Friday, October 24, 2025

বাংলাদেশ কার হাতে নিরাপদ? শেখ হাসিনাতে আস্থা জনগণের

নিজস্ব প্রতিবেদক
দৈনিক কালের কণ্ঠের সাম্প্রতিক একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জনগণের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে— “বাংলাদেশ কার হাতে নিরাপদ থাকবে বলে আপনি মনে করেন?” কমেন্ট সেকশনে যা দেখা গেল, তা এক অনন্য ছবি তুলে ধরেছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ কমেন্টে শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ হয়েছে। এই জনমতের ঢেউ শুধু একটি পোস্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নকে কেন্দ্র করে উঠে এসেছে।

হাজারো কমেন্টের মধ্যে অধিকাংশই শেখ হাসিনার নামে আস্থা প্রকাশ করেছে। একজন কমেন্টার লিখেছেন, “শেখ হাসিনার হাতে ছাড়া বাংলাদেশের কোনো নিরাপত্তা নেই। তিনি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করেছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মান ফিরিয়ে এনেছেন।” আরেকজন বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের উত্থান দেখে বোঝা যায়, হাসিনার নেতৃত্ব ছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন।”

কিন্তু এই প্রশ্নের মূল বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্টের সংখ্যায় নয়। আগের দিনগুলোতে বাংলাদেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। কিন্তু গত এক বছরের রাজনৈতিক ঝড়ের পর আলোচনা সরে এসেছে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্নে।

গত বছর দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশ নতুন রূপ নিয়েছে। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সাথে সাথে নিরাপত্তা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফ্রিডম হাউসের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সহিংসতা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এখনও চলমান। বিএনপি এবং জামায়াতের মতো বিরোধী দলগুলোর উত্থানের সাথে জঙ্গিদের কার্যকলাপ বেড়েছে। আল-কায়েদা-সমর্থিত আনসার আল-ইসলামের প্রধানের মুক্তি এবং ঢাকায় খিলাফতের দাবিতে মিছিল— এসব ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, মিয়ানমারের অস্থিরতা বাংলাদেশের সীমান্তে নতুন ঝুঁকি তৈরি করেছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অস্ত্রের চোরাবাজারি এবং সীমান্তবর্তী সহিংসতা বেড়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট ২০২৫-এ উল্লেখ করা হয়েছে, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং নির্যাতনের অভিযোগ চলছে, যা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভিত্তিকে দুর্বল করছে। অর্থনৈতিকভাবে আইএমএফের ঋণ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব বেড়েছে, যা সামাজিক অস্থিরতাকে উস্কে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, ২০২৫-এর শেষ নাগাদ নির্বাচনের ঘোষণা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাব দেশকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

এই প্রেক্ষাপটে জনগণের মতামত শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুততম-বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হয়ে উঠেছিল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শক্তিশালী হয়েছিল। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে তাঁর ভূমিকা অনেকের কাছে এখনও স্মরণীয়।

নেটিজেনরা বলেছেন, “হাসিনা ছাড়া দেশের সীমান্ত নিরাপদ ছিল না। এখন দেখুন, কী হয়েছে!” তবে এই আস্থা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থকরা বলছেন, সংস্কারের মাধ্যমে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। বিএনপির নেতা তারেক রহমানের মতো ব্যক্তিরা নির্বাচনের দাবি তুলছেন, কিন্তু জনমতের এই ঢেউ তাদের চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, “এই রাজনৈতিক শূন্যতা সন্ত্রাসীদের সুযোগ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই পরিস্থিতিকে নজরে রেখেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৫-এ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর জোর দিয়েছে।

শেষ কথা, এই প্রশ্ন— বাংলাদেশ কার হাতে নিরাপদ?— শুধু একটি জরিপ নয়, এটি জাতির স্বপ্নের প্রতিফলন। শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আস্থা দেখিয়ে দিচ্ছে, তারা উন্নয়নের পথে ফিরতে চান, সন্ত্রাসের ছায়া থেকে মুক্তি চান।

নিজস্ব প্রতিবেদক
দৈনিক কালের কণ্ঠের সাম্প্রতিক একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জনগণের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে— “বাংলাদেশ কার হাতে নিরাপদ থাকবে বলে আপনি মনে করেন?” কমেন্ট সেকশনে যা দেখা গেল, তা এক অনন্য ছবি তুলে ধরেছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ কমেন্টে শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ হয়েছে। এই জনমতের ঢেউ শুধু একটি পোস্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নকে কেন্দ্র করে উঠে এসেছে।

হাজারো কমেন্টের মধ্যে অধিকাংশই শেখ হাসিনার নামে আস্থা প্রকাশ করেছে। একজন কমেন্টার লিখেছেন, “শেখ হাসিনার হাতে ছাড়া বাংলাদেশের কোনো নিরাপত্তা নেই। তিনি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করেছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মান ফিরিয়ে এনেছেন।” আরেকজন বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের উত্থান দেখে বোঝা যায়, হাসিনার নেতৃত্ব ছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন।”

কিন্তু এই প্রশ্নের মূল বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্টের সংখ্যায় নয়। আগের দিনগুলোতে বাংলাদেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। কিন্তু গত এক বছরের রাজনৈতিক ঝড়ের পর আলোচনা সরে এসেছে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্নে।

গত বছর দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশ নতুন রূপ নিয়েছে। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সাথে সাথে নিরাপত্তা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফ্রিডম হাউসের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সহিংসতা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এখনও চলমান। বিএনপি এবং জামায়াতের মতো বিরোধী দলগুলোর উত্থানের সাথে জঙ্গিদের কার্যকলাপ বেড়েছে। আল-কায়েদা-সমর্থিত আনসার আল-ইসলামের প্রধানের মুক্তি এবং ঢাকায় খিলাফতের দাবিতে মিছিল— এসব ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, মিয়ানমারের অস্থিরতা বাংলাদেশের সীমান্তে নতুন ঝুঁকি তৈরি করেছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অস্ত্রের চোরাবাজারি এবং সীমান্তবর্তী সহিংসতা বেড়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট ২০২৫-এ উল্লেখ করা হয়েছে, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং নির্যাতনের অভিযোগ চলছে, যা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভিত্তিকে দুর্বল করছে। অর্থনৈতিকভাবে আইএমএফের ঋণ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব বেড়েছে, যা সামাজিক অস্থিরতাকে উস্কে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, ২০২৫-এর শেষ নাগাদ নির্বাচনের ঘোষণা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাব দেশকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

এই প্রেক্ষাপটে জনগণের মতামত শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুততম-বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হয়ে উঠেছিল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শক্তিশালী হয়েছিল। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে তাঁর ভূমিকা অনেকের কাছে এখনও স্মরণীয়।

নেটিজেনরা বলেছেন, “হাসিনা ছাড়া দেশের সীমান্ত নিরাপদ ছিল না। এখন দেখুন, কী হয়েছে!” তবে এই আস্থা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থকরা বলছেন, সংস্কারের মাধ্যমে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। বিএনপির নেতা তারেক রহমানের মতো ব্যক্তিরা নির্বাচনের দাবি তুলছেন, কিন্তু জনমতের এই ঢেউ তাদের চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, “এই রাজনৈতিক শূন্যতা সন্ত্রাসীদের সুযোগ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই পরিস্থিতিকে নজরে রেখেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৫-এ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর জোর দিয়েছে।

শেষ কথা, এই প্রশ্ন— বাংলাদেশ কার হাতে নিরাপদ?— শুধু একটি জরিপ নয়, এটি জাতির স্বপ্নের প্রতিফলন। শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আস্থা দেখিয়ে দিচ্ছে, তারা উন্নয়নের পথে ফিরতে চান, সন্ত্রাসের ছায়া থেকে মুক্তি চান।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ