বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সমন্বয়ে গঠিত শাসনব্যবস্থা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাজনৈতিক দলগুলো চাদাবাজী, দখলবাজী এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ কার্যক্রম চালাচ্ছে, যার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র ও অসহায় জনগণ।
দেশের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রায়। সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির, বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ, দুর্নীতির মহা উৎসব চলছে। লাখ লাখ মানুষ একবেলা ভাতের জন্য হাহাকার করছে, বেকারত্ব বাড়ছে, এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশের বন্দরের লীজ বিদেশীদের হাতে দিয়ে নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে। এ সব কর্মকাণ্ড দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং জাতীয় সম্পদকে অমূল্যভাবে ক্ষুণ্ণ করছে।
রাজনৈতিকভাবে, এই দলগুলো পরাজিত পাকিস্তানপ্রেমী নীতি প্রচার করছে। তারা জঙ্গী উত্থানকে উৎসাহ দিচ্ছে এবং ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করছে। দেশের সামাজিক সংহতি, সহাবস্থান এবং সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা তাদের কোনো গুরুত্ব নেই। নারীর অধিকার হরণ, ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ও বৈষম্য প্রচার—সবই তাদের কর্মকাণ্ডের অংশ। এটি দেশের মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং ঘৃণার জন্ম দিচ্ছে।
যদি প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে একতরফা ক্ষমতায় বসে তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবে বলে জনগন মনে করছে। মানুষের দারিদ্র্য, অনিশ্চয়তা ও ভয় ক্রমশ বাড়ছে। সামাজিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক হিংসা এবং গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি বাস্তব। এ অবস্থা শুধু দেশের অর্থনীতি নয়, মানুষের জীবন এবং সামাজিক শান্তিকেও ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এখনই কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দখলদারদের কার্যকলাপ নিয়মিত নজরদারি করা, দুর্নীতি দমন, বিদেশী সম্পদের অপব্যবহার প্রতিহত করা এবং সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক কর্তব্য। জনগণও সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও সামাজিক শান্তি রক্ষায় নাগরিক হিসেবে প্রত্যেককে সতর্ক ভূমিকা নিতে হবে।
ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সমন্বিত শাসন দেশের জন্য বিষাক্ত। ধর্ম, রাষ্ট্র ও অর্থনীতির প্রতি তাদের অবজ্ঞা দেশকে সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণকে ঘৃণা, সতর্কতা এবং সক্রিয় প্রতিরোধের মনোভাব গড়ে তুলতে হবে, না হলে দেশের স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক শান্তি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

