Saturday, December 20, 2025

ঢাকায় জঙ্গি সমন্বয়ে প্যারালাল বাহিনীর আত্মপ্রকাশের কাজ চলছে

রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে যে অভিযোগগুলো সামনে আসছে, তা নিছক রাজনৈতিক বিতর্কের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয় এগুলো সরাসরি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য অনুযায়ী, হিজবুত তাহরির, লস্কর-ই-তৈয়বা, আইএস, জেএমবি, শিবির ও হেফাজতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উগ্রবাদী নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকায় একটি ‘অলিখিত প্যারালাল বাহিনী’ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে।

সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এসব নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ ও সাংগঠনিক সমন্বয়ের একটি কাঠামো ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে। নেতৃত্ব ও সমন্বয় ঘিরে কয়েকজন ব্যক্তির নাম আলোচনায় এসে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মামুনুল হক, মাহফুজ আলম হাসানাত ও এজাজ । রাজধানী ঢাকায় কয়েক হাজার সদস্য অস্ত্র ব্যবহারে পারদর্শী, যা জননিরাপত্তা ও নাগরিক জীবনের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকির ইঙ্গিত বহন করে।

আরও উদ্বেগজনক হলো—উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর চাপ ও আবদার সামাল দিতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি অংশ নীরব বা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। রাষ্ট্রের নিরপেক্ষতা, জবাবদিহি এবং সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা বা দৃশ্যমান নিষ্ক্রিয়তা জনমনে আতঙ্ক ও অবিশ্বাস আরও গভীর করছে।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গুজব, অভিযোগ ও পাল্টা বক্তব্যের রাজনীতি দীর্ঘস্থায়ী হলে তার ফল হয় ভয়াবহ। সন্দেহের এই আবহই উগ্রবাদকে পুষ্ট করে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নাগরিক আস্থাকে দুর্বল করে দেয়। তাই এই মুহূর্তে প্রয়োজন আবেগনির্ভর অস্বীকার বা রাজনৈতিক দোষারোপ নয়—প্রয়োজন সময়োপযোগী, স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার স্বার্থেই এসব অভিযোগের প্রকৃত সত্য উদঘাটন জরুরি। জবাবদিহি ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা না গেলে ‘প্যারালাল শক্তি’ নিয়ে শঙ্কা কেবল রাজনৈতিক ভাষ্য নয়, বরং বাস্তব সংকটে রূপ নিতে পারে—যার মূল্য দিতে হবে পুরো জাতিকে।

রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে যে অভিযোগগুলো সামনে আসছে, তা নিছক রাজনৈতিক বিতর্কের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয় এগুলো সরাসরি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য অনুযায়ী, হিজবুত তাহরির, লস্কর-ই-তৈয়বা, আইএস, জেএমবি, শিবির ও হেফাজতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উগ্রবাদী নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকায় একটি ‘অলিখিত প্যারালাল বাহিনী’ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে।

সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এসব নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ ও সাংগঠনিক সমন্বয়ের একটি কাঠামো ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে। নেতৃত্ব ও সমন্বয় ঘিরে কয়েকজন ব্যক্তির নাম আলোচনায় এসে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মামুনুল হক, মাহফুজ আলম হাসানাত ও এজাজ । রাজধানী ঢাকায় কয়েক হাজার সদস্য অস্ত্র ব্যবহারে পারদর্শী, যা জননিরাপত্তা ও নাগরিক জীবনের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকির ইঙ্গিত বহন করে।

আরও উদ্বেগজনক হলো—উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর চাপ ও আবদার সামাল দিতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি অংশ নীরব বা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। রাষ্ট্রের নিরপেক্ষতা, জবাবদিহি এবং সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা বা দৃশ্যমান নিষ্ক্রিয়তা জনমনে আতঙ্ক ও অবিশ্বাস আরও গভীর করছে।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গুজব, অভিযোগ ও পাল্টা বক্তব্যের রাজনীতি দীর্ঘস্থায়ী হলে তার ফল হয় ভয়াবহ। সন্দেহের এই আবহই উগ্রবাদকে পুষ্ট করে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নাগরিক আস্থাকে দুর্বল করে দেয়। তাই এই মুহূর্তে প্রয়োজন আবেগনির্ভর অস্বীকার বা রাজনৈতিক দোষারোপ নয়—প্রয়োজন সময়োপযোগী, স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার স্বার্থেই এসব অভিযোগের প্রকৃত সত্য উদঘাটন জরুরি। জবাবদিহি ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা না গেলে ‘প্যারালাল শক্তি’ নিয়ে শঙ্কা কেবল রাজনৈতিক ভাষ্য নয়, বরং বাস্তব সংকটে রূপ নিতে পারে—যার মূল্য দিতে হবে পুরো জাতিকে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ