Thursday, December 11, 2025

ইউনূসের আমলে জঙ্গিবাদের ‘বাম্পার ফলন’, সরবরাহ হচ্ছে পাকিস্তানে

পাকিস্তানের তেহরিক-এ-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সহ বিভিন্ন উগ্রবাদী সংগঠনে যোগ দিচ্ছে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বাংলাদেশি যুবক এই প্রবণতা দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গিবাদের এক নতুন ও উদ্বেগজনক রূপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা, যা ঢাকার নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকেও সতর্ক অবস্থায় রেখেছে। অভিযোগ উঠেছে, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয়ায় দেশে জঙ্গিবাদ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আর এ জঙ্গিরা যুক্ত হচ্ছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে।

পাকিস্তান সরকারের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত কমপক্ষে চার বাংলাদেশি পাকিস্তানে টিটিপির পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়েছে। সম্প্রতি টিটিপির কয়েকজন সদস্য বাংলা ভাষায় ভিডিও পোস্ট করেছে।

পাকিস্তান পুলিশ বলছে, বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি পাকিস্তানে সক্রিয়ভাবে জঙ্গিবাদে যুক্ত। ফয়সাল হোসেন (২২) নিহত হন এই বছর সেপ্টেম্বরে, কারাকে। জুবায়ের আহমেদ (২২) নিহত হন এই বছর এপ্রিলে। তৃতীয় যুবক রতন ঢালির মৃত্যুর তথ্যটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

ডন জানায়, এই যুবকরা দুবাইয়ে চাকরিরের নাম করে পাকিস্তানে যায়। প্রথমে বেনাপোল হয়ে ভারতে প্রবেশ, এরপর আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানে পৌঁছানো, এই হলো সাধারণ পদ্ধতি। ফয়সাল ও রতন দুজনই ঢাকা শহরের একই হিজামা ক্লিনিকে কাজ করতেন। জুবায়ের উমরাহর পর সৌদি আরব থেকে বৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন।

২০২৪ সালের মার্চে ফয়সাল তার পরিবারকে জানান যে একজন বড় ভাই তাকে বিনা খরচে দুবাই পাঠাবেন এবং মাসে ৩৫ হাজার টাকা বেতন দেবেন। রতনও পরিবারকে একইভাবে দুবাই যাওয়ার কথা জানান এবং পরে ফোনে বলেন তিনি ভারতে আছেন। বাস্তবে তারা দুজনই বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ভারতে ঢুকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি সংগঠনের হাতে পড়েন। সকল ভুক্তভোগীই নিম্নমধ্যবিত্ত বা আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবার থেকে আসা। এ বছরই বাংলাদেশে জঙ্গি কায়দায় হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনিকে উৎখাত করা হয়। । পরিবারগুলো বলছে, ভুয়া চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের প্রতারিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশি নাগরিকরা শুধু টিটিপিই নয়, টিএলপি (তেহরিক-এ-লাবাইক পাকিস্তান) এবং আইএমপি–তেও যোগ দিচ্ছেন। তবে এদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ টিটিপির সঙ্গে যুক্ত। নিয়োগগুলো এখন প্রধানত অনলাইনে, এবং বিকৃত ধর্মীয় ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নাগরিকরা বলছেন, ২০২৪ সালের আগস্টে তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে জঙ্গি ও উগ্রবাদের প্রতি এক ধরনের নীরব প্রশ্রয় দেখা যাচ্ছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে ৩০০-এর বেশি জঙ্গি জামিনে মুক্ত, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মের নামে অপপ্রচার, জঙ্গি সংগঠনের পুনরুত্থান এবং প্রশাসনের নীরবতা গোটা জাতির জন্য উদ্বেগজনক। পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি) স্বীকার করে নিয়েছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তাদের সংশ্লিষ্টরা ছিল।

বাংলাদেশি যুবকদের পাকিস্তানের মতো মুসলিম-প্রধান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যাওয়া বিশেষজ্ঞদের কাছে অস্বাভাবিক ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক হাসান আল মাহমুদ বলেন, ‘ধর্মকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে নতুনদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে।’টিটিপির দাবি, তারা পাকিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছে। কিন্তু, বাংলাদেশি আলেমরা এই যুক্তি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, ‘অন্য মুসলিম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বাংলাদেশ ছাড়াকে ইসলাম সমর্থন করে না।’

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আবারও বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর ভয়াবহ ষড়যন্ত্র চলছে—এমন তথ্য সামনে আসছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। সাম্প্রতিক কূটনৈতিক ও সামরিক যোগাযোগ, বিদেশি অর্থায়ন এবং ইসলামাবাদের রাজনৈতিক-গোয়েন্দা কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে তীব্র উদ্বেগ।

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুই দেশের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী হয় পাকিস্তান। বিশ্লেষকদের মতে, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিশোধ নিতেই বাংলাদেশ জঙ্গিরাষ্ট্র বানাতে চায় পাকিস্তান। আর এ জন্য তারা সবসময়ই বিএনপি জামায়াতকে কাজে লাগিয়েছে।

পাকিস্তানের তেহরিক-এ-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সহ বিভিন্ন উগ্রবাদী সংগঠনে যোগ দিচ্ছে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বাংলাদেশি যুবক এই প্রবণতা দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গিবাদের এক নতুন ও উদ্বেগজনক রূপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা, যা ঢাকার নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকেও সতর্ক অবস্থায় রেখেছে। অভিযোগ উঠেছে, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয়ায় দেশে জঙ্গিবাদ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আর এ জঙ্গিরা যুক্ত হচ্ছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে।

পাকিস্তান সরকারের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত কমপক্ষে চার বাংলাদেশি পাকিস্তানে টিটিপির পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়েছে। সম্প্রতি টিটিপির কয়েকজন সদস্য বাংলা ভাষায় ভিডিও পোস্ট করেছে।

পাকিস্তান পুলিশ বলছে, বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি পাকিস্তানে সক্রিয়ভাবে জঙ্গিবাদে যুক্ত। ফয়সাল হোসেন (২২) নিহত হন এই বছর সেপ্টেম্বরে, কারাকে। জুবায়ের আহমেদ (২২) নিহত হন এই বছর এপ্রিলে। তৃতীয় যুবক রতন ঢালির মৃত্যুর তথ্যটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

ডন জানায়, এই যুবকরা দুবাইয়ে চাকরিরের নাম করে পাকিস্তানে যায়। প্রথমে বেনাপোল হয়ে ভারতে প্রবেশ, এরপর আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানে পৌঁছানো, এই হলো সাধারণ পদ্ধতি। ফয়সাল ও রতন দুজনই ঢাকা শহরের একই হিজামা ক্লিনিকে কাজ করতেন। জুবায়ের উমরাহর পর সৌদি আরব থেকে বৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন।

২০২৪ সালের মার্চে ফয়সাল তার পরিবারকে জানান যে একজন বড় ভাই তাকে বিনা খরচে দুবাই পাঠাবেন এবং মাসে ৩৫ হাজার টাকা বেতন দেবেন। রতনও পরিবারকে একইভাবে দুবাই যাওয়ার কথা জানান এবং পরে ফোনে বলেন তিনি ভারতে আছেন। বাস্তবে তারা দুজনই বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ভারতে ঢুকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি সংগঠনের হাতে পড়েন। সকল ভুক্তভোগীই নিম্নমধ্যবিত্ত বা আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবার থেকে আসা। এ বছরই বাংলাদেশে জঙ্গি কায়দায় হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনিকে উৎখাত করা হয়। । পরিবারগুলো বলছে, ভুয়া চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের প্রতারিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশি নাগরিকরা শুধু টিটিপিই নয়, টিএলপি (তেহরিক-এ-লাবাইক পাকিস্তান) এবং আইএমপি–তেও যোগ দিচ্ছেন। তবে এদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ টিটিপির সঙ্গে যুক্ত। নিয়োগগুলো এখন প্রধানত অনলাইনে, এবং বিকৃত ধর্মীয় ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নাগরিকরা বলছেন, ২০২৪ সালের আগস্টে তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে জঙ্গি ও উগ্রবাদের প্রতি এক ধরনের নীরব প্রশ্রয় দেখা যাচ্ছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে ৩০০-এর বেশি জঙ্গি জামিনে মুক্ত, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মের নামে অপপ্রচার, জঙ্গি সংগঠনের পুনরুত্থান এবং প্রশাসনের নীরবতা গোটা জাতির জন্য উদ্বেগজনক। পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি) স্বীকার করে নিয়েছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তাদের সংশ্লিষ্টরা ছিল।

বাংলাদেশি যুবকদের পাকিস্তানের মতো মুসলিম-প্রধান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যাওয়া বিশেষজ্ঞদের কাছে অস্বাভাবিক ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক হাসান আল মাহমুদ বলেন, ‘ধর্মকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে নতুনদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে।’টিটিপির দাবি, তারা পাকিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছে। কিন্তু, বাংলাদেশি আলেমরা এই যুক্তি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, ‘অন্য মুসলিম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বাংলাদেশ ছাড়াকে ইসলাম সমর্থন করে না।’

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আবারও বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর ভয়াবহ ষড়যন্ত্র চলছে—এমন তথ্য সামনে আসছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। সাম্প্রতিক কূটনৈতিক ও সামরিক যোগাযোগ, বিদেশি অর্থায়ন এবং ইসলামাবাদের রাজনৈতিক-গোয়েন্দা কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে তীব্র উদ্বেগ।

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুই দেশের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী হয় পাকিস্তান। বিশ্লেষকদের মতে, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিশোধ নিতেই বাংলাদেশ জঙ্গিরাষ্ট্র বানাতে চায় পাকিস্তান। আর এ জন্য তারা সবসময়ই বিএনপি জামায়াতকে কাজে লাগিয়েছে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ