Wednesday, December 10, 2025

ইউনূসের উচ্চ সুদনীতিতে সংকটে দেশের অর্থনীতি

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের উচ্চ সুদ আর কম ঋণ নীতি এখন অর্থনীতির সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকিং খাতের এই দুই সংকট বিনিয়োগের গতি আরো মন্থর করে তুলছে। এই দুই সূচক উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ চক্র পুনরুদ্ধারের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে খোদ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ-জিইডি।

ওই বিভাগের নভেম্বর মাসের ইকোনমিক আপডেটে এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ মাত্র ৬.২৯ শতাংশে নেমেছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭.২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অনেক কম। অর্থনীতিবিদরা এ অবস্থাকে বলছেন বিনিয়োগের ‘ডেড জোন’।

একই সঙ্গে সুদের স্প্রেড আকাশচুম্বী। বিদেশি ব্যাংকগুলোতে স্প্রেড ৯ শতাংশের কাছাকাছি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেও ৫.৭৪ শতাংশের ওপরে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও ৫.৫–৫.৭ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা, উচ্চ পরিচালন ব্যয় ও বাজারে প্রতিযোগিতার অভাবে সুদহার কমার কোনো লক্ষণ নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগ থেকে পিছু হটছেন, কারখানা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা স্থগিত করছেন।

ব্যাংকগুলো এখন খেলাপি ঝুঁকি এড়াতে সরকারি সিকিউরিটিজে টাকা ঢালছে। সেপ্টেম্বরে সরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ২৪.৪৫ শতাংশ, যার ফলে বেসরকারি খাত ‘ক্রাউডেড আউট’ হচ্ছে। ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানিও ধস নেমেছে—চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ৪৫৫ মিলিয়ন ডলার থেকে নেমে গেছে ২৬৭ মিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেছেন, “দেশের অর্থনীতি এখন খুঁড়িয়ে চলছে। সবখানে হতাশার ছাপ। সুদহার যত বাড়ছে, বিনিয়োগের আগ্রহ তত কমছে। এভাবে চললে পুরো অর্থনীতিই চাপে পড়বে।”

সরকারের নিজস্ব প্রতিবেদনই প্রমাণ করছে, উচ্চ সুদ ও কঠোর মুদ্রানীতির নামে যে পথে হাঁটা হচ্ছে, তা বিনিয়োগ, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের চাকা একেবারে থামিয়ে দিচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমলেও, অর্থনীতির মূল ইঞ্জিন এখন স্থবির। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, দ্রুত সুদের স্প্রেড না কমালে ও বেসরকারি ঋণপ্রবাহ না বাড়ালে দেশকে দীর্ঘমেয়াদি মন্দার মুখে ঠেলে দেওয়া হবে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের উচ্চ সুদ আর কম ঋণ নীতি এখন অর্থনীতির সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকিং খাতের এই দুই সংকট বিনিয়োগের গতি আরো মন্থর করে তুলছে। এই দুই সূচক উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ চক্র পুনরুদ্ধারের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে খোদ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ-জিইডি।

ওই বিভাগের নভেম্বর মাসের ইকোনমিক আপডেটে এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ মাত্র ৬.২৯ শতাংশে নেমেছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭.২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অনেক কম। অর্থনীতিবিদরা এ অবস্থাকে বলছেন বিনিয়োগের ‘ডেড জোন’।

একই সঙ্গে সুদের স্প্রেড আকাশচুম্বী। বিদেশি ব্যাংকগুলোতে স্প্রেড ৯ শতাংশের কাছাকাছি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেও ৫.৭৪ শতাংশের ওপরে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও ৫.৫–৫.৭ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা, উচ্চ পরিচালন ব্যয় ও বাজারে প্রতিযোগিতার অভাবে সুদহার কমার কোনো লক্ষণ নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগ থেকে পিছু হটছেন, কারখানা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা স্থগিত করছেন।

ব্যাংকগুলো এখন খেলাপি ঝুঁকি এড়াতে সরকারি সিকিউরিটিজে টাকা ঢালছে। সেপ্টেম্বরে সরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ২৪.৪৫ শতাংশ, যার ফলে বেসরকারি খাত ‘ক্রাউডেড আউট’ হচ্ছে। ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানিও ধস নেমেছে—চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ৪৫৫ মিলিয়ন ডলার থেকে নেমে গেছে ২৬৭ মিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেছেন, “দেশের অর্থনীতি এখন খুঁড়িয়ে চলছে। সবখানে হতাশার ছাপ। সুদহার যত বাড়ছে, বিনিয়োগের আগ্রহ তত কমছে। এভাবে চললে পুরো অর্থনীতিই চাপে পড়বে।”

সরকারের নিজস্ব প্রতিবেদনই প্রমাণ করছে, উচ্চ সুদ ও কঠোর মুদ্রানীতির নামে যে পথে হাঁটা হচ্ছে, তা বিনিয়োগ, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের চাকা একেবারে থামিয়ে দিচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমলেও, অর্থনীতির মূল ইঞ্জিন এখন স্থবির। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, দ্রুত সুদের স্প্রেড না কমালে ও বেসরকারি ঋণপ্রবাহ না বাড়ালে দেশকে দীর্ঘমেয়াদি মন্দার মুখে ঠেলে দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ