তু আসল অপরাধীরা শাস্তি পাবে না।

এ পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন: জামায়াত যদি লাখ লাখ মানুষকে হত্যার জন্য এমন নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ভোটে অংশ নিতে পারে, তাহলে আওয়ামী লীগের দোষটা কোথায়? তারা কেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না? আওয়ামী লীগ তো স্বাধীনতার বীরদের দল, যারা একাত্তরে রক্ত দিয়ে দেশ জিতেছে। জামায়াতের মতো তারা কি কখনো পাকিস্তানের পক্ষে বন্দুক ধরেছে? না! তাহলে এই দ্বিচারিতা কেন? জামায়াতের এই ক্ষমা-চাওয়ার নাটক কি শুধু ভোটের জন্য, যাতে তারা আবার ক্ষমতায় এসে দেশকে পাকিস্তানের দাসত্বে ফিরিয়ে নিয়ে যায়?

বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া এটা শুধু একটা রাজনৈতিক ছলনা। আওয়ামী লীগকেও নির্বাচনে ফিরিয়ে আনতে হবে, যাতে জাতি বিভক্ত না হয়ে যায়। জামায়াতের এই খেলায় না পড়ে সবার উচিত ইতিহাস রক্ষা করা।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ