Wednesday, December 10, 2025

ইউনূস ম্যাজিকে দেশে ব্যাপক লুটপাট, এক বছরে নতুন কোটিপতি ১১ হাজার

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অর্থনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যেও বড় অঙ্কের আমানত বাড়ছে। অভিযোগ উঠেছে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অদক্ষতায় দেশে দুর্নীতি বাড়ছে। সেইসঙ্গে তার সাঙ্গপাঙ্গরাও ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে গত এক বছরে কোটিপতি বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার। , গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যাংক খাতে কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। গত সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০টি। এই এক বছরে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজার ৯৪৩টি। বৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে সব উপখাতেই আমানতকারীর হিসাব-সংখ্যা বেড়েছে। তবে শুধু কমেছে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ক্যাটাগরিতে হিসাব-সংখ্যা ছিল ৯৬৮টি। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯৪টিতে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুণগত মান বৃদ্ধি না পাওয়ায় সমাজের একটি শ্রেণির কাছেই বেশি অর্থ-সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে। এ শ্রেণির বেশিরভাগেরই নাম রয়েছে কোটিপতির তালিকায়। তবে দেশে কোটিপতির প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে ধারণা করা হয়। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে কেবল কোটি টাকার বেশি জমা থাকা হিসাবই অন্তর্ভুক্ত। এর বাইরেও অনেকেই আছেন, যাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রামে আমানত প্রবাহ কমায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে মন্দা আরো প্রকট হচ্ছে। এতে গ্রামীণ উৎপাদন খাতের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

অন্যদিকে, শহরে ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও গ্রামে তিন প্রান্তিক ধরে ঋণের প্রবৃদ্ধির হার কমছে। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে গ্রামে ঋণপ্রবাহ কমেছিল দশমিক ৩৪ শতাংশ, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে কমেছে ৪ দশমিক ৩৫ এবং জুলাই-সেপ্টেম্বরে কমেছে দশমিক ৬২ শতাংশ।

সম্প্রতি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী গত অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ২২ শতাংশ, যা চলতি বছরে কমে দাঁড়াতে পারে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশে। প্রবৃদ্ধির এ নিম্নমুখী ধারা অর্থনীতির ভেতরের চাপকেই প্রতিফলিত করছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় বসেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ধোঁকায় পড়ে জুলাই আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া অনেকেই তখন ভেবেছিল দেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন আনবেন তিনি। তবে তার শাসনামলে একদিকে যেমন বেড়েছে দুর্নীতি, অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও নাজুক হয়েছে। আর এখন এসবে দিশেহারা দেশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী সমাজ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূসের সরকার এখনো প্রচারণানির্ভর উন্নয়ন নীতিতে আস্থা রাখছে, বাস্তবসম্মত সংস্কারের দিকে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ফলে বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ, দেশি শিল্প বিপর্যস্ত এবং সাধারণ মানুষ বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের দোলাচলে দিন কাটাচ্ছে।

রাজনীতির পরিবর্তনে মানুষ স্বচ্ছতা ও স্বস্তি চেয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা রূপ নিচ্ছে দুর্নীতির মহাসড়কে। প্রশ্ন উঠছে—এই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দায় নেবে কে? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—এই দুর্নীতির রোড রেসে থামবে কে?

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অর্থনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যেও বড় অঙ্কের আমানত বাড়ছে। অভিযোগ উঠেছে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অদক্ষতায় দেশে দুর্নীতি বাড়ছে। সেইসঙ্গে তার সাঙ্গপাঙ্গরাও ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে গত এক বছরে কোটিপতি বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার। , গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যাংক খাতে কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। গত সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০টি। এই এক বছরে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজার ৯৪৩টি। বৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে সব উপখাতেই আমানতকারীর হিসাব-সংখ্যা বেড়েছে। তবে শুধু কমেছে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ক্যাটাগরিতে হিসাব-সংখ্যা ছিল ৯৬৮টি। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯৪টিতে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুণগত মান বৃদ্ধি না পাওয়ায় সমাজের একটি শ্রেণির কাছেই বেশি অর্থ-সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে। এ শ্রেণির বেশিরভাগেরই নাম রয়েছে কোটিপতির তালিকায়। তবে দেশে কোটিপতির প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে ধারণা করা হয়। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে কেবল কোটি টাকার বেশি জমা থাকা হিসাবই অন্তর্ভুক্ত। এর বাইরেও অনেকেই আছেন, যাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রামে আমানত প্রবাহ কমায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে মন্দা আরো প্রকট হচ্ছে। এতে গ্রামীণ উৎপাদন খাতের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

অন্যদিকে, শহরে ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও গ্রামে তিন প্রান্তিক ধরে ঋণের প্রবৃদ্ধির হার কমছে। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে গ্রামে ঋণপ্রবাহ কমেছিল দশমিক ৩৪ শতাংশ, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে কমেছে ৪ দশমিক ৩৫ এবং জুলাই-সেপ্টেম্বরে কমেছে দশমিক ৬২ শতাংশ।

সম্প্রতি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী গত অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ২২ শতাংশ, যা চলতি বছরে কমে দাঁড়াতে পারে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশে। প্রবৃদ্ধির এ নিম্নমুখী ধারা অর্থনীতির ভেতরের চাপকেই প্রতিফলিত করছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় বসেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ধোঁকায় পড়ে জুলাই আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া অনেকেই তখন ভেবেছিল দেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন আনবেন তিনি। তবে তার শাসনামলে একদিকে যেমন বেড়েছে দুর্নীতি, অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও নাজুক হয়েছে। আর এখন এসবে দিশেহারা দেশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী সমাজ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূসের সরকার এখনো প্রচারণানির্ভর উন্নয়ন নীতিতে আস্থা রাখছে, বাস্তবসম্মত সংস্কারের দিকে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ফলে বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ, দেশি শিল্প বিপর্যস্ত এবং সাধারণ মানুষ বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের দোলাচলে দিন কাটাচ্ছে।

রাজনীতির পরিবর্তনে মানুষ স্বচ্ছতা ও স্বস্তি চেয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা রূপ নিচ্ছে দুর্নীতির মহাসড়কে। প্রশ্ন উঠছে—এই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দায় নেবে কে? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—এই দুর্নীতির রোড রেসে থামবে কে?

আরো পড়ুন

সর্বশেষ