Wednesday, December 10, 2025

মাগুরায় সরকারি ভূমি অফিসে পেট্রোল বোমা হামলা

মাগুরার ভূমি অফিস আর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটায় পেট্রোল বোমা হামলা হয়েছে। জমি-জমার নথিপত্র পুড়ে গেছে, কম্পিউটার ধ্বংস হয়েছে, দলিল লেখকদের তিনটা রুম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা সরকারি অফিসে, যেখানে সাধারণ মানুষের জমির দলিল, নথিপত্র সংরক্ষিত থাকে, সেখানে রাতের অন্ধকারে জানালা ভেঙে পেট্রোল বোমা ছোঁড়ার সাহস কারা পেল? আর এই সাহস তারা পেল কেন? উত্তরটা খুব পরিষ্কার। মুহাম্মদ ইউনুস আর জেনারেল ওয়াকার যে শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছেন, সেখানে আইনের শাসন বলে কিছু নেই।

জুলাই মাসে যে দাঙ্গা বাঁধিয়ে একটা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হলো, সেই দাঙ্গার পেছনে কারা ছিল সেটা এখন আর গোপন কিছু নয়। বিদেশি অর্থায়ন, ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর সক্রিয় সহযোগিতা, আর সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে যে ক্যু সংঘটিত হয়েছে, তার ফলাফল এখন চোখের সামনে। একটা অবৈধ সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতা কেমন হয় তার নমুনা হলো মাগুরার এই ঘটনা।

ইউনুস সাহেব মাইক্রোক্রেডিট দিয়ে নোবেল পেয়েছিলেন। কিন্তু একটা দেশ চালানোর যোগ্যতা কি সুদের ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা দিয়ে আসে? গরিব মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা আদায় করা আর একটা রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল রাখা, এই দুটো কি একই জিনিস? গত পাঁচ মাসে দেশের অবস্থা দেখলে বোঝা যায় উত্তরটা কী। একের পর এক সহিংসতা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, এখন সরকারি অফিসে হামলা। এই পরিস্থিতির দায় কার? যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছেন, তাদের।

জেনারেল ওয়াকার আর ইউনুসের এই জোট যে শুধু রাজনৈতিকভাবে অবৈধ তা-ই নয়, তারা সম্পূর্ণভাবে অকার্যকরও। মাগুরায় রাত সাড়ে তিনটায় পেট্রোল বোমা হামলা হলো, কিন্তু হামলাকারীদের ধরা হয়েছে বলে কোথাও শোনা যাচ্ছে না। পুলিশ কিছু খালি বোতল আর একটা পেট্রোলের বোতল উদ্ধার করেছে। এই তো? এটাই কি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নমুনা? যে দেশে সরকারি অফিসে রাতের বেলা হামলা হয়ে জমির নথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়, সেই দেশে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে?

আসল সমস্যা হলো এই অবৈধ সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি, তাদের কোনো জনগণের কাছে জবাবদিহি করার প্রয়োজন নেই। ফলে দেশে কী হচ্ছে, কোথায় হচ্ছে, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। ইউনুস সাহেব হয়তো ভাবছেন তার নোবেল পুরস্কারের জৌলুসেই দেশ চলবে। জেনারেল ওয়াকার হয়তো ভাবছেন সামরিক শক্তি দিয়েই সব সামলানো যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একটা দেশ চলে আইনের শাসন দিয়ে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে, জনগণের সমর্থন দিয়ে। এগুলোর কিছুই এই অবৈধ সরকারের নেই।

মাগুরার ঘটনা একটা স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে কেউ নিরাপদ নয়। সরকারি কর্মচারীরা নিরাপদ নয়, সাধারণ মানুষের সম্পত্তির দলিল নিরাপদ নয়, দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। আর এই অনিরাপত্তার মূল কারণ হলো ইউনুস আর ওয়াকারের এই অবৈধ শাসন। যে শাসনের কোনো বৈধতা নেই, সেই শাসন কখনো স্থিতিশীলতা আনতে পারে না।

ডিসেম্বর ২০২৫ এ এসে দেশের অবস্থা দেখলে মনে হয় আমরা কয়েক দশক পেছনে চলে গেছি। যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রগতি করছিল, যেখানে মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারত, সেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে একটা সুপরিকল্পিত ক্যু দিয়ে। আর এখন সেই ক্যুর ফসল ঘরে তুলছে দেশের সাধারণ মানুষ। মাগুরার ভূমি অফিসের যে কর্মচারীরা কাজ করেন, তারা কি নিরাপদে অফিসে আসতে পারবেন এখন? যাদের জমির নথিপত্র পুড়ে গেছে, তারা কীভাবে তাদের সম্পত্তির মালিকানা প্রমাণ করবেন?

ইউনুস সাহেবের কাছে প্রশ্ন, এটা কি সেই বাংলাদেশ যেটা আপনি চেয়েছিলেন? জেনারেল ওয়াকারের কাছে প্রশ্ন, সামরিক বাহিনীর সমর্থনে ক্ষমতা দখল করে এই অরাজকতা সৃষ্টি করাই কি ছিল লক্ষ্য? দেশকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন হবে। আর যতদিন এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। কারণ যখন ক্ষমতার কোনো বৈধতা থাকে না, তখন শৃঙ্খলাও থাকে না।

মাগুরার ভূমি অফিস আর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটায় পেট্রোল বোমা হামলা হয়েছে। জমি-জমার নথিপত্র পুড়ে গেছে, কম্পিউটার ধ্বংস হয়েছে, দলিল লেখকদের তিনটা রুম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা সরকারি অফিসে, যেখানে সাধারণ মানুষের জমির দলিল, নথিপত্র সংরক্ষিত থাকে, সেখানে রাতের অন্ধকারে জানালা ভেঙে পেট্রোল বোমা ছোঁড়ার সাহস কারা পেল? আর এই সাহস তারা পেল কেন? উত্তরটা খুব পরিষ্কার। মুহাম্মদ ইউনুস আর জেনারেল ওয়াকার যে শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছেন, সেখানে আইনের শাসন বলে কিছু নেই।

জুলাই মাসে যে দাঙ্গা বাঁধিয়ে একটা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হলো, সেই দাঙ্গার পেছনে কারা ছিল সেটা এখন আর গোপন কিছু নয়। বিদেশি অর্থায়ন, ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর সক্রিয় সহযোগিতা, আর সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে যে ক্যু সংঘটিত হয়েছে, তার ফলাফল এখন চোখের সামনে। একটা অবৈধ সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতা কেমন হয় তার নমুনা হলো মাগুরার এই ঘটনা।

ইউনুস সাহেব মাইক্রোক্রেডিট দিয়ে নোবেল পেয়েছিলেন। কিন্তু একটা দেশ চালানোর যোগ্যতা কি সুদের ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা দিয়ে আসে? গরিব মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা আদায় করা আর একটা রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল রাখা, এই দুটো কি একই জিনিস? গত পাঁচ মাসে দেশের অবস্থা দেখলে বোঝা যায় উত্তরটা কী। একের পর এক সহিংসতা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, এখন সরকারি অফিসে হামলা। এই পরিস্থিতির দায় কার? যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছেন, তাদের।

জেনারেল ওয়াকার আর ইউনুসের এই জোট যে শুধু রাজনৈতিকভাবে অবৈধ তা-ই নয়, তারা সম্পূর্ণভাবে অকার্যকরও। মাগুরায় রাত সাড়ে তিনটায় পেট্রোল বোমা হামলা হলো, কিন্তু হামলাকারীদের ধরা হয়েছে বলে কোথাও শোনা যাচ্ছে না। পুলিশ কিছু খালি বোতল আর একটা পেট্রোলের বোতল উদ্ধার করেছে। এই তো? এটাই কি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নমুনা? যে দেশে সরকারি অফিসে রাতের বেলা হামলা হয়ে জমির নথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়, সেই দেশে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে?

আসল সমস্যা হলো এই অবৈধ সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি, তাদের কোনো জনগণের কাছে জবাবদিহি করার প্রয়োজন নেই। ফলে দেশে কী হচ্ছে, কোথায় হচ্ছে, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। ইউনুস সাহেব হয়তো ভাবছেন তার নোবেল পুরস্কারের জৌলুসেই দেশ চলবে। জেনারেল ওয়াকার হয়তো ভাবছেন সামরিক শক্তি দিয়েই সব সামলানো যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একটা দেশ চলে আইনের শাসন দিয়ে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে, জনগণের সমর্থন দিয়ে। এগুলোর কিছুই এই অবৈধ সরকারের নেই।

মাগুরার ঘটনা একটা স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে কেউ নিরাপদ নয়। সরকারি কর্মচারীরা নিরাপদ নয়, সাধারণ মানুষের সম্পত্তির দলিল নিরাপদ নয়, দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। আর এই অনিরাপত্তার মূল কারণ হলো ইউনুস আর ওয়াকারের এই অবৈধ শাসন। যে শাসনের কোনো বৈধতা নেই, সেই শাসন কখনো স্থিতিশীলতা আনতে পারে না।

ডিসেম্বর ২০২৫ এ এসে দেশের অবস্থা দেখলে মনে হয় আমরা কয়েক দশক পেছনে চলে গেছি। যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রগতি করছিল, যেখানে মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারত, সেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে একটা সুপরিকল্পিত ক্যু দিয়ে। আর এখন সেই ক্যুর ফসল ঘরে তুলছে দেশের সাধারণ মানুষ। মাগুরার ভূমি অফিসের যে কর্মচারীরা কাজ করেন, তারা কি নিরাপদে অফিসে আসতে পারবেন এখন? যাদের জমির নথিপত্র পুড়ে গেছে, তারা কীভাবে তাদের সম্পত্তির মালিকানা প্রমাণ করবেন?

ইউনুস সাহেবের কাছে প্রশ্ন, এটা কি সেই বাংলাদেশ যেটা আপনি চেয়েছিলেন? জেনারেল ওয়াকারের কাছে প্রশ্ন, সামরিক বাহিনীর সমর্থনে ক্ষমতা দখল করে এই অরাজকতা সৃষ্টি করাই কি ছিল লক্ষ্য? দেশকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন হবে। আর যতদিন এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। কারণ যখন ক্ষমতার কোনো বৈধতা থাকে না, তখন শৃঙ্খলাও থাকে না।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ