Tuesday, December 16, 2025

প্রহসন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতার বন্দোবস্ত মানবে না দেশ

তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজন করা যায়, কিন্তু তাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না। আজ বাংলাদেশের বাস্তবতা সেটাই প্রমাণ করছে। অবৈধ ইউনুস সরকারের ঘোষিত তফসিল কোনো নির্বাচনী উৎসবের বার্তা বহন করে না বরং এটি জনগণের রায়কে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতার বন্দোবস্ত পাকাপোক্ত করার একটি নগ্ন ঘোষণা।

এই তথাকথিত নির্বাচন আদতে নির্বাচন নয় এটি একটি রাজনৈতিক প্রহসন। কারণ এখানে প্রতিযোগিতা নেই, অংশগ্রহণ নেই, নেই জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ। অভিযোগ স্পষ্ট আওয়ামী লীগ, জাসদ ও বাম জাতীয় পার্টিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোকে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এটি কেবল রাজনৈতিক বৈষম্য নয়; এটি সরাসরি সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারার বিরুদ্ধে অবস্থান।

ইউনুস সরকারের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ শুরু থেকেই। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নয় এমন একটি সরকার আজ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ঠিক করে দিচ্ছে কে নির্বাচনে থাকবে, কে থাকবে না। এই সিদ্ধান্তের নৈতিক ভিত্তি কোথায়? সাংবিধানিক কর্তৃত্বই বা কোথা থেকে এলো? বাস্তবে এর কোনো জবাব নেই। আছে শুধু প্রশাসনিক শক্তি আর দমনমূলক কৌশল।

তফসিল ঘোষণাকে সামনে রেখে বলা হচ্ছে এটি একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যে নির্বাচনে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক শক্তি অংশ নিতে পারবে না, সে নির্বাচন জনগণের নির্বাচন হতে পারে না। এটি ভোটারবিহীন ভোট, জনগণহীন গণতন্ত্রের এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত।

এই পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিগুলো জনগণের প্রতি স্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছে—এই প্রহসনের অংশ না হয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য। এটি কোনো অরাজক আহ্বান নয়; এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিবাদ, একটি নৈতিক অবস্থান। কারণ অন্যায় প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ মানেই সেই অন্যায়কে বৈধতা দেওয়া।

ইউনুস সরকারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড শুধু নির্বাচনী নিষেধাজ্ঞাতেই সীমাবদ্ধ নয়। বিরোধী মত দমন, সভা-সমাবেশে বাধা, রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানি, প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকা সব মিলিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট এই সরকার নির্বাচন পরিচালনা করছে না, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে।

গণতন্ত্র মানে কেবল ব্যালট বাক্স বসানো নয়। গণতন্ত্র মানে জনগণের আস্থা, মতের বৈচিত্র্য ও সমান সুযোগ। এসবের একটিও যেখানে অনুপস্থিত, সেখানে তফসিল ঘোষণা কেবল ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কৌশলমাত্র।

ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে একতরফা নির্বাচন কখনো স্থিতিশীলতা আনে না। বরং তা জন্ম দেয় রাজনৈতিক অচলাবস্থা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্বাসযোগ্যতার সংকট। আজ যে পথে দেশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তা ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ বার্তা বহন করছে।

জনগণের রায় ছাড়া ক্ষমতার বন্দোবস্ত এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। তফসিল ঘোষণা করলেই নির্বাচন হয় না, আর নির্বাচন না হলে গণতন্ত্রও হয় না। এই প্রহসনের বিরুদ্ধে ভোট বর্জন আজ আর কোনো বিকল্প পথ নয় এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের ভাষা।

তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজন করা যায়, কিন্তু তাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না। আজ বাংলাদেশের বাস্তবতা সেটাই প্রমাণ করছে। অবৈধ ইউনুস সরকারের ঘোষিত তফসিল কোনো নির্বাচনী উৎসবের বার্তা বহন করে না বরং এটি জনগণের রায়কে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতার বন্দোবস্ত পাকাপোক্ত করার একটি নগ্ন ঘোষণা।

এই তথাকথিত নির্বাচন আদতে নির্বাচন নয় এটি একটি রাজনৈতিক প্রহসন। কারণ এখানে প্রতিযোগিতা নেই, অংশগ্রহণ নেই, নেই জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ। অভিযোগ স্পষ্ট আওয়ামী লীগ, জাসদ ও বাম জাতীয় পার্টিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোকে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এটি কেবল রাজনৈতিক বৈষম্য নয়; এটি সরাসরি সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারার বিরুদ্ধে অবস্থান।

ইউনুস সরকারের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ শুরু থেকেই। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নয় এমন একটি সরকার আজ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ঠিক করে দিচ্ছে কে নির্বাচনে থাকবে, কে থাকবে না। এই সিদ্ধান্তের নৈতিক ভিত্তি কোথায়? সাংবিধানিক কর্তৃত্বই বা কোথা থেকে এলো? বাস্তবে এর কোনো জবাব নেই। আছে শুধু প্রশাসনিক শক্তি আর দমনমূলক কৌশল।

তফসিল ঘোষণাকে সামনে রেখে বলা হচ্ছে এটি একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যে নির্বাচনে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক শক্তি অংশ নিতে পারবে না, সে নির্বাচন জনগণের নির্বাচন হতে পারে না। এটি ভোটারবিহীন ভোট, জনগণহীন গণতন্ত্রের এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত।

এই পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিগুলো জনগণের প্রতি স্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছে—এই প্রহসনের অংশ না হয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য। এটি কোনো অরাজক আহ্বান নয়; এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিবাদ, একটি নৈতিক অবস্থান। কারণ অন্যায় প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ মানেই সেই অন্যায়কে বৈধতা দেওয়া।

ইউনুস সরকারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড শুধু নির্বাচনী নিষেধাজ্ঞাতেই সীমাবদ্ধ নয়। বিরোধী মত দমন, সভা-সমাবেশে বাধা, রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানি, প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকা সব মিলিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট এই সরকার নির্বাচন পরিচালনা করছে না, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে।

গণতন্ত্র মানে কেবল ব্যালট বাক্স বসানো নয়। গণতন্ত্র মানে জনগণের আস্থা, মতের বৈচিত্র্য ও সমান সুযোগ। এসবের একটিও যেখানে অনুপস্থিত, সেখানে তফসিল ঘোষণা কেবল ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কৌশলমাত্র।

ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে একতরফা নির্বাচন কখনো স্থিতিশীলতা আনে না। বরং তা জন্ম দেয় রাজনৈতিক অচলাবস্থা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্বাসযোগ্যতার সংকট। আজ যে পথে দেশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তা ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ বার্তা বহন করছে।

জনগণের রায় ছাড়া ক্ষমতার বন্দোবস্ত এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। তফসিল ঘোষণা করলেই নির্বাচন হয় না, আর নির্বাচন না হলে গণতন্ত্রও হয় না। এই প্রহসনের বিরুদ্ধে ভোট বর্জন আজ আর কোনো বিকল্প পথ নয় এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের ভাষা।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ