Friday, October 24, 2025

আইএমএফের অনীহা : অবৈধ দখলদার ইউনুস সরকারের প্রতি আস্থাহীনতার প্রকাশ

ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যে সংবাদ এসেছে, তা মোটেও আশ্চর্যজনক নয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত তারা আর কোনো ঋণের কিস্তি ছাড়বে না। এই সিদ্ধান্ত আসলে একটি বড় বার্তা বহন করে। বিশ্ব সম্প্রদায় এখন বুঝে গেছে যে জুলাইয়ের রক্তাক্ত দাঙ্গার মধ্য দিয়ে যে অবৈধ ক্ষমতা দখল হয়েছে, সেই সরকারের হাতে জনগণের টাকা নিরাপদ নয়।

মোহাম্মদ ইউনূস আর তার তথাকথিত উপদেষ্টা পরিষদ যখন সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় ক্ষমতার মসনদে বসেছিল, তখন হয়তো ভেবেছিল আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো তাদের বৈধতা দিয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবতা একদম ভিন্ন। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত অভ্যুত্থান যতই সুপরিকল্পিত হোক না কেন, বিশ্বমঞ্চে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।

চার শ সত্তর কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির কথা বলা হয়েছিল। পরে আরও আশি কোটি যোগ হয়েছিল। কিন্তু সাড়ে পাঁচশ কোটি ডলারের মধ্যে হাতে এসেছে মাত্র তিনশ ষাট কোটি। বাকি টাকা আটকে গেছে কেন? কারণটা খুব পরিষ্কার। অন্তর্বর্তী সরকার নামের এই অবৈধ প্রশাসনের প্রতি আইএমএফের আস্থা নেই। আর তাদের এই অনাস্থার পেছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে।

গত কয়েক মাসে দেশের অর্থনীতি যেভাবে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তাতে স্পষ্ট যে এই সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে, মূল্যস্ফীতি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, আর সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ এই সরকারের মাথায় এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে কীভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়, আর কীভাবে জনগণের অর্থ নিজেদের পকেটে ঢোকানো যায়।

আইএমএফের কাছে এখন শক্ত প্রমাণ আছে যে এই সরকারের হাতে টাকা দিলে সেটা জনকল্যাণে খরচ হবে না। দুর্নীতি আর অর্থ পাচারের নতুন নতুন পথ খুঁজে বের করা হবে। এজন্যই তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত আর কোনো টাকা ছাড়া হবে না। এটা শুধু একটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, এটা আসলে অবৈধ সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিশ্বাসের স্পষ্ট প্রকাশ।

জুলাই মাসে যে দাঙ্গা হয়েছিল, সেটা কোনো স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন ছিল না। বিদেশি অর্থ আর ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে সেই রক্তাক্ত অধ্যায় সৃষ্টি করা হয়েছিল। সামরিক বাহিনীর একাংশের সমর্থন ছিল বলেই এতবড় একটা ক্যু সফল হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বের অন্য দেশগুলো এসব দেখছে না, তা নয়। তারা খুব ভালো করেই জানে যে কারা এই অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী আর কাদের স্বার্থে এটা করা হয়েছিল।

মোহাম্মদ ইউনূস একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হতে পারেন, কিন্তু তার সেই পরিচয় তাকে একজন গণতান্ত্রিক নেতা বানায় না। মাইক্রোক্রেডিটের নামে যিনি বছরের পর বছর দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদ আদায় করেছেন, সেই সুদী মহাজনের কাছে জনগণের কল্যাণ আশা করাটাই বোকামি। তিনি আর তার পরিষদের সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন, কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় আসেননি। তাহলে তাদের কাছে দায়বদ্ধতা আশা করা যায় কীভাবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ওয়াশিংটন থেকে ফিরে যা বলেছেন, তাতে পরিষ্কার যে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা মোটেও ভালো যায়নি। ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর মানে হলো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বুঝে গেছে যে এই সরকারের হাতে অর্থ দেওয়া মানে সেই অর্থের অপব্যবহার নিশ্চিত করা। তারা আর সেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।

এখানে মজার ব্যাপার হলো, যারা এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তারা নিশ্চয়ই ভেবেছিল যে পশ্চিমা দেশগুলো খুশি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে কূটনৈতিক কথাবার্তায় যতই সমর্থনের ভান করা হোক, অর্থের ক্ষেত্রে তারা অনেক বেশি সতর্ক। আইএমএফ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তারা হিসাব দেখে। আর হিসাব বলছে যে এই সরকারের কাছে টাকা দিলে সেটা ফেরত পাওয়া যাবে না, অথবা সেই টাকা দেশের উন্নয়নে লাগবে না।

বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও এরকম অনেক উদাহরণ আছে যেখানে অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে। মিয়ানমার, মিশর, থাইল্যান্ড সবখানেই একই ঘটনা ঘটেছে। সামরিক অভ্যুত্থান বা অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রথমেই অর্থনৈতিক চাপ দিতে শুরু করে। বাংলাদেশেও ঠিক তাই ঘটছে। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত আসলে একটা সংকেত যে আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই অবৈধ সরকারকে মেনে নিতে রাজি নয়।

আরেকটা বিষয় মনে রাখা দরকার। আইএমএফ যখন কোনো দেশকে ঋণ দেয়, তখন তারা শুধু টাকা দিয়ে চলে যায় না। তারা নিয়মিত মনিটরিং করে, দেখে যে সেই টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে। আর এই সরকারের আমলে যেভাবে দুর্নীতি আর অস্বচ্ছতা বেড়েছে, তাতে আইএমএফের পক্ষে চুপ করে থাকা সম্ভব ছিল না। তারা হয়তো বুঝতে পেরেছে যে এই সরকার কোনো হিসাব দিতে পারবে না, আর তাই তারা আগাম সতর্ক হয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতি দেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রিজার্ভ কমছে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট বাড়ছে, আর এখন আইএমএফের ঋণও আটকে গেল। এর ফলাফল ভোগ করবে সাধারণ মানুষ। ডলারের দাম আরও বাড়বে, আমদানি খরচ বেড়ে যাবে, আর নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হবে। কিন্তু যারা ক্ষমতায় বসে আছেন, তাদের এসবে কিছু যায় আসে না। তাদের নিজেদের পকেট ভরা, বিদেশে হিসাব গোপন করা, এইসব নিয়েই ব্যস্ত।

আইএমএফের কাছে এখন নিশ্চয়ই কিছু গোয়েন্দা তথ্য আছে যা প্রমাণ করে যে এই সরকারের আর্থিক লেনদেনে গরমিল আছে। হয়তো অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে, হয়তো দুর্নীতির নথি হাতে এসেছে। নইলে তারা এত সরাসরি বলত না যে নির্বাচিত সরকার আসার আগে আর কোনো টাকা দেওয়া হবে না। এটা একটা বিরাট অপমান আর অবিশ্বাসের প্রকাশ।

বাংলাদেশের মানুষ এখন একটা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। একদিকে অর্থনৈতিক সংকট, অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আর মাঝখানে বসে আছে একটা অবৈধ সরকার যার কোনো দায়বদ্ধতা নেই, কোনো জবাবদিহিতা নেই। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত হয়তো এই সরকারের জন্য একটা বড় ধাক্কা, কিন্তু দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে এটা হয়তো একটা ভালো পদক্ষেপ। অন্তত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন পরিষ্কার বার্তা দিয়ে দিয়েছে যে অগণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে তারা স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখবে না।

এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর একটাই পথ, আর সেটা হলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা অবাধ আর নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলেই কেবল আন্তর্জাতিক আস্থা ফিরে আসবে, বৈদেশিক সাহায্য আবার চালু হবে, আর অর্থনীতি স্থিতিশীল হওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু যতদিন এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশ আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার দিকেই এগিয়ে যাবে।

ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যে সংবাদ এসেছে, তা মোটেও আশ্চর্যজনক নয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত তারা আর কোনো ঋণের কিস্তি ছাড়বে না। এই সিদ্ধান্ত আসলে একটি বড় বার্তা বহন করে। বিশ্ব সম্প্রদায় এখন বুঝে গেছে যে জুলাইয়ের রক্তাক্ত দাঙ্গার মধ্য দিয়ে যে অবৈধ ক্ষমতা দখল হয়েছে, সেই সরকারের হাতে জনগণের টাকা নিরাপদ নয়।

মোহাম্মদ ইউনূস আর তার তথাকথিত উপদেষ্টা পরিষদ যখন সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় ক্ষমতার মসনদে বসেছিল, তখন হয়তো ভেবেছিল আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো তাদের বৈধতা দিয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবতা একদম ভিন্ন। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত অভ্যুত্থান যতই সুপরিকল্পিত হোক না কেন, বিশ্বমঞ্চে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।

চার শ সত্তর কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির কথা বলা হয়েছিল। পরে আরও আশি কোটি যোগ হয়েছিল। কিন্তু সাড়ে পাঁচশ কোটি ডলারের মধ্যে হাতে এসেছে মাত্র তিনশ ষাট কোটি। বাকি টাকা আটকে গেছে কেন? কারণটা খুব পরিষ্কার। অন্তর্বর্তী সরকার নামের এই অবৈধ প্রশাসনের প্রতি আইএমএফের আস্থা নেই। আর তাদের এই অনাস্থার পেছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে।

গত কয়েক মাসে দেশের অর্থনীতি যেভাবে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তাতে স্পষ্ট যে এই সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে, মূল্যস্ফীতি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, আর সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ এই সরকারের মাথায় এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে কীভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়, আর কীভাবে জনগণের অর্থ নিজেদের পকেটে ঢোকানো যায়।

আইএমএফের কাছে এখন শক্ত প্রমাণ আছে যে এই সরকারের হাতে টাকা দিলে সেটা জনকল্যাণে খরচ হবে না। দুর্নীতি আর অর্থ পাচারের নতুন নতুন পথ খুঁজে বের করা হবে। এজন্যই তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত আর কোনো টাকা ছাড়া হবে না। এটা শুধু একটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, এটা আসলে অবৈধ সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিশ্বাসের স্পষ্ট প্রকাশ।

জুলাই মাসে যে দাঙ্গা হয়েছিল, সেটা কোনো স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন ছিল না। বিদেশি অর্থ আর ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে সেই রক্তাক্ত অধ্যায় সৃষ্টি করা হয়েছিল। সামরিক বাহিনীর একাংশের সমর্থন ছিল বলেই এতবড় একটা ক্যু সফল হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বের অন্য দেশগুলো এসব দেখছে না, তা নয়। তারা খুব ভালো করেই জানে যে কারা এই অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী আর কাদের স্বার্থে এটা করা হয়েছিল।

মোহাম্মদ ইউনূস একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হতে পারেন, কিন্তু তার সেই পরিচয় তাকে একজন গণতান্ত্রিক নেতা বানায় না। মাইক্রোক্রেডিটের নামে যিনি বছরের পর বছর দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদ আদায় করেছেন, সেই সুদী মহাজনের কাছে জনগণের কল্যাণ আশা করাটাই বোকামি। তিনি আর তার পরিষদের সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন, কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় আসেননি। তাহলে তাদের কাছে দায়বদ্ধতা আশা করা যায় কীভাবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ওয়াশিংটন থেকে ফিরে যা বলেছেন, তাতে পরিষ্কার যে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা মোটেও ভালো যায়নি। ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর মানে হলো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বুঝে গেছে যে এই সরকারের হাতে অর্থ দেওয়া মানে সেই অর্থের অপব্যবহার নিশ্চিত করা। তারা আর সেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।

এখানে মজার ব্যাপার হলো, যারা এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তারা নিশ্চয়ই ভেবেছিল যে পশ্চিমা দেশগুলো খুশি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে কূটনৈতিক কথাবার্তায় যতই সমর্থনের ভান করা হোক, অর্থের ক্ষেত্রে তারা অনেক বেশি সতর্ক। আইএমএফ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তারা হিসাব দেখে। আর হিসাব বলছে যে এই সরকারের কাছে টাকা দিলে সেটা ফেরত পাওয়া যাবে না, অথবা সেই টাকা দেশের উন্নয়নে লাগবে না।

বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও এরকম অনেক উদাহরণ আছে যেখানে অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে। মিয়ানমার, মিশর, থাইল্যান্ড সবখানেই একই ঘটনা ঘটেছে। সামরিক অভ্যুত্থান বা অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রথমেই অর্থনৈতিক চাপ দিতে শুরু করে। বাংলাদেশেও ঠিক তাই ঘটছে। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত আসলে একটা সংকেত যে আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই অবৈধ সরকারকে মেনে নিতে রাজি নয়।

আরেকটা বিষয় মনে রাখা দরকার। আইএমএফ যখন কোনো দেশকে ঋণ দেয়, তখন তারা শুধু টাকা দিয়ে চলে যায় না। তারা নিয়মিত মনিটরিং করে, দেখে যে সেই টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে। আর এই সরকারের আমলে যেভাবে দুর্নীতি আর অস্বচ্ছতা বেড়েছে, তাতে আইএমএফের পক্ষে চুপ করে থাকা সম্ভব ছিল না। তারা হয়তো বুঝতে পেরেছে যে এই সরকার কোনো হিসাব দিতে পারবে না, আর তাই তারা আগাম সতর্ক হয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতি দেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রিজার্ভ কমছে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট বাড়ছে, আর এখন আইএমএফের ঋণও আটকে গেল। এর ফলাফল ভোগ করবে সাধারণ মানুষ। ডলারের দাম আরও বাড়বে, আমদানি খরচ বেড়ে যাবে, আর নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হবে। কিন্তু যারা ক্ষমতায় বসে আছেন, তাদের এসবে কিছু যায় আসে না। তাদের নিজেদের পকেট ভরা, বিদেশে হিসাব গোপন করা, এইসব নিয়েই ব্যস্ত।

আইএমএফের কাছে এখন নিশ্চয়ই কিছু গোয়েন্দা তথ্য আছে যা প্রমাণ করে যে এই সরকারের আর্থিক লেনদেনে গরমিল আছে। হয়তো অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে, হয়তো দুর্নীতির নথি হাতে এসেছে। নইলে তারা এত সরাসরি বলত না যে নির্বাচিত সরকার আসার আগে আর কোনো টাকা দেওয়া হবে না। এটা একটা বিরাট অপমান আর অবিশ্বাসের প্রকাশ।

বাংলাদেশের মানুষ এখন একটা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। একদিকে অর্থনৈতিক সংকট, অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আর মাঝখানে বসে আছে একটা অবৈধ সরকার যার কোনো দায়বদ্ধতা নেই, কোনো জবাবদিহিতা নেই। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত হয়তো এই সরকারের জন্য একটা বড় ধাক্কা, কিন্তু দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে এটা হয়তো একটা ভালো পদক্ষেপ। অন্তত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন পরিষ্কার বার্তা দিয়ে দিয়েছে যে অগণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে তারা স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখবে না।

এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর একটাই পথ, আর সেটা হলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা অবাধ আর নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলেই কেবল আন্তর্জাতিক আস্থা ফিরে আসবে, বৈদেশিক সাহায্য আবার চালু হবে, আর অর্থনীতি স্থিতিশীল হওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু যতদিন এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশ আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার দিকেই এগিয়ে যাবে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ