Thursday, December 11, 2025

ভুয়া জন্মদিনের মতো মৃত্যুর তারিখও ভুয়া হতে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এবং সম্ভাব্য মৃত্যু নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর জন্মতারিখ নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, এবার একই ধরনের সন্দেহ দেখা দিয়েছে মৃত্যুর তারিখকে ঘিরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া দাবি, বেগম জিয়া আসলে গত ২৮ নভেম্বর মারা গেছেন, কিন্তু তাঁর মৃত্যুর ঘোষণা ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার পাসপোর্টে জন্মতারিখ ৫ আগস্ট ১৯৪৬, করোনা পরীক্ষার ফরমে ৮ মে ১৯৪৬, এসএসসি সার্টিফিকেটে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ এবং বিবাহ নিবন্ধনে ৪ আগস্ট ১৯৪৪ উল্লেখ রয়েছে। এই একাধিক জন্মতারিখের বিতর্কের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে মৃত্যুর তারিখ নিয়ে গুজব। নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন, তিনি যদি জীবিত থাকেন তাহলে সরকার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন তাঁর সাম্প্রতিক কোনো ছবি প্রকাশ করছে না। অনেকে এটিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায় থাকার “মাস্টারপ্ল্যান” হিসেবে দেখছেন।

সূত্রের দাবি, বেগম জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার যে পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে, তার পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। আজ সকালে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ঢাকায় এসেছেন। তিনি কাতার আমির প্রদত্ত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি দেখভাল করছেন। কিন্তু ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমানের রিটার্ন টিকিট ২০ ডিসেম্বরের। প্রথমে খালেদা জিয়াকে ৫ ডিসেম্বর লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে “যান্ত্রিক ত্রুটি” দেখিয়ে তা পিছিয়ে ৭ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জোবাইদা রহমানের ঢাকায় আগমনের খবর বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছেও ছিল না। গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি এবং রেগে সংবাদ সম্মেলন ত্যাগ করে চলে যান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জন্মতারিখের মতো মৃত্যুর তারিখ নিয়েও যদি এ ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়, তাহলে তা দেশের রাজনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করবে। তাঁদের মতে, খালেদা জিয়ার মৃত্যু ঘোষণা আটকে রেখে কিংবা বিদেশে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে ঘোষণা দিয়ে একটি বড় রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কেউ কেউ মনে করছেন, বিজয় দিবস বা অন্য কোনো জাতীয় দিবসের সঙ্গে মিলিয়ে এই ঘোষণা দেওয়া হতে পারে, যেমনটি একসময় ১৫ আগস্টকে জন্মদিন বানিয়ে শোক দিবসকে ম্লান করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

এ পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি বাড়ছে। খালেদা জিয়ার প্রকৃত স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং তাঁর জীবন-মৃত্যুর বিষয়ে স্বচ্ছ তথ্য না দেওয়া হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এবং সম্ভাব্য মৃত্যু নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর জন্মতারিখ নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, এবার একই ধরনের সন্দেহ দেখা দিয়েছে মৃত্যুর তারিখকে ঘিরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া দাবি, বেগম জিয়া আসলে গত ২৮ নভেম্বর মারা গেছেন, কিন্তু তাঁর মৃত্যুর ঘোষণা ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার পাসপোর্টে জন্মতারিখ ৫ আগস্ট ১৯৪৬, করোনা পরীক্ষার ফরমে ৮ মে ১৯৪৬, এসএসসি সার্টিফিকেটে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ এবং বিবাহ নিবন্ধনে ৪ আগস্ট ১৯৪৪ উল্লেখ রয়েছে। এই একাধিক জন্মতারিখের বিতর্কের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে মৃত্যুর তারিখ নিয়ে গুজব। নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন, তিনি যদি জীবিত থাকেন তাহলে সরকার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন তাঁর সাম্প্রতিক কোনো ছবি প্রকাশ করছে না। অনেকে এটিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায় থাকার “মাস্টারপ্ল্যান” হিসেবে দেখছেন।

সূত্রের দাবি, বেগম জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার যে পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে, তার পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। আজ সকালে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ঢাকায় এসেছেন। তিনি কাতার আমির প্রদত্ত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি দেখভাল করছেন। কিন্তু ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমানের রিটার্ন টিকিট ২০ ডিসেম্বরের। প্রথমে খালেদা জিয়াকে ৫ ডিসেম্বর লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে “যান্ত্রিক ত্রুটি” দেখিয়ে তা পিছিয়ে ৭ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জোবাইদা রহমানের ঢাকায় আগমনের খবর বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছেও ছিল না। গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি এবং রেগে সংবাদ সম্মেলন ত্যাগ করে চলে যান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জন্মতারিখের মতো মৃত্যুর তারিখ নিয়েও যদি এ ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়, তাহলে তা দেশের রাজনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করবে। তাঁদের মতে, খালেদা জিয়ার মৃত্যু ঘোষণা আটকে রেখে কিংবা বিদেশে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে ঘোষণা দিয়ে একটি বড় রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কেউ কেউ মনে করছেন, বিজয় দিবস বা অন্য কোনো জাতীয় দিবসের সঙ্গে মিলিয়ে এই ঘোষণা দেওয়া হতে পারে, যেমনটি একসময় ১৫ আগস্টকে জন্মদিন বানিয়ে শোক দিবসকে ম্লান করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

এ পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি বাড়ছে। খালেদা জিয়ার প্রকৃত স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং তাঁর জীবন-মৃত্যুর বিষয়ে স্বচ্ছ তথ্য না দেওয়া হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ