Wednesday, December 10, 2025

অবৈধ ক্ষমতার ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজির মহোৎসব

ডেমরায় একটি দম্পতির সিগারেট খাওয়ার ছবি তুলে চল্লিশ হাজার টাকা আদায়ের ঘটনাটি ইউনুসের তথাকথিত ‘সংস্কার সরকার’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে যে নৈরাজ্যের সয়লাব বয়ে যাচ্ছে তার আরেকটি নমুনা মাত্র। জুলাইয়ের তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’ নামের সুপরিকল্পিত দাঙ্গার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় বসানো এই অবৈধ কাঠামো দেশকে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।

যে দেশে মানুষ নিজের ঘরে সিগারেট খেলে ছবি তুলে টাকা আদায় করা হয়, সেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ পর্যায়ে গেছে তা সহজেই অনুমেয়। রাজু আর সাব্বির নামের দুই যুবক যেভাবে বারবার একটি পরিবারের ঘরে ঢুকে টাকা আদায় করেছে, তা প্রমাণ করে যে অপরাধীরা এখন সম্পূর্ণ নির্ভয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারছে। প্রথমে বিশ হাজার টাকা, তারপর আবার বিশ হাজার টাকা – এভাবে চলতেই থাকত যদি না ভুক্তভোগী থানায় যাওয়ার সাহস দেখাতেন।

ইউনুস আর তার দোসররা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশজুড়ে অপরাধের যে জোয়ার বয়ে গেছে, তার জন্য দায়ী কারা? বিদেশি মদদ, ইসলামি জঙ্গিদের সহায়তা আর সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় যে অবৈধ কাঠামো গড়ে উঠেছে, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোন অগ্রাধিকার নয়। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ক্ষমতা দখল, আর ক্ষমতায় টিকে থাকা। আর সেই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে পুরো দেশকে তারা এক বিশৃঙ্খল জঙ্গলে পরিণত করেছে যেখানে শক্তিমানের বিচরণ, দুর্বলের আর্তনাদ।

রাজধানীর ডেমরার মতো একটি এলাকায়, যেখানে থানা আছে, পুলিশ আছে, সেখানেও দুই তরুণ তিন মাস ধরে একটি পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করতে পেরেছে। এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কী হতে পারে? মানুষ এখন ভয়ে থাকে, নিজের বাড়িতে বসেও নিরাপদ নয়। যে কেউ যেকোনো সময় ঢুকে পড়তে পারে, ছবি তুলতে পারে, টাকা দাবি করতে পারে। আর এসবের পেছনে একটাই কারণ – আইনের শাসনের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি।

জুলাইয়ের দাঙ্গার সময় যেভাবে দেশব্যাপী হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ চলেছিল, তার পর থেকে অপরাধীরা বুঝে গেছে যে তারা যা খুশি করতে পারবে। কোনো জবাবদিহিতা নেই, কোনো শাস্তি নেই। ইউনুসের তথাকথিত সরকার ব্যস্ত আছে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।

সুদের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া ইউনুস আর তার সহযোগীরা দেশকে এমন এক অন্ধকার গলিতে ঠেলে দিয়েছে যেখান থেকে বেরিয়ে আসা হবে অত্যন্ত কঠিন। গ্রামীণ ব্যাংকের নামে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নেওয়া একজন মানুষ যখন দেশ চালায়, তখন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা তার কাছে কতটা গুরুত্ব পায় সেটা সহজেই বোঝা যায়।

ডেমরার এই ঘটনা আসলে সারাদেশের প্রতিচ্ছবি। প্রতিদিন কত পরিবার যে এমন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তার কোনো হিসেব নেই। অনেকেই সামাজিক সম্মানের ভয়ে মুখ খুলছে না, অনেকে আবার থানায় গিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। আমেনা বেগম রত্না যে সাহস দেখিয়ে মামলা করেছেন, তা প্রশংসনীয়। কিন্তু কতজন এই সাহস দেখাতে পারে? আর সাহস দেখালেও কতটুকু ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে এই অবৈধ ক্ষমতার শাসনামলে?

সামরিক বাহিনীর সমর্থন নিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা কি সত্যিই জনগণের সেবক? নাকি তারা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত? বিদেশি রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত এই পুতুল সরকার যখন ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে, তখন সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা তাদের এজেন্ডায় থাকে না।

ইউনুস আর তার সঙ্গীরা যে দেশটা গড়ছে, সেটা একটা অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য। যেখানে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজদের রমরমা অবস্থা। যেখানে সাধারণ মানুষ নিজের ঘরে বসেও নিরাপদ নয়। রাজধানীতে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কী হচ্ছে তা কল্পনা করাও কঠিন।

দেশ এখন একটা সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে অবৈধ ক্ষমতাসীনদের দুঃশাসন, অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান অপরাধ আর নৈরাজ্য। ডেমরার এই চাঁদাবাজির ঘটনা শুধু একটা খবর নয়, এটা একটা সংকেত যে দেশ কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই দায় সম্পূর্ণভাবে ইউনুস আর তার অবৈধ সরকারের ঘাড়ে বর্তায়।

ডেমরায় একটি দম্পতির সিগারেট খাওয়ার ছবি তুলে চল্লিশ হাজার টাকা আদায়ের ঘটনাটি ইউনুসের তথাকথিত ‘সংস্কার সরকার’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে যে নৈরাজ্যের সয়লাব বয়ে যাচ্ছে তার আরেকটি নমুনা মাত্র। জুলাইয়ের তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’ নামের সুপরিকল্পিত দাঙ্গার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় বসানো এই অবৈধ কাঠামো দেশকে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।

যে দেশে মানুষ নিজের ঘরে সিগারেট খেলে ছবি তুলে টাকা আদায় করা হয়, সেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ পর্যায়ে গেছে তা সহজেই অনুমেয়। রাজু আর সাব্বির নামের দুই যুবক যেভাবে বারবার একটি পরিবারের ঘরে ঢুকে টাকা আদায় করেছে, তা প্রমাণ করে যে অপরাধীরা এখন সম্পূর্ণ নির্ভয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারছে। প্রথমে বিশ হাজার টাকা, তারপর আবার বিশ হাজার টাকা – এভাবে চলতেই থাকত যদি না ভুক্তভোগী থানায় যাওয়ার সাহস দেখাতেন।

ইউনুস আর তার দোসররা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশজুড়ে অপরাধের যে জোয়ার বয়ে গেছে, তার জন্য দায়ী কারা? বিদেশি মদদ, ইসলামি জঙ্গিদের সহায়তা আর সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় যে অবৈধ কাঠামো গড়ে উঠেছে, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোন অগ্রাধিকার নয়। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ক্ষমতা দখল, আর ক্ষমতায় টিকে থাকা। আর সেই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে পুরো দেশকে তারা এক বিশৃঙ্খল জঙ্গলে পরিণত করেছে যেখানে শক্তিমানের বিচরণ, দুর্বলের আর্তনাদ।

রাজধানীর ডেমরার মতো একটি এলাকায়, যেখানে থানা আছে, পুলিশ আছে, সেখানেও দুই তরুণ তিন মাস ধরে একটি পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করতে পেরেছে। এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কী হতে পারে? মানুষ এখন ভয়ে থাকে, নিজের বাড়িতে বসেও নিরাপদ নয়। যে কেউ যেকোনো সময় ঢুকে পড়তে পারে, ছবি তুলতে পারে, টাকা দাবি করতে পারে। আর এসবের পেছনে একটাই কারণ – আইনের শাসনের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি।

জুলাইয়ের দাঙ্গার সময় যেভাবে দেশব্যাপী হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ চলেছিল, তার পর থেকে অপরাধীরা বুঝে গেছে যে তারা যা খুশি করতে পারবে। কোনো জবাবদিহিতা নেই, কোনো শাস্তি নেই। ইউনুসের তথাকথিত সরকার ব্যস্ত আছে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।

সুদের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া ইউনুস আর তার সহযোগীরা দেশকে এমন এক অন্ধকার গলিতে ঠেলে দিয়েছে যেখান থেকে বেরিয়ে আসা হবে অত্যন্ত কঠিন। গ্রামীণ ব্যাংকের নামে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নেওয়া একজন মানুষ যখন দেশ চালায়, তখন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা তার কাছে কতটা গুরুত্ব পায় সেটা সহজেই বোঝা যায়।

ডেমরার এই ঘটনা আসলে সারাদেশের প্রতিচ্ছবি। প্রতিদিন কত পরিবার যে এমন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তার কোনো হিসেব নেই। অনেকেই সামাজিক সম্মানের ভয়ে মুখ খুলছে না, অনেকে আবার থানায় গিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। আমেনা বেগম রত্না যে সাহস দেখিয়ে মামলা করেছেন, তা প্রশংসনীয়। কিন্তু কতজন এই সাহস দেখাতে পারে? আর সাহস দেখালেও কতটুকু ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে এই অবৈধ ক্ষমতার শাসনামলে?

সামরিক বাহিনীর সমর্থন নিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা কি সত্যিই জনগণের সেবক? নাকি তারা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত? বিদেশি রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত এই পুতুল সরকার যখন ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে, তখন সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা তাদের এজেন্ডায় থাকে না।

ইউনুস আর তার সঙ্গীরা যে দেশটা গড়ছে, সেটা একটা অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য। যেখানে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজদের রমরমা অবস্থা। যেখানে সাধারণ মানুষ নিজের ঘরে বসেও নিরাপদ নয়। রাজধানীতে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কী হচ্ছে তা কল্পনা করাও কঠিন।

দেশ এখন একটা সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে অবৈধ ক্ষমতাসীনদের দুঃশাসন, অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান অপরাধ আর নৈরাজ্য। ডেমরার এই চাঁদাবাজির ঘটনা শুধু একটা খবর নয়, এটা একটা সংকেত যে দেশ কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই দায় সম্পূর্ণভাবে ইউনুস আর তার অবৈধ সরকারের ঘাড়ে বর্তায়।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ