Friday, October 24, 2025

ইউনুস সরকারের সময়ের ধারাবাহিক বিপর্যয়, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও আস্থায় আগুন

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে, যা এখন আর কেবল কাকতালীয় বলে মনে হচ্ছে না। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকেই যে ধারাবাহিক বিপর্যয় চলছে, তা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও সার্বভৌমত্ব সব কিছুকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

শুরুটা হয়েছিল এক স্কুলের মাঠে ফাইটার প্লেন ভেঙে পড়ার মধ্য দিয়ে। এরপর সচিবালয়ে শত শত কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রে সেই অগ্নিকাণ্ড ছিল নজিরবিহীন। তারপরই আগুন লাগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যেখানে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও সংবেদনশীল নথি সংরক্ষিত ছিল। আগুনের ভেতর হারিয়ে যায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও আস্থার প্রতীক।

এদিকে, মার্কিন রণতরীর বাংলাদেশ উপকূলে আগমন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও গ্যাসব্লক বিদেশি ব্যবস্থাপনায় চলে যাওয়া, মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে প্রতিদিন সীমান্তরক্ষীদের আহত হওয়া এসব ঘটনাও এক ভিন্ন ধরনের সংকেত দিচ্ছে। সেন্টমার্টিন ও পার্বত্যাঞ্চলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিরাপত্তাজনিত অনিশ্চয়তাকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

এই ধারাবাহিক ঘটনাপুঞ্জের পেছনে কোনো সমন্বিত নকশা আছে কি না এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মধ্যেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইতিহাস বলে, রাষ্ট্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের আগে প্রায়ই এমন বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলার আবহ তৈরি হয়। আজ বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও অনেকেই সেই প্রশ্ন তুলছেন এ কি কেবল দুর্ঘটনা, না কি এক গভীর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন?

তবে প্রশ্ন যাই হোক, সত্য একটাই রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হলে দেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। আর সেই ফাঁকেই প্রবেশ করে পরাশক্তি ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। তাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো দায় চাপানো নয়, বরং ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত, তথ্যনির্ভর ব্যাখ্যা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ আজ এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। আগুন, দুর্ঘটনা ও অঘটনের এই সময় আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে স্বাধীনতা শুধু অর্জনের বিষয় নয়, রক্ষা করাও সমান কঠিন। ৫ আগস্টের ঘটনার পূর্ণ অর্থ হয়তো সময়ই জানাবে; কিন্তু এখনই প্রয়োজন দায়িত্ব, সততা ও আস্থার রাজনীতি পুনরুদ্ধার করা। রাষ্ট্রে আগুন নিভানো যেমন জরুরি, তেমনি আস্থা জ্বালিয়ে রাখাটাই এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে, যা এখন আর কেবল কাকতালীয় বলে মনে হচ্ছে না। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকেই যে ধারাবাহিক বিপর্যয় চলছে, তা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও সার্বভৌমত্ব সব কিছুকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

শুরুটা হয়েছিল এক স্কুলের মাঠে ফাইটার প্লেন ভেঙে পড়ার মধ্য দিয়ে। এরপর সচিবালয়ে শত শত কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রে সেই অগ্নিকাণ্ড ছিল নজিরবিহীন। তারপরই আগুন লাগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যেখানে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও সংবেদনশীল নথি সংরক্ষিত ছিল। আগুনের ভেতর হারিয়ে যায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও আস্থার প্রতীক।

এদিকে, মার্কিন রণতরীর বাংলাদেশ উপকূলে আগমন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও গ্যাসব্লক বিদেশি ব্যবস্থাপনায় চলে যাওয়া, মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে প্রতিদিন সীমান্তরক্ষীদের আহত হওয়া এসব ঘটনাও এক ভিন্ন ধরনের সংকেত দিচ্ছে। সেন্টমার্টিন ও পার্বত্যাঞ্চলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিরাপত্তাজনিত অনিশ্চয়তাকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

এই ধারাবাহিক ঘটনাপুঞ্জের পেছনে কোনো সমন্বিত নকশা আছে কি না এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মধ্যেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইতিহাস বলে, রাষ্ট্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের আগে প্রায়ই এমন বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলার আবহ তৈরি হয়। আজ বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও অনেকেই সেই প্রশ্ন তুলছেন এ কি কেবল দুর্ঘটনা, না কি এক গভীর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন?

তবে প্রশ্ন যাই হোক, সত্য একটাই রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হলে দেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। আর সেই ফাঁকেই প্রবেশ করে পরাশক্তি ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। তাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো দায় চাপানো নয়, বরং ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত, তথ্যনির্ভর ব্যাখ্যা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ আজ এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। আগুন, দুর্ঘটনা ও অঘটনের এই সময় আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে স্বাধীনতা শুধু অর্জনের বিষয় নয়, রক্ষা করাও সমান কঠিন। ৫ আগস্টের ঘটনার পূর্ণ অর্থ হয়তো সময়ই জানাবে; কিন্তু এখনই প্রয়োজন দায়িত্ব, সততা ও আস্থার রাজনীতি পুনরুদ্ধার করা। রাষ্ট্রে আগুন নিভানো যেমন জরুরি, তেমনি আস্থা জ্বালিয়ে রাখাটাই এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ