Saturday, December 13, 2025

কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তিতে ইউনুসের ‘অসহায়ত্ব’ আসলে কিসের নিদর্শন?

চার সাংবাদিক পনেরো মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ, কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি। জামিন হয় না বারবার আবেদন করেও। আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন সিপিজে যখন তাদের মুক্তির আহ্বান জানায়, তখন ইউনুসের প্রেস সচিব বলেন, “এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।” আইনের শাসনের দোহাই দিয়ে দায় এড়ানো হয় সহজেই।

কিন্তু এই একই ব্যক্তি কি ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আইনের শাসনের কথা ভেবেছিলেন? যখন রাজপথে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হলো, তখন কোন আইন মেনে ক্ষমতায় এলেন তিনি? সংবিধান কি এভাবে ক্ষমতা দখলের অনুমতি দেয়? জনগণের ভোট ছাড়া যিনি দেশ চালাচ্ছেন, তিনিই আজ আইনের দোহাই দিচ্ছেন।

শাকিল আহমেদ, ফারজানা রুপা, মোজাম্মেল বাবু আর শ্যামল দত্ত। এই চারজন সাংবাদিক। তাদের অপরাধ কী? সরকারের পক্ষে লিখেছেন, ক্ষমতাকে প্রশ্ন করেননি। এটা কি অপরাধ? যদি তাই হয়, তাহলে নতুন আইন করে তাদের বিচার হোক। কিন্তু হত্যা মামলা? যে হত্যার সাথে তাদের দূরতম সম্পর্কও নেই, সেই মামলায় তারা মাসের পর মাস কারাগারে পড়ে আছেন।

আইনজীবীরা বলছেন, কোনো মামলারই তদন্ত শেষ হয়নি। তবু জামিন মিলছে না। একবার হাইকোর্ট জামিন দিলেও দুদিনের মধ্যে আপিল বিভাগ তা স্থগিত করে দেয়। এটা কি বিচার, নাকি প্রতিহিংসা? কারাগারে তাদের অবস্থা করুণ। ছত্রিশ বর্গফুটের সেলে লোহার শিক দিয়ে ঘেরা। কংক্রিটের মেঝেতে তোশক ছাড়া ঘুম। মোজাম্মেল বাবু ক্যানসারে আক্রান্ত, শ্যামল দত্তের উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিস। চিকিৎসা নেই, পর্যাপ্ত খাবার নেই।

ইউনুস নিজে গত বছর নভেম্বরে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি হত্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং সরকার তা বন্ধ করবে। কিন্তু তার ক্ষমতা নেওয়ার পরও নতুন করে হত্যা মামলা হয়েছে এই চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। তার সেই প্রতিশ্রুতির কী হলো? নাকি সেটাও ছিল বিদেশি দাতা আর আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে খুশি করার একটা কৌশল মাত্র?

যে মানুষ বিদেশি অর্থ আর সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছেন, তিনি কি সত্যিই দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করছেন? জুলাইয়ের নৈরাজ্য, অগণিত মানুষের মৃত্যু, সম্পদের ক্ষতি, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তাদের কাছে আইনের শাসনের কথা শুনতে হাস্যকর লাগে। সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ সমর্থন আর ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর সহায়তায় যে সরকার গঠিত, সেই সরকার আজ গণতন্ত্র আর আইনের কথা বলছে।

চার সাংবাদিকের পরিবার ভেঙে পড়েছে। তাদের সন্তানরা বাবা-মায়ের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু যে সরকার নিজেই অসাংবিধানিক পথে এসেছে, তারা এখন সংবিধানের তেত্রিশ নম্বর অনুচ্ছেদ আর আন্তর্জাতিক চুক্তির কথা শুনতে চায় না।

সিপিজে বলছে, দেড় হাজারের বেশি সাংবাদিক বিশ্বজুড়ে এই আহ্বানের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন। কিন্তু ইউনুস আর তার দল দায় এড়াচ্ছেন আইনের দোহাই দিয়ে। অথচ তারা নিজেরাই তো আইনের বাইরে গিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এই দ্বৈত মানদণ্ড কতদিন চলবে?

মানবাধিকার দিবসে যদি কারাবন্দি নিরপরাধ মানুষদের মুক্তি না হয়, তাহলে সেই দিবস পালনের কী মানে আছে? ইউনুসের কাছে প্রশ্ন, আপনি কি সত্যিই দেশের জন্য কাজ করছেন, নাকি যারা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে তাদের স্বার্থ রক্ষা করছেন?

চার সাংবাদিক পনেরো মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ, কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি। জামিন হয় না বারবার আবেদন করেও। আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন সিপিজে যখন তাদের মুক্তির আহ্বান জানায়, তখন ইউনুসের প্রেস সচিব বলেন, “এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।” আইনের শাসনের দোহাই দিয়ে দায় এড়ানো হয় সহজেই।

কিন্তু এই একই ব্যক্তি কি ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আইনের শাসনের কথা ভেবেছিলেন? যখন রাজপথে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হলো, তখন কোন আইন মেনে ক্ষমতায় এলেন তিনি? সংবিধান কি এভাবে ক্ষমতা দখলের অনুমতি দেয়? জনগণের ভোট ছাড়া যিনি দেশ চালাচ্ছেন, তিনিই আজ আইনের দোহাই দিচ্ছেন।

শাকিল আহমেদ, ফারজানা রুপা, মোজাম্মেল বাবু আর শ্যামল দত্ত। এই চারজন সাংবাদিক। তাদের অপরাধ কী? সরকারের পক্ষে লিখেছেন, ক্ষমতাকে প্রশ্ন করেননি। এটা কি অপরাধ? যদি তাই হয়, তাহলে নতুন আইন করে তাদের বিচার হোক। কিন্তু হত্যা মামলা? যে হত্যার সাথে তাদের দূরতম সম্পর্কও নেই, সেই মামলায় তারা মাসের পর মাস কারাগারে পড়ে আছেন।

আইনজীবীরা বলছেন, কোনো মামলারই তদন্ত শেষ হয়নি। তবু জামিন মিলছে না। একবার হাইকোর্ট জামিন দিলেও দুদিনের মধ্যে আপিল বিভাগ তা স্থগিত করে দেয়। এটা কি বিচার, নাকি প্রতিহিংসা? কারাগারে তাদের অবস্থা করুণ। ছত্রিশ বর্গফুটের সেলে লোহার শিক দিয়ে ঘেরা। কংক্রিটের মেঝেতে তোশক ছাড়া ঘুম। মোজাম্মেল বাবু ক্যানসারে আক্রান্ত, শ্যামল দত্তের উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিস। চিকিৎসা নেই, পর্যাপ্ত খাবার নেই।

ইউনুস নিজে গত বছর নভেম্বরে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি হত্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং সরকার তা বন্ধ করবে। কিন্তু তার ক্ষমতা নেওয়ার পরও নতুন করে হত্যা মামলা হয়েছে এই চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। তার সেই প্রতিশ্রুতির কী হলো? নাকি সেটাও ছিল বিদেশি দাতা আর আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে খুশি করার একটা কৌশল মাত্র?

যে মানুষ বিদেশি অর্থ আর সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছেন, তিনি কি সত্যিই দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করছেন? জুলাইয়ের নৈরাজ্য, অগণিত মানুষের মৃত্যু, সম্পদের ক্ষতি, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তাদের কাছে আইনের শাসনের কথা শুনতে হাস্যকর লাগে। সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ সমর্থন আর ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর সহায়তায় যে সরকার গঠিত, সেই সরকার আজ গণতন্ত্র আর আইনের কথা বলছে।

চার সাংবাদিকের পরিবার ভেঙে পড়েছে। তাদের সন্তানরা বাবা-মায়ের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু যে সরকার নিজেই অসাংবিধানিক পথে এসেছে, তারা এখন সংবিধানের তেত্রিশ নম্বর অনুচ্ছেদ আর আন্তর্জাতিক চুক্তির কথা শুনতে চায় না।

সিপিজে বলছে, দেড় হাজারের বেশি সাংবাদিক বিশ্বজুড়ে এই আহ্বানের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন। কিন্তু ইউনুস আর তার দল দায় এড়াচ্ছেন আইনের দোহাই দিয়ে। অথচ তারা নিজেরাই তো আইনের বাইরে গিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এই দ্বৈত মানদণ্ড কতদিন চলবে?

মানবাধিকার দিবসে যদি কারাবন্দি নিরপরাধ মানুষদের মুক্তি না হয়, তাহলে সেই দিবস পালনের কী মানে আছে? ইউনুসের কাছে প্রশ্ন, আপনি কি সত্যিই দেশের জন্য কাজ করছেন, নাকি যারা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে তাদের স্বার্থ রক্ষা করছেন?

আরো পড়ুন

সর্বশেষ