Wednesday, December 10, 2025

বাউল সুমন খলিফা হত্যা: বাংলার মরমীবাদের কফিনে শেষ পেরেক

রোববার রাতে পঞ্চবটিতে গান গাইতে গিয়েছিলেন সুমন খলিফা। সোমবার সকালে মধ্য নরসিংপুর এলাকার পরিত্যক্ত বাড়ির পাশ থেকে তুলে আনা হলো তার কুপিয়ে কাটা মৃতদেহ। বরিশালের আগৈলঝাড়ার এই বাউল শিল্পীর অপরাধ ছিল একটাই, তিনি বাউল ছিলেন। গান গাইতেন। এদেশের মাটি আর মানুষের প্রাণের গান। মরমীবাদের সেই চিরন্তন সুর, যা এই ভূখণ্ডের আত্মার অংশ।

কিন্তু মুহাম্মদ ইউনুস আর তার পৃষ্ঠপোষক জামায়াত ইসলামের বাংলাদেশে বাউল হওয়াটাই এখন মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ। জুলাই মাসে বিদেশি অর্থায়নে, ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সহায়তায় আর সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে যে ক্যু সংঘটিত হয়েছে, তার আসল উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার। এটা শুধু নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা ছিল না, এটা ছিল বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের উপর সরাসরি আক্রমণ পরিচালনা করা।

সুমন খলিফার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার নিজেও বাউল শিল্পী। তারা দুজন একসাথে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। স্বামী বাইরে গিয়ে আর ফেরেননি। এই নৃশংসতার পেছনে কারা? পুলিশ বলছে শনাক্ত করা যায়নি। কিন্তু শনাক্ত করার দরকার আছে কি? এদেশে বাউলদের উপর হামলার ইতিহাস তো নতুন নয়। কুষ্টিয়ায় লালন সাঁইয়ের আখড়ায় বারবার হামলা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে শাহ আব্দুল করিমের শিষ্যদের উপর হামলা হয়েছে। সুনামগঞ্জে হাসন রাজার বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। এসব হামলার পেছনে একটা সুনির্দিষ্ট মতাদর্শগত অবস্থান কাজ করছে, আর সেই মতাদর্শের নাম ওহাবিবাদ।

জামায়াত ইসলাম আর তাদের আদর্শিক সহযোগীরা বাংলাদেশের মরমী ঐতিহ্যকে সহ্য করতে পারে না। বাউল, ফকির, সুফি, এসব শব্দ তাদের কাছে কুফরের সমার্থক। লালন, হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম এদের কাছে বিপথগামী। কারণ এই মরমীবাদ মানুষের ভেতরের ঈশ্বরকে খোঁজে, বাইরের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় কাঠামোর বাইরে গিয়ে চিন্তা করে। এটা তাদের একচেটিয়া ধর্মব্যবসার জন্য হুমকি।

মুহাম্মদ ইউনুস নিজে বাউল হত্যার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন কি দেননি, সেটা তর্কসাপেক্ষ। কিন্তু তিনি যখন জামায়াতকে ক্ষমতার কেন্দ্রে বসান, যখন যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দেন, যখন ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেন, তখন তিনি সুমন খলিফার মতো শিল্পীদের হত্যার জন্য মাঠ তৈরি করে দেন। এই অবৈধ সরকার যে সহিংসতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, তার শিকার শুধু রাজনৈতিক বিরোধীরা নন, শিকার হচ্ছেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা, শিল্পীরা, যারা এদেশের মুক্ত চিন্তার ধারক।

ইউনুস যে ক্যু করে ক্ষমতায় এসেছেন, সেটা শুধু রাজনৈতিক পালাবদল ছিল না। এটা ছিল একটা সভ্যতাগত আগ্রাসন। বাংলাদেশের যে ধর্মনিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী, সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ পরিচয়, তাকে মুছে ফেলার একটা সুপরিকল্পিত প্রকল্প। সুদী মহাজন ইউনুসের অর্থনৈতিক শোষণ তো আগে থেকেই চলছিল, এখন তার সাথে যুক্ত হয়েছে সাংস্কৃতিক নিধন।

জামায়াত ইসলামের এজেন্ডা পরিষ্কার। তারা বাংলাদেশকে তালেবানি আফগানিস্তান বানাতে চায়। যেখানে গান নিষিদ্ধ, যেখানে শিল্প নিষিদ্ধ, যেখানে মানুষের চিন্তার স্বাধীনতা নিষিদ্ধ। সুমন খলিফার হত্যা সেই দিকে যাত্রার একটা মাইলফলক। আর ইউনুস সেই যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, হয় সচেতনভাবে নয়তো তার রাজনৈতিক দুর্বলতা আর নৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে।

বিদেশি শক্তি যে অর্থ দিয়ে জুলাইয়ের দাঙ্গা বাঁধিয়েছিল, সেই অর্থের উৎস এখন আর গোপন নেই। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ যারা ওহাবিবাদের প্রচারে বিলিয়ন ডলার খরচ করে, তারা বাংলাদেশে জামায়াতের উত্থানকে বিনিয়োগ মনে করছে। আর সামরিক বাহিনীর একাংশ যারা এই ক্যুতে সহায়তা করেছে, তারা হয় এই মতাদর্শগত বিষে আক্রান্ত, নয়তো ক্ষমতার লোভে অন্ধ।

সুমন খলিফার মৃত্যু একটা সতর্কবার্তা। যে দেশে বাউল শিল্পীকে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় এবং কেউ জবাবদিহি করে না, সেই দেশে আর কোনো শিল্পী, কোনো লেখক, কোনো মুক্তচিন্তার মানুষ নিরাপদ নয়। ইউনুসের অবৈধ শাসন আর জামায়াতের ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ একসাথে মিলে বাংলাদেশকে এমন এক অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যেখান থেকে ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে যাবে।

এই হত্যার বিচার হবে না। কারণ যারা বিচার করবে, তারা নিজেরাই অপরাধের অংশীদার। ইউনুস নীরব থাকবেন, জামায়াত অস্বীকার করবে, পুলিশ ফাইল বন্ধ করে দেবে। আর বাউল সুমন খলিফা হয়ে যাবেন আরও একটা পরিসংখ্যান, আরও একটা ভুলে যাওয়া নাম। কিন্তু তার রক্ত মাটিতে লেগে থাকবে। সেই রক্ত সাক্ষ্য দেবে, মুহাম্মদ ইউনুস আর তার যুদ্ধাপরাধী সহযোগীরা শুধু একটা দেশ নয়, একটা সভ্যতাকে হত্যা করছে।

রোববার রাতে পঞ্চবটিতে গান গাইতে গিয়েছিলেন সুমন খলিফা। সোমবার সকালে মধ্য নরসিংপুর এলাকার পরিত্যক্ত বাড়ির পাশ থেকে তুলে আনা হলো তার কুপিয়ে কাটা মৃতদেহ। বরিশালের আগৈলঝাড়ার এই বাউল শিল্পীর অপরাধ ছিল একটাই, তিনি বাউল ছিলেন। গান গাইতেন। এদেশের মাটি আর মানুষের প্রাণের গান। মরমীবাদের সেই চিরন্তন সুর, যা এই ভূখণ্ডের আত্মার অংশ।

কিন্তু মুহাম্মদ ইউনুস আর তার পৃষ্ঠপোষক জামায়াত ইসলামের বাংলাদেশে বাউল হওয়াটাই এখন মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ। জুলাই মাসে বিদেশি অর্থায়নে, ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সহায়তায় আর সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে যে ক্যু সংঘটিত হয়েছে, তার আসল উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার। এটা শুধু নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা ছিল না, এটা ছিল বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের উপর সরাসরি আক্রমণ পরিচালনা করা।

সুমন খলিফার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার নিজেও বাউল শিল্পী। তারা দুজন একসাথে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। স্বামী বাইরে গিয়ে আর ফেরেননি। এই নৃশংসতার পেছনে কারা? পুলিশ বলছে শনাক্ত করা যায়নি। কিন্তু শনাক্ত করার দরকার আছে কি? এদেশে বাউলদের উপর হামলার ইতিহাস তো নতুন নয়। কুষ্টিয়ায় লালন সাঁইয়ের আখড়ায় বারবার হামলা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে শাহ আব্দুল করিমের শিষ্যদের উপর হামলা হয়েছে। সুনামগঞ্জে হাসন রাজার বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। এসব হামলার পেছনে একটা সুনির্দিষ্ট মতাদর্শগত অবস্থান কাজ করছে, আর সেই মতাদর্শের নাম ওহাবিবাদ।

জামায়াত ইসলাম আর তাদের আদর্শিক সহযোগীরা বাংলাদেশের মরমী ঐতিহ্যকে সহ্য করতে পারে না। বাউল, ফকির, সুফি, এসব শব্দ তাদের কাছে কুফরের সমার্থক। লালন, হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম এদের কাছে বিপথগামী। কারণ এই মরমীবাদ মানুষের ভেতরের ঈশ্বরকে খোঁজে, বাইরের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় কাঠামোর বাইরে গিয়ে চিন্তা করে। এটা তাদের একচেটিয়া ধর্মব্যবসার জন্য হুমকি।

মুহাম্মদ ইউনুস নিজে বাউল হত্যার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন কি দেননি, সেটা তর্কসাপেক্ষ। কিন্তু তিনি যখন জামায়াতকে ক্ষমতার কেন্দ্রে বসান, যখন যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দেন, যখন ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেন, তখন তিনি সুমন খলিফার মতো শিল্পীদের হত্যার জন্য মাঠ তৈরি করে দেন। এই অবৈধ সরকার যে সহিংসতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, তার শিকার শুধু রাজনৈতিক বিরোধীরা নন, শিকার হচ্ছেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা, শিল্পীরা, যারা এদেশের মুক্ত চিন্তার ধারক।

ইউনুস যে ক্যু করে ক্ষমতায় এসেছেন, সেটা শুধু রাজনৈতিক পালাবদল ছিল না। এটা ছিল একটা সভ্যতাগত আগ্রাসন। বাংলাদেশের যে ধর্মনিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী, সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ পরিচয়, তাকে মুছে ফেলার একটা সুপরিকল্পিত প্রকল্প। সুদী মহাজন ইউনুসের অর্থনৈতিক শোষণ তো আগে থেকেই চলছিল, এখন তার সাথে যুক্ত হয়েছে সাংস্কৃতিক নিধন।

জামায়াত ইসলামের এজেন্ডা পরিষ্কার। তারা বাংলাদেশকে তালেবানি আফগানিস্তান বানাতে চায়। যেখানে গান নিষিদ্ধ, যেখানে শিল্প নিষিদ্ধ, যেখানে মানুষের চিন্তার স্বাধীনতা নিষিদ্ধ। সুমন খলিফার হত্যা সেই দিকে যাত্রার একটা মাইলফলক। আর ইউনুস সেই যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, হয় সচেতনভাবে নয়তো তার রাজনৈতিক দুর্বলতা আর নৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে।

বিদেশি শক্তি যে অর্থ দিয়ে জুলাইয়ের দাঙ্গা বাঁধিয়েছিল, সেই অর্থের উৎস এখন আর গোপন নেই। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ যারা ওহাবিবাদের প্রচারে বিলিয়ন ডলার খরচ করে, তারা বাংলাদেশে জামায়াতের উত্থানকে বিনিয়োগ মনে করছে। আর সামরিক বাহিনীর একাংশ যারা এই ক্যুতে সহায়তা করেছে, তারা হয় এই মতাদর্শগত বিষে আক্রান্ত, নয়তো ক্ষমতার লোভে অন্ধ।

সুমন খলিফার মৃত্যু একটা সতর্কবার্তা। যে দেশে বাউল শিল্পীকে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় এবং কেউ জবাবদিহি করে না, সেই দেশে আর কোনো শিল্পী, কোনো লেখক, কোনো মুক্তচিন্তার মানুষ নিরাপদ নয়। ইউনুসের অবৈধ শাসন আর জামায়াতের ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ একসাথে মিলে বাংলাদেশকে এমন এক অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যেখান থেকে ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে যাবে।

এই হত্যার বিচার হবে না। কারণ যারা বিচার করবে, তারা নিজেরাই অপরাধের অংশীদার। ইউনুস নীরব থাকবেন, জামায়াত অস্বীকার করবে, পুলিশ ফাইল বন্ধ করে দেবে। আর বাউল সুমন খলিফা হয়ে যাবেন আরও একটা পরিসংখ্যান, আরও একটা ভুলে যাওয়া নাম। কিন্তু তার রক্ত মাটিতে লেগে থাকবে। সেই রক্ত সাক্ষ্য দেবে, মুহাম্মদ ইউনুস আর তার যুদ্ধাপরাধী সহযোগীরা শুধু একটা দেশ নয়, একটা সভ্যতাকে হত্যা করছে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ