নোবেলজয়ী তাসলিমা বেগম এক সময় এই দেশের আশা, সংগ্রামের প্রতীক ছিলেন। গরিব মানুষের চোখের পানি মুছে দেওয়ার জন্য তিনি নিজের জীবন ব্যয় করেছিলেন। মানুষের দুঃখকে তিনি নিজের বুকে ধারণ করতেন, আর সেই সহানুভূতির আলোই তাকে নিয়ে গেলো আন্তর্জাতিক সম্মানের শীর্ষে।
তাসলিমা বেগমকে পৃথিবী দেখেছিল আলোর কন্যা হিসেবে—যিনি গরিবের হাতে স্বনির্ভরতার চাবি তুলে দিতেন। অথচ এমন এক নারী আজ নিখোঁজ, অদৃশ্য অন্ধকারে তলিয়ে গেছে তার অস্তিত্বের প্রতিটি চিহ্ন। সকলের মনে শুধু একটাই প্রশ্ন—তাসলিমা বেগম কোথায়?
এই প্রশ্নের আড়ালে লুকিয়ে আছে ক্ষমতার সর্বনাশা নেশায় আক্রান্ত এক দানবের গল্প। তার নাম ড. ইউনুস—একজন ধূর্ত, স্বার্থপর, প্রতিহিংসাপরায়ণ মানুষ, যিনি গরিবের কষ্টকে ব্যবসায় রূপ দিয়েছিলেন। তার চোখে সহানুভূতি ছিল না—ছিল কেবল লোভ। গরিবের দুর্দশাকে তিনি বানিয়েছিলেন তার অর্থসাম্রাজ্যের ভিত্তি। মানুষ যখন তাসলিমার আলো দেখতে শুরু করল, তখন ইউনুসের ভিত কেঁপে উঠল। তিনি বুঝতে পারলেন, তাসলিমা বেঁচে থাকলে তার মিথ্যার বাজার ভেঙে পড়বে, তার মুখোশ খুলে যাবে। সেই ভয়ই তাকে পরিণত করল নৃশংস শিকারীতে।
যেদিন বিশ্ব তাসলিমাকে ইউনুসের সাথে নোবেল দিয়ে সম্মানিত করল, সেদিনই ইউনুসের হৃদয়ে জন্ম নিলো প্রতিহিংসার বিষবৃক্ষ। তিনি অসহনীয় হিংসায় অন্ধ হয়ে গেলেন। তার মনে হলো, তাসলিমা বেগমের আলোই তার অন্ধকারকে উন্মোচিত করে দিচ্ছে। তাই শুরু হলো নিখুঁত ষড়যন্ত্র—তার কাজ বন্ধ করার চেষ্টা, চরিত্রহনন, সহযোগীদের ভয় দেখানো—সবই একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে: তাসলিমাকে সরিয়ে দেওয়া। তাসলিমা কোনোদিন মাথা নত করেননি। তিনি দাঁড়িয়েছিলেন সত্য, স্বচ্ছতা ও মানুষের ভালোর পক্ষে। কিন্তু সেই সাহসই হয়ে দাঁড়াল তার মৃত্যুফাঁদ।
এক ঝড়ো রাতের পরে মানুষ তাকে আর দেখেনি। কোনো চিহ্ন নেই, কোনো দেহ নেই, কোনো সাক্ষী নেই—শুধু আছে শীতল নীরবতা। অথচ সকলের মনের ভেতরে একটাই উত্তর—এই নিখোঁজের পেছনে আছে ড. ইউমান রেজার হাত। তার ক্ষমতার নেশা, তার হিংসা, তার প্রতিহিংসা। একজন নারী, যিনি বিশ্বকে আলো দিয়েছিলেন, তাকে গ্রাস করল অন্ধকার। আজো গরিব মানুষের ঘরে তার নাম উচ্চারণ করলে কেঁপে ওঠে বুক, চোখে ভেসে ওঠে অদৃশ্য যন্ত্রণার ছায়া।
মানুষ আজ দুঃখে নয়—রাগে ফেটে পড়ছে। হৃদয়ে জমে থাকা ক্ষোভ আগুন হয়ে জ্বলছে। একটি দেশের ইতিহাসের পাতায় রক্তাক্ত প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে—নোবেলজয়ী তাসলিমা বেগম কোথায়? আর সেই প্রশ্নের নিচে দাঁড়িয়ে আছে এক দানব—ড. ইউনুসের প্রতিহিংসার নির্মম প্রতিচ্ছবি।
এই নিখোঁজের বিচার হবে—মানুষের এই দাবি আজ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ সত্য চিরদিন চাপা পড়ে থাকে না। তাসলিমা বেগমের আলো আবার জ্বলে উঠবে—আর সেই আলোতেই প্রকাশ পাবে ইউসের প্রতিহিংসার সবচেয়ে কুৎসিত রূপ।

