Thursday, December 11, 2025

জুলাই চেতনা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নতুন বিভ্রান্তির স্থাপত্য

বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রচেতনার মূলভিত্তি দুটি স্তম্ভ—১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ। এই দুটি ঘটনাই আমাদের জাতীয় পরিচয় নির্মাণ করেছে এবং বিশ্বসভায় এনে দাঁড় করিয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে “জুলাই চেতনা” নামে একটি নতুন ধারণা সমাজের সামনে দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা, প্রশ্ন এবং শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সমালোচকদের মতে, জুলাই চেতনা প্রকৃত অর্থে কোনো ঐতিহাসিক বা গণমানুষের সংগ্রামের প্রতীক নয়; বরং এটি ইতিহাসের স্বীকৃত ধারাকে পাশ কাটিয়ে একটি বিকল্প আখ্যান দাঁড় করানোর অপচেষ্টা। আরও উদ্বেগের বিষয়—এই ধারণাকে ঘিরে কিছু গোষ্ঠী এমন আচরণ করছে, যা দেশের স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশকে বিপজ্জনকভাবে অস্থিতিশীল করতে পারে। অভিযোগ রয়েছে, জুলাই চেতনার নামে সংগঠিত মব-উচ্ছ্বাস ও সহিংসতা সমাজে সন্ত্রাসী মনোভাবকে উসকে দিচ্ছে এবং স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তিগুলোর পুনরুত্থানে উৎসাহ জোগাচ্ছে।

এ দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছে স্বৈরাচার, উগ্রবাদ ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে—নতুন কোনো বিভ্রান্তিমূলক চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য নয়। কিন্তু সমালোচকরা মনে করেন, জুলাই চেতনা সেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক পথকে আঘাত করছে। বিশেষ করে—জুলাই স্তম্ভকে কেন্দ্র করে তৈরি তৎপরতা অনেকের কাছে মনে হয়েছে অবৈধ ক্ষমতা-দখল, ইতিহাস বিকৃতি এবং স্বাধীনতার বুনিয়াদ দুর্বল করার এক প্রতীকী প্রচেষ্টা। এতে সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি হচ্ছে, গণমানুষের অনুভূতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং দেশের প্রকৃত গৌরবগাথা ম্লান করার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোয় দাঁড়ালে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়: আমাদের জাতীয় আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। এই রাষ্ট্রের জন্ম ৭১-এর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। শহীদের রক্ত, আত্মত্যাগ এবং কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষায় গড়া বাংলাদেশ কোনো কৃত্রিম প্রতীক বা তৈরি করা বর্ণনার ওপর দাঁড়ায়নি—এটি দাঁড়িয়েছে ইতিহাসের সত্য, জনগণের সংগ্রাম ও স্বাধীনতার বৈধ চেতনার ওপর।

এ কারণে বহু নাগরিক, বিশ্লেষক ও মুক্তিযুদ্ধ-ভাবনার মানুষ দৃঢ়ভাবে বলছেন—জুলাই চেতনা বাংলাদেশের জন্য শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, বিপজ্জনকও। এটি মুক্তিযুদ্ধের বিজয়চেতনার বিপরীতে দাঁড়ানো একটি নতুন বিভাজন-বীজ। কোনো রাষ্ট্রেই বিকল্প ইতিহাস তৈরি করে জাতীয় পরিচয় টিকিয়ে রাখা যায় না; বাংলাদেশেও তা সম্ভব নয়।

জাতিকে আজ আরও সতর্ক হতে হবে। আমাদের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার ইতিহাস এবং জাতির আত্মপরিচয় রক্ষায় ৫২-এর ভাষার চেতনা ও ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধই একমাত্র পথপ্রদর্শক। এই পথ থেকে বিচ্যুতি মানেই বিভ্রমে হারিয়ে যাওয়া। তাই যে কোনো বিভ্রান্তিমূলক প্রতীক, ধারণা বা কৃত্রিম চেতনার বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে—এটাই সময়ের দাবি।

বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রচেতনার মূলভিত্তি দুটি স্তম্ভ—১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ। এই দুটি ঘটনাই আমাদের জাতীয় পরিচয় নির্মাণ করেছে এবং বিশ্বসভায় এনে দাঁড় করিয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে “জুলাই চেতনা” নামে একটি নতুন ধারণা সমাজের সামনে দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা, প্রশ্ন এবং শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সমালোচকদের মতে, জুলাই চেতনা প্রকৃত অর্থে কোনো ঐতিহাসিক বা গণমানুষের সংগ্রামের প্রতীক নয়; বরং এটি ইতিহাসের স্বীকৃত ধারাকে পাশ কাটিয়ে একটি বিকল্প আখ্যান দাঁড় করানোর অপচেষ্টা। আরও উদ্বেগের বিষয়—এই ধারণাকে ঘিরে কিছু গোষ্ঠী এমন আচরণ করছে, যা দেশের স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশকে বিপজ্জনকভাবে অস্থিতিশীল করতে পারে। অভিযোগ রয়েছে, জুলাই চেতনার নামে সংগঠিত মব-উচ্ছ্বাস ও সহিংসতা সমাজে সন্ত্রাসী মনোভাবকে উসকে দিচ্ছে এবং স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তিগুলোর পুনরুত্থানে উৎসাহ জোগাচ্ছে।

এ দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছে স্বৈরাচার, উগ্রবাদ ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে—নতুন কোনো বিভ্রান্তিমূলক চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য নয়। কিন্তু সমালোচকরা মনে করেন, জুলাই চেতনা সেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক পথকে আঘাত করছে। বিশেষ করে—জুলাই স্তম্ভকে কেন্দ্র করে তৈরি তৎপরতা অনেকের কাছে মনে হয়েছে অবৈধ ক্ষমতা-দখল, ইতিহাস বিকৃতি এবং স্বাধীনতার বুনিয়াদ দুর্বল করার এক প্রতীকী প্রচেষ্টা। এতে সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি হচ্ছে, গণমানুষের অনুভূতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং দেশের প্রকৃত গৌরবগাথা ম্লান করার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোয় দাঁড়ালে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়: আমাদের জাতীয় আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। এই রাষ্ট্রের জন্ম ৭১-এর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। শহীদের রক্ত, আত্মত্যাগ এবং কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষায় গড়া বাংলাদেশ কোনো কৃত্রিম প্রতীক বা তৈরি করা বর্ণনার ওপর দাঁড়ায়নি—এটি দাঁড়িয়েছে ইতিহাসের সত্য, জনগণের সংগ্রাম ও স্বাধীনতার বৈধ চেতনার ওপর।

এ কারণে বহু নাগরিক, বিশ্লেষক ও মুক্তিযুদ্ধ-ভাবনার মানুষ দৃঢ়ভাবে বলছেন—জুলাই চেতনা বাংলাদেশের জন্য শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, বিপজ্জনকও। এটি মুক্তিযুদ্ধের বিজয়চেতনার বিপরীতে দাঁড়ানো একটি নতুন বিভাজন-বীজ। কোনো রাষ্ট্রেই বিকল্প ইতিহাস তৈরি করে জাতীয় পরিচয় টিকিয়ে রাখা যায় না; বাংলাদেশেও তা সম্ভব নয়।

জাতিকে আজ আরও সতর্ক হতে হবে। আমাদের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার ইতিহাস এবং জাতির আত্মপরিচয় রক্ষায় ৫২-এর ভাষার চেতনা ও ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধই একমাত্র পথপ্রদর্শক। এই পথ থেকে বিচ্যুতি মানেই বিভ্রমে হারিয়ে যাওয়া। তাই যে কোনো বিভ্রান্তিমূলক প্রতীক, ধারণা বা কৃত্রিম চেতনার বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে—এটাই সময়ের দাবি।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ