বাংলাদেশের নদীগুলো এখন আর স্রোতের প্রতীক নয় — এখন তারা নীরব সাক্ষী অবৈধ ইউনুস সরকারের হত্যার রাজনীতির। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ভেসে উঠছে অজ্ঞাত মরদেহ, পচে যাওয়া মানবতা, নিখোঁজের ছিন্ন দেহাবশেষ।
বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, মেঘনা, কর্ণফুলী—সব নদী এখন গুমের গোপন কবরস্থান। কেউ প্রতিবাদ করে না, প্রশাসন মুখ খোলে না। কারণ রাষ্ট্র এখন হত্যার প্রমাণ লুকানোর জন্যই কাজ করে—ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নয়।
নৌ-পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মাসে গড়ে ৪০টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার হয় দেশের নদীগুলো থেকে। বেশিরভাগের পরিচয় অজানা। কিন্তু প্রশাসনের ঠোঁট সেলাই করা— যেন এই লাশগুলো মানুষের নয়, সরকারের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি নয়!
অবৈধ ইউনুস সরকারের অধীনে বাংলাদেশ আজ পরিণত হয়েছে এক ‘মৃত্যু প্রশাসিত রাষ্ট্রে’। যেখানে সাংবাদিক ভয় পায় কলম ধরতে, পরিবার ভয় পায় নিখোঁজের খবর দিতে, আর নদী হয়ে উঠেছে শাসনের ভয়ঙ্কর প্রতীক — যেখানে ক্ষমতার অন্ধকারে লাশ ভাসে, আর রাষ্ট্র চুপ থাকে।
মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ, বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়— কেউই এই ভয়াবহতা নিয়ে উচ্চকণ্ঠ নয়। কারণ তারা জানে, ইউনুস সরকারের চোখে এ সব মৃত্যু ‘রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন’। এই নীরবতা একদিন ভাঙবেই— যেদিন নদীর জল রক্তের হিসাব চাইবে, আর অবৈধ সরকারের প্রতিটি গোপন কবরের মুখোশ খুলে যাবে জনতার সামনে।

