Thursday, December 11, 2025

নোবেল বিজয়ী সুদখোর এখন ইন্টারনেটেও সুদ আদায় করছে

জুলাইয়ের রক্তাক্ত দাঙ্গার মধ্য দিয়ে যে অবৈধ প্রশাসন ক্ষমতায় বসেছে, তাদের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি এখন মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে। মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন এই তথাকথিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে যা বলেছে আর যা করেছে, তার মধ্যে কোনো মিল নেই। ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু বিটিআরসির নিজস্ব প্রতিবেদনই বলছে গত ১৮ মাসে মোবাইল ডাটার দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

এই মূল্যবৃদ্ধি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। যে সময়টায় দাম বাড়ানো হয়েছে, ঠিক সেই সময়েই দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল হয়েছে। নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে যারা এসেছেন, তাদের বলা হচ্ছিল সংস্কারক, জনদরদি, দেশপ্রেমিক। কিন্তু ক্ষমতায় বসেই তারা যা করছেন তা হলো সাধারণ মানুষের পকেট কাটা। গ্রামীণফোনের প্যাকেজের দিকে তাকান। ৫ জিবি ৭ দিনের প্যাকেজ ৯৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৮ টাকা। এটা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি। ৩০ দিনের ৩০ জিবি প্যাকেজ ৩৯৯ টাকা থেকে লাফিয়ে উঠেছে ৫৯৯ টাকায়। আর মজার ব্যাপার হলো, গ্রামীণফোন কার কোম্পানি? মুহাম্মদ ইউনুসের।

যে মানুষটি এখন দেশ চালাচ্ছেন, যার নামে জুলাই দাঙ্গা হয়েছে, সেই মানুষের কোম্পানিই দাম বাড়াচ্ছে সবার আগে। এর চেয়ে বড় স্ববিরোধিতা আর কী হতে পারে? ইউনুস নিজে যে ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের মালিক, সেই সাম্রাজ্য থেকেই সাধারণ মানুষকে লুটে নেওয়া হচ্ছে।

এপ্রিলে এই অ-সরকারই ঘোষণা দিয়েছিল ইন্টারনেটের দাম কমবে তিনটি স্তরে। আইটিসি ও আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, এনটিটিএন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব নিজেই বলেছিলেন বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের মান খারাপ আর দাম অনেক বেশি। তাহলে কী হলো? সেই ঘোষণার পর থেকে দাম তো কমেনি, উল্টো বেড়েছে। মোবাইল অপারেটররা যেন সরকারের নির্দেশনাকে সরাসরি উপেক্ষা করে দাম বাড়িয়ে চলেছে।

প্রশ্ন হলো, এই সরকারের কি আদৌ কোনো ক্ষমতা আছে? নাকি পুরো ব্যাপারটাই একটা নাটক? যে সরকার নির্বাচিত নয়, যার জনসমর্থন নেই, যারা সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় টিকে আছে, তাদের পক্ষে কি আদৌ সম্ভব বড় কর্পোরেট গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা? নাকি আসলে এটাই ছিল পরিকল্পনা যে ক্ষমতায় এসে জনগণের কাছ থেকে যেভাবে পারা যায় অর্থ আদায় করা হবে?

রবি, বাংলালিংক, টেলিটক সবাই দাম বাড়িয়েছে। রবির ৫ জিবি প্যাকেজ ১৪৮ থেকে ১৯৮ টাকা, বাংলালিংকের ১০৮ থেকে ১৪৯ টাকা। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিটকও বাদ যায়নি। তাদের ৩০ জিবি প্যাকেজ ২৮৪ থেকে বেড়ে ৩৫৯ টাকা হয়েছে। যে সরকার নিজের প্রতিষ্ঠানের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা বেসরকারি অপারেটরদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে?

বাংলালিংকের কর্মকর্তা তাইমুর রহমান বলেছেন তাদের রাজস্ব কমে গেছে, ট্যাক্স ও স্পেকট্রাম খরচ বেড়েছে। এই যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য? টেলিযোগাযোগ খাত বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার একটি। গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে। তাদের মুনাফার হিসাব প্রকাশ্য। আর এখন তারা বলছে খরচ বেড়েছে তাই দাম বাড়াতে হচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের কথা কে ভাবছে? যাদের আয় বাড়েনি, বরং মূল্যস্ফীতির চাপে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে, তারা কীভাবে এই বাড়তি খরচ বহন করবে?

বিটিআরসির প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্যাকেজ ব্যবহারকারীদের মাসে অতিরিক্ত ৭৫ থেকে ২০০ টাকা খরচ বাড়ছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে এই টাকা অনেক। একজন রিকশাচালক, একজন দিনমজুর, একজন ছোট দোকানদারের কাছে মাসে ২০০ টাকা মানে তার পরিবারের একটা দিনের খাবার। কিন্তু সেই টাকা এখন যাবে মোবাইল অপারেটরদের পকেটে। আর সেই অপারেটরদের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির মালিক হলেন এই দেশ চালানো মুহাম্মদ ইউনুস।

ইউনুসের সরকার বলছে তারা তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন করবে। কিন্তু ইন্টারনেটের দাম বাড়িয়ে কীভাবে উন্নয়ন সম্ভব? অনলাইন শিক্ষা, ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা সবকিছুই নির্ভর করে সাশ্রয়ী ইন্টারনেটের ওপর। দাম বাড়লে মানুষ ব্যবহার কমিয়ে দেবে। ইতিমধ্যে অনেকেই কমিয়ে দিয়েছে। ফ্রিল্যান্সাররা যারা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে দেশে পাঠান, তাদের খরচ বাড়ছে। ছাত্রছাত্রীরা যারা অনলাইনে পড়াশোনা করে, তাদের পরিবারের ওপর চাপ বাড়ছে।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ সরাসরি বলেছেন অপারেটরদের সুবিধা দেওয়ার পরও তারা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তিনি বিটিআরসিকে জবাবদিহির আওতায় আনার কথা বলেছেন। কিন্তু বিটিআরসি তো সরকারের অধীন। সেই সরকার যদি নিজেই জনস্বার্থ না দেখে, তাহলে বিটিআরসি কী করবে?

আসল সত্য হলো এই অ-সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা নির্বাচিত নয়, তাই জনগণের কাছে তাদের কোনো দায় নেই। তারা ক্ষমতায় এসেছে অস্ত্রের জোরে, বিদেশি মদদে, সামরিক সমর্থনে। এখন তারা যা করছে তা হলো নিজেদের এবং নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করা। ইউনুস যখন গরিবের বন্ধু সেজে নোবেল পুরস্কার নিয়েছিলেন, তখন তার মাইক্রোক্রেডিট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সুদের হার, আদায়ের পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ ছিল। এখন দেশ চালানোর সুযোগ পেয়ে তিনি দেখাচ্ছেন আসল চেহারা।

গ্রামীণফোন যে দাম বাড়াচ্ছে সবার আগে, এটা কাকতালীয় নয়। এটা একটা সুপরিকল্পিত লুটপাট। যে মানুষ দেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বসে আছেন, তার কোম্পানি জনগণের পকেট কাটছে। আর সরকার বসে বসে দেখছে। না, শুধু দেখছে না, বরং উৎসাহ দিচ্ছে। কারণ এই লুটপাটের ভাগ তো তাদেরও পৌঁছাচ্ছে।

দেশের প্রতিটি খাতে এখন একই চিত্র। ডলারের দাম বাড়ছে, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, এখন ইন্টারনেটের দামও বাড়ছে। কোনো খাতই বাকি নেই। আর এই সবকিছুর পেছনে রয়েছে একটাই উদ্দেশ্য, যত দ্রুত সম্ভব যতটা পারা যায় জনগণের কাছ থেকে অর্থ তুলে নেওয়া। কারণ তারা জানে এই ক্ষমতা বেশিদিন থাকবে না। যে ক্ষমতা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে, সেই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা কঠিন। তাই যতদিন আছে, ততদিন লুটে নিতে হবে।

ইন্টারনেট এখন বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন। কিন্তু ইউনুসের অ-সরকার সেটা বুঝতে চায় না বা বুঝে বুঝেও উপেক্ষা করছে। তারা জানে ইন্টারনেট ছাড়া আধুনিক জীবন অসম্ভব। তাই মানুষ বাধ্য হয়েই এই চড়া দামে ডাটা কিনবে। আর এই বাধ্যবাধকতাকেই কাজে লাগাচ্ছে অপারেটররা এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক এই অবৈধ সরকার।

জুলাইয়ের রক্তাক্ত দাঙ্গার মধ্য দিয়ে যে অবৈধ প্রশাসন ক্ষমতায় বসেছে, তাদের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি এখন মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে। মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন এই তথাকথিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে যা বলেছে আর যা করেছে, তার মধ্যে কোনো মিল নেই। ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু বিটিআরসির নিজস্ব প্রতিবেদনই বলছে গত ১৮ মাসে মোবাইল ডাটার দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

এই মূল্যবৃদ্ধি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। যে সময়টায় দাম বাড়ানো হয়েছে, ঠিক সেই সময়েই দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল হয়েছে। নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে যারা এসেছেন, তাদের বলা হচ্ছিল সংস্কারক, জনদরদি, দেশপ্রেমিক। কিন্তু ক্ষমতায় বসেই তারা যা করছেন তা হলো সাধারণ মানুষের পকেট কাটা। গ্রামীণফোনের প্যাকেজের দিকে তাকান। ৫ জিবি ৭ দিনের প্যাকেজ ৯৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৮ টাকা। এটা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি। ৩০ দিনের ৩০ জিবি প্যাকেজ ৩৯৯ টাকা থেকে লাফিয়ে উঠেছে ৫৯৯ টাকায়। আর মজার ব্যাপার হলো, গ্রামীণফোন কার কোম্পানি? মুহাম্মদ ইউনুসের।

যে মানুষটি এখন দেশ চালাচ্ছেন, যার নামে জুলাই দাঙ্গা হয়েছে, সেই মানুষের কোম্পানিই দাম বাড়াচ্ছে সবার আগে। এর চেয়ে বড় স্ববিরোধিতা আর কী হতে পারে? ইউনুস নিজে যে ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের মালিক, সেই সাম্রাজ্য থেকেই সাধারণ মানুষকে লুটে নেওয়া হচ্ছে।

এপ্রিলে এই অ-সরকারই ঘোষণা দিয়েছিল ইন্টারনেটের দাম কমবে তিনটি স্তরে। আইটিসি ও আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, এনটিটিএন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব নিজেই বলেছিলেন বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের মান খারাপ আর দাম অনেক বেশি। তাহলে কী হলো? সেই ঘোষণার পর থেকে দাম তো কমেনি, উল্টো বেড়েছে। মোবাইল অপারেটররা যেন সরকারের নির্দেশনাকে সরাসরি উপেক্ষা করে দাম বাড়িয়ে চলেছে।

প্রশ্ন হলো, এই সরকারের কি আদৌ কোনো ক্ষমতা আছে? নাকি পুরো ব্যাপারটাই একটা নাটক? যে সরকার নির্বাচিত নয়, যার জনসমর্থন নেই, যারা সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় টিকে আছে, তাদের পক্ষে কি আদৌ সম্ভব বড় কর্পোরেট গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা? নাকি আসলে এটাই ছিল পরিকল্পনা যে ক্ষমতায় এসে জনগণের কাছ থেকে যেভাবে পারা যায় অর্থ আদায় করা হবে?

রবি, বাংলালিংক, টেলিটক সবাই দাম বাড়িয়েছে। রবির ৫ জিবি প্যাকেজ ১৪৮ থেকে ১৯৮ টাকা, বাংলালিংকের ১০৮ থেকে ১৪৯ টাকা। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিটকও বাদ যায়নি। তাদের ৩০ জিবি প্যাকেজ ২৮৪ থেকে বেড়ে ৩৫৯ টাকা হয়েছে। যে সরকার নিজের প্রতিষ্ঠানের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা বেসরকারি অপারেটরদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে?

বাংলালিংকের কর্মকর্তা তাইমুর রহমান বলেছেন তাদের রাজস্ব কমে গেছে, ট্যাক্স ও স্পেকট্রাম খরচ বেড়েছে। এই যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য? টেলিযোগাযোগ খাত বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার একটি। গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে। তাদের মুনাফার হিসাব প্রকাশ্য। আর এখন তারা বলছে খরচ বেড়েছে তাই দাম বাড়াতে হচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের কথা কে ভাবছে? যাদের আয় বাড়েনি, বরং মূল্যস্ফীতির চাপে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে, তারা কীভাবে এই বাড়তি খরচ বহন করবে?

বিটিআরসির প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্যাকেজ ব্যবহারকারীদের মাসে অতিরিক্ত ৭৫ থেকে ২০০ টাকা খরচ বাড়ছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে এই টাকা অনেক। একজন রিকশাচালক, একজন দিনমজুর, একজন ছোট দোকানদারের কাছে মাসে ২০০ টাকা মানে তার পরিবারের একটা দিনের খাবার। কিন্তু সেই টাকা এখন যাবে মোবাইল অপারেটরদের পকেটে। আর সেই অপারেটরদের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির মালিক হলেন এই দেশ চালানো মুহাম্মদ ইউনুস।

ইউনুসের সরকার বলছে তারা তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন করবে। কিন্তু ইন্টারনেটের দাম বাড়িয়ে কীভাবে উন্নয়ন সম্ভব? অনলাইন শিক্ষা, ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা সবকিছুই নির্ভর করে সাশ্রয়ী ইন্টারনেটের ওপর। দাম বাড়লে মানুষ ব্যবহার কমিয়ে দেবে। ইতিমধ্যে অনেকেই কমিয়ে দিয়েছে। ফ্রিল্যান্সাররা যারা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে দেশে পাঠান, তাদের খরচ বাড়ছে। ছাত্রছাত্রীরা যারা অনলাইনে পড়াশোনা করে, তাদের পরিবারের ওপর চাপ বাড়ছে।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ সরাসরি বলেছেন অপারেটরদের সুবিধা দেওয়ার পরও তারা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তিনি বিটিআরসিকে জবাবদিহির আওতায় আনার কথা বলেছেন। কিন্তু বিটিআরসি তো সরকারের অধীন। সেই সরকার যদি নিজেই জনস্বার্থ না দেখে, তাহলে বিটিআরসি কী করবে?

আসল সত্য হলো এই অ-সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা নির্বাচিত নয়, তাই জনগণের কাছে তাদের কোনো দায় নেই। তারা ক্ষমতায় এসেছে অস্ত্রের জোরে, বিদেশি মদদে, সামরিক সমর্থনে। এখন তারা যা করছে তা হলো নিজেদের এবং নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করা। ইউনুস যখন গরিবের বন্ধু সেজে নোবেল পুরস্কার নিয়েছিলেন, তখন তার মাইক্রোক্রেডিট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সুদের হার, আদায়ের পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ ছিল। এখন দেশ চালানোর সুযোগ পেয়ে তিনি দেখাচ্ছেন আসল চেহারা।

গ্রামীণফোন যে দাম বাড়াচ্ছে সবার আগে, এটা কাকতালীয় নয়। এটা একটা সুপরিকল্পিত লুটপাট। যে মানুষ দেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বসে আছেন, তার কোম্পানি জনগণের পকেট কাটছে। আর সরকার বসে বসে দেখছে। না, শুধু দেখছে না, বরং উৎসাহ দিচ্ছে। কারণ এই লুটপাটের ভাগ তো তাদেরও পৌঁছাচ্ছে।

দেশের প্রতিটি খাতে এখন একই চিত্র। ডলারের দাম বাড়ছে, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, এখন ইন্টারনেটের দামও বাড়ছে। কোনো খাতই বাকি নেই। আর এই সবকিছুর পেছনে রয়েছে একটাই উদ্দেশ্য, যত দ্রুত সম্ভব যতটা পারা যায় জনগণের কাছ থেকে অর্থ তুলে নেওয়া। কারণ তারা জানে এই ক্ষমতা বেশিদিন থাকবে না। যে ক্ষমতা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে, সেই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা কঠিন। তাই যতদিন আছে, ততদিন লুটে নিতে হবে।

ইন্টারনেট এখন বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন। কিন্তু ইউনুসের অ-সরকার সেটা বুঝতে চায় না বা বুঝে বুঝেও উপেক্ষা করছে। তারা জানে ইন্টারনেট ছাড়া আধুনিক জীবন অসম্ভব। তাই মানুষ বাধ্য হয়েই এই চড়া দামে ডাটা কিনবে। আর এই বাধ্যবাধকতাকেই কাজে লাগাচ্ছে অপারেটররা এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক এই অবৈধ সরকার।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ