Wednesday, December 10, 2025

ইউনুস আর বিএনপির কারসাজির মামলার দায় নেবে কে?

২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নানা নাশকতা, হামলা, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি ইত্যাদি বিভিন্ন ঘটনায় বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীদের নামে সারাদেশে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছড়াও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাও ছিল যেগুলো আদালতে উঠলে তৎকালীন সরকারের বিচার বিভাগ সেখানেই খারিজ করে দেওয়ার উদাহরণ আছে।

কিন্তু জঙ্গিসরকার ইউনুস বিএনপি-জামাত ও চিহ্নিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহার করে গত ১৫ বছরে করা দেশবিরোধী সকল নাশকতা থেকে তাদেরকে দায়মুক্তি দিয়েছে।

লক্ষনীয় বিষয় হলো শুধু মাত্র ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলাগুলোকেই খারিজ করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যত ভুয়া মামলা হয়েছে তার একটিও বাতিল করা হয়নি।

সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তর এক প্রতিবেদনে বলেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০২৪ সালের জুলাই জঙ্গি হামলার ১৯২ টি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছে ৫৬% মামলার কোন প্রমানই নেই। ঘটনার সময় দেশে ছিলেন না, জীবনে কোনদিন ঢাকায় আসেননি এমন ব্যক্তিদেরকে ঢাকার ঘটনার মামলায় আসামী করা হয়েছে।

২০২৪ সালের জুন মাসে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া মারা যান। কিন্তু ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন এই নেতা এবং তাঁকে হত্যা করা হয় উল্লেখ করে ২২ আগস্ট একটি মামলা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন।

৫ আগস্ট মো. আল আমিন মিয়া (৩৪) মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নির্বিচার গুলি চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয় দাবি করে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের নামে মামলা করেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কুলসুম বেগম (২১)। কিন্তু পরে দেখা যায়, সেই নিহত স্বামী তিন মাস পর ফিরে এসেছেন। (বিডিনিউজ ১৩ নভেম্বর ২০২৪)

শুধু সাধারণ মানুষই নয়, বাণিজ্য উপদেষ্টাও এমন এক মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন যেখানে তার সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আরো ৫৫ জনের নাম আছে। কিন্তু সেই মামলা থেকে শুধু বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এর নামই প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকী ৫৬ জন সবাই কি হত্যাকান্ডে যুক্ত ছিলেন?

বর্তমান সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আমাদের পবিত্র সংবিধা সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন নাগরিক আলী রিয়াজরা এককালে গায়েবি মামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তারা আসামিদের অধিকারের কথা বলতেন, সুষ্ঠু বিচারের কথা বলতেন।

তাদের আমলে গায়েবি মামলা সকল রেকর্ড, হিংস্রতার মাত্রা সবকিছুকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা শুধু মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছেন না। তারা মবও পাঠাচ্ছেন বাড়িতে যাতে পরিবারগুলোও আতংকে বাড়ি ছেড়ে পালায়।

গত ১৫ মাসে আমরা অনেক কিছুই শিখলাম। শিখলাম কীভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর সহিংস হতে হয়, কীভাবে দখলবাজি করতে হয়। আজ যারা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, তাদেরও একদিন ক্ষমতা শেষ হবে। কিন্তু আগের মত বিরোধীদলের সম্মান কি তারা পাবে? শুধুই সময়ের অপেক্ষা…

২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নানা নাশকতা, হামলা, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি ইত্যাদি বিভিন্ন ঘটনায় বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীদের নামে সারাদেশে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছড়াও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাও ছিল যেগুলো আদালতে উঠলে তৎকালীন সরকারের বিচার বিভাগ সেখানেই খারিজ করে দেওয়ার উদাহরণ আছে।

কিন্তু জঙ্গিসরকার ইউনুস বিএনপি-জামাত ও চিহ্নিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহার করে গত ১৫ বছরে করা দেশবিরোধী সকল নাশকতা থেকে তাদেরকে দায়মুক্তি দিয়েছে।

লক্ষনীয় বিষয় হলো শুধু মাত্র ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলাগুলোকেই খারিজ করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যত ভুয়া মামলা হয়েছে তার একটিও বাতিল করা হয়নি।

সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তর এক প্রতিবেদনে বলেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০২৪ সালের জুলাই জঙ্গি হামলার ১৯২ টি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছে ৫৬% মামলার কোন প্রমানই নেই। ঘটনার সময় দেশে ছিলেন না, জীবনে কোনদিন ঢাকায় আসেননি এমন ব্যক্তিদেরকে ঢাকার ঘটনার মামলায় আসামী করা হয়েছে।

২০২৪ সালের জুন মাসে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া মারা যান। কিন্তু ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন এই নেতা এবং তাঁকে হত্যা করা হয় উল্লেখ করে ২২ আগস্ট একটি মামলা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন।

৫ আগস্ট মো. আল আমিন মিয়া (৩৪) মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নির্বিচার গুলি চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয় দাবি করে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের নামে মামলা করেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কুলসুম বেগম (২১)। কিন্তু পরে দেখা যায়, সেই নিহত স্বামী তিন মাস পর ফিরে এসেছেন। (বিডিনিউজ ১৩ নভেম্বর ২০২৪)

শুধু সাধারণ মানুষই নয়, বাণিজ্য উপদেষ্টাও এমন এক মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন যেখানে তার সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আরো ৫৫ জনের নাম আছে। কিন্তু সেই মামলা থেকে শুধু বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এর নামই প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকী ৫৬ জন সবাই কি হত্যাকান্ডে যুক্ত ছিলেন?

বর্তমান সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আমাদের পবিত্র সংবিধা সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন নাগরিক আলী রিয়াজরা এককালে গায়েবি মামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তারা আসামিদের অধিকারের কথা বলতেন, সুষ্ঠু বিচারের কথা বলতেন।

তাদের আমলে গায়েবি মামলা সকল রেকর্ড, হিংস্রতার মাত্রা সবকিছুকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা শুধু মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছেন না। তারা মবও পাঠাচ্ছেন বাড়িতে যাতে পরিবারগুলোও আতংকে বাড়ি ছেড়ে পালায়।

গত ১৫ মাসে আমরা অনেক কিছুই শিখলাম। শিখলাম কীভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর সহিংস হতে হয়, কীভাবে দখলবাজি করতে হয়। আজ যারা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, তাদেরও একদিন ক্ষমতা শেষ হবে। কিন্তু আগের মত বিরোধীদলের সম্মান কি তারা পাবে? শুধুই সময়ের অপেক্ষা…

আরো পড়ুন

সর্বশেষ