পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের ফি হঠাৎ করে ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার ওপরে চলে যাওয়া শুধু একটা সংখ্যার খেলা নয়, এটা একটা দেশের অর্থনৈতিক লুটপাটের নতুন মাত্রা। এই ফি বৃদ্ধির পেছনে যে দুটি কারণ দেখানো হচ্ছে, তার প্রতিটিই আসলে একটা বড়ো প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় এই সরকারের বৈধতা আর তাদের ক্ষমতা দখলের পদ্ধতিকে।
প্রথমত, দেশের রাজকোষ ফাঁকা হয়ে গেছে। কিন্তু কেন ফাঁকা হলো? কে ফাঁকা করল? ইউনুস গং আর তাদের অ-সরকারের লুটেরা রাজত্বের ফলাফল এটাই। দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার, সরকারি কোষাগার থেকে টাকা চুরি, আর জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়ার খেলা, এই সবকিছুর পরিণতি আজ দেশের সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের ফি বাড়ানো তারই একটা উদাহরণ। জনগণকে বোঝার উপরে শাকের আঁটি বানানো হচ্ছে, কারণ তাঁদের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই।
দ্বিতীয়ত, পুলিশ বাহিনী জুলাই দাঙ্গাবাজ আর জামাত-শিবিরের কর্মীদের দিয়ে ভর্তি করে ফেলা হয়েছে। এই লোকদের খাওয়ানোর দায়িত্বও এখন দেশের সাধারণ মানুষের উপর চাপানো হচ্ছে। ক্যুয়ের পর থেকে পুলিশ বাহিনীতে যারা ঢুকেছে, তারা কি দেশের জন্য কাজ করবে নাকি নিজেদের স্বার্থে? তাদের খিদে মেটানোর জন্য জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে, আর এই কাজটা করা হচ্ছে ফি বাড়ানোর নাম করে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ফি বাড়ানোর টাকা কোথায় যাচ্ছে? দেশের উন্নয়নে খরচ হচ্ছে নাকি লুটেরাদের পকেট ভারী করছে?
এই ফি বৃদ্ধির পেছনে আরেকটা বড়ো প্রশ্ন হলো, এই সরকারের বৈধতা। জুলাই দাঙ্গা বাঁধিয়ে, ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের সহায়তায়, বিদেশি রাষ্ট্রের টাকায় আর সামরিক বাহিনীর সমর্থনে দেশের নির্বাচিত সরকারকে ক্যু করে ফেলে দিয়ে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। এই সরকারের কোনো আইনি ভিত্তি নেই, কোনো জনগণের সমর্থন নেই। তারা ক্ষমতায় আছে শুধুমাত্র বলপ্রয়োগ আর বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতার কারণে। এই সরকারের অধীনে দেশের সম্পদ লুট হচ্ছে, জনগণের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো হচ্ছে, আর দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে।