নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের অদক্ষতায় দেশে শিশু মৃত্যুর হার বেড়েছে। তবে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের এতে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। তারা তাদের লুটপাট অব্যাহত রেখেছে। শিশুর মৃত্যুর হার বাড়ার একটি উদাহরণ খাগড়াছড়ি। সেখানে গত ২০ দিনে নিউমোনিয়ায় ১২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট এবং কার্যক্রম পুরোপুরি ঠিকভাবে না চলায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এ নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, খাগড়াছড়ি ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় রূপান্তর করা হলেও এখনও ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে ৫৭ চিকিৎসক পদের মধ্যে ১৮ জন কর্মরত রয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় গত মাসখানেকের বেশী সময় ধরে শিশুদের ইপিআই টিকার সংকট দেখা দিয়েছে।
গত বছর থেকেই বাংলাদেশকে এই প্রথম ইপিআই টিকা কিনতে হচ্ছে। এর আগে এই টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হতো। কয়েকটি জেলার সিভিল সার্জনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাসখানেক ধরে একেক জেলায় একেক টিকার সংকট চলছে।
দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা না ভাবলেও লুটপাট চালাতে সিদ্ধহস্ত ইউনূস গং। সম্প্রতি দেশের তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে মোবাইল সার্ভিসিং প্রশিক্ষণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। প্রকল্পে ৩৮ হাজার ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে খরচ ধরা হয়েছে ৪৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি প্রশিক্ষণার্থীর জন্য এক লাখ ৩১ হাজার টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রশিক্ষণে এই অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, তরুণদের নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি আঁটছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনামলে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ রেকর্ড হারে বেড়েছে। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের নামে জমা হয়েছে প্রায় ৮,৯৭২ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৩ গুণ বেশি।
২০২৩ সালের শেষে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা ছিল ৩৯৬ কোটি টাকা, আর ২০২২ সালে ছিল ৮৭৬ কোটি টাকা। বিশ্লেষকদের মতে, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই সুইস ব্যাংকে অর্থ জমার প্রবণতা হঠাৎ করে বাড়তে থাকে।
সূত্র জানায়, এই অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম, প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতির মহোৎসব চালাচ্ছে। এতে বোঝা যায়, জুলাই আন্দোলনের পেছনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নয়, ব্যক্তিস্বার্থ ও ক্ষমতার লোভই প্রধান চালিকাশক্তি ছিল।

