Monday, December 1, 2025

রায় ঘোষণার আগেই উল্লাস, অবৈধ বিচারযন্ত্র ও উদযাপনমুখর প্রসিকিউটরদের লজ্জাকর প্রদর্শনী

বিচারব্যবস্থা যে কোনো রাষ্ট্রের আত্মা এটি নিরপেক্ষ, সংযত এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ না হলে রাষ্ট্র তার নৈতিক ভিত্তিই হারায়। কিন্তু যখন আদালত নিজেই রাজনৈতিক ইশারায় পরিচালিত এক অবৈধ যন্ত্রে পরিণত হয়, তখন সেই আদালতের রায়ের আগের দিন প্রসিকিউটরদের উল্লাস, হাতে রায়ের কপি, আর আদালত চত্বরে বিজয় উদযাপন এসব এক ভয়াবহ সংকটের সাক্ষ্য দেয়। বিচারপ্রার্থীদের জন্য যা হওয়া উচিত ন্যায়বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল, সেটি যদি পরিণত হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মঞ্চে, তখন জনগণের আস্থা ভেঙে পড়াই স্বাভাবিক।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার আগেই প্রসিকিউটর টিমের আচরণ চরম লজ্জাজনক, অপেশাদার এবং আদালতের মর্যাদাহানিকর। রায়ের কপি হাতে নিয়ে তারা উল্লাস করে ছবি তুলছে, কেউ হাসিমুখে হাত নাড়িয়ে বিজয়ের মতো প্রদর্শনী করছে, কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিচ্ছে এ যেন বিচার নয়, একপক্ষীয় উৎসব। তাদের আচরণ থেকেই স্পষ্ট যে রায়ের ব্যাপারে তাদের মনে কোনো সংশয় বা অনিশ্চয়তা ছিল না। যে রায় জনগণের সামনে এখনো ঘোষণা হয়নি, সেটি যদি আগে থেকেই নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠী উদযাপন করতে পারে, তাহলে ভরসা মানুষ রাখবে কোথায়?

অবৈধ সরকারের সমর্থকরাও রায়ের আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনন্দ-উল্লাসে ভরে দেয় দেয়াল। কেউ কেউ আগেভাগেই “শাস্তি নিশ্চিত” ঘোষণা দিয়ে আনন্দে আত্মহারা। এই অস্বাভাবিক আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয় কোথায়? আদালতের ভেতর থেকে, নাকি সেই অদৃশ্য রাজনৈতিক নির্দেশনা থেকে যার ছায়া পুরো বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর পড়েছে? জনগণের মনে প্রশ্ন জাগে, বিচার কি আদালতের টেবিলে হয়েছে, নাকি রাজনৈতিক কার্যালয়ের অন্ধকার ঘরে? কারণ আদালত যদি স্বাধীন হতো, তবে রায় ঘোষণার আগে কোনো পক্ষ বিশেষত প্রসিকিউটরদের উল্লাস করার কোনো সুযোগই থাকত না।

এই উল্লাসমূলক প্রদর্শনী শুধু একটি আদালতের সুনামকেই নয়, পুরো বিচারপ্রতিষ্ঠানকেই কলুষিত করেছে। আদালতের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে উদযাপন করা মানে বিচারপ্রক্রিয়াকে উপহাস করা। এর অর্থ দাঁড়ায় বিচার আর নিরপেক্ষ নয়; এটি পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের হাতিয়ারে। যখন আদালত রাজনৈতিক খেলায় ব্যবহৃত হয়, তখন ন্যায়বিচারের ধারণাই ভেঙে পড়ে। মানুষের মনে জন্ম নেয় অবিশ্বাস, ক্ষোভ, আর ভয়ের অনুভূতি। কারণ এই ধরনের বিচার যে আজ একজনের ওপর প্রয়োগ হচ্ছে, কাল তা অন্য কারও ওপর হতে পারে আবার ক্ষমতার হাতবদলে একই অস্ত্র ঘুরে আসতে পারে যারা আজ উল্লাস করছে তাদের দিকেই।

বিচারব্যবস্থার শক্তি তার রায়ের ভাষায় নয়, বরং তার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতায়। কিন্তু রায় ঘোষণার আগে রায়ের কপি ফাঁস হওয়া, প্রসিকিউটরদের আত্মতুষ্টি, সমর্থকদের আগাম আনন্দ এসবই প্রমাণ করে বিচার শুদ্ধতার পথ থেকে বহু দূরে সরে গেছে। আদালতের ভেতরে প্রমাণ, যুক্তি ও আইন দিয়ে যে লড়াই হওয়ার কথা, তা এখানে অনুপস্থিত বরং পুরো প্রক্রিয়া যেন আগে থেকেই নির্ধারিত একটি স্ক্রিপ্টের অনুসরণ করছে।

এই কাল্পনিক ঘটনাপ্রবাহ রাষ্ট্রের সামনে সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা বিচারব্যবস্থা একবার রাজনৈতিকীকৃত হয়ে গেলে আর ফিরে আসা কঠিন। জনগণ যখন বিশ্বাস হারায়, আইন তার শক্তি হারায়, আর আদালত হয়ে ওঠে ক্ষমতার যন্ত্র তখন ন্যায়বিচার নয়, প্রতিহিংসাই রাষ্ট্রের ভাষা হয়ে দাঁড়ায়। আর যে রাষ্ট্র প্রতিহিংসায় পরিচালিত হয়, তার পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

এ কারণেই প্রসিকিউটরদের এই উল্লাস, রায়ের আগাম ফাঁস, এবং অবৈধ সরকারের সমর্থকদের আগাম আনন্দ এসবই বিচারব্যবস্থার প্রতি সবচেয়ে বড় আঘাত। এটি শুধু একটি মামলার প্রশ্ন নয় এটি রাষ্ট্রের নৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগের সংকেত। আদালত যখন ন্যায় নয়, ক্ষমতার জয়গান গায়—তখন সেই আদালত আর জনগণের নয়, ক্ষমতাসীনদের হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু থাকে না।

বিচারব্যবস্থা যে কোনো রাষ্ট্রের আত্মা এটি নিরপেক্ষ, সংযত এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ না হলে রাষ্ট্র তার নৈতিক ভিত্তিই হারায়। কিন্তু যখন আদালত নিজেই রাজনৈতিক ইশারায় পরিচালিত এক অবৈধ যন্ত্রে পরিণত হয়, তখন সেই আদালতের রায়ের আগের দিন প্রসিকিউটরদের উল্লাস, হাতে রায়ের কপি, আর আদালত চত্বরে বিজয় উদযাপন এসব এক ভয়াবহ সংকটের সাক্ষ্য দেয়। বিচারপ্রার্থীদের জন্য যা হওয়া উচিত ন্যায়বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল, সেটি যদি পরিণত হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মঞ্চে, তখন জনগণের আস্থা ভেঙে পড়াই স্বাভাবিক।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার আগেই প্রসিকিউটর টিমের আচরণ চরম লজ্জাজনক, অপেশাদার এবং আদালতের মর্যাদাহানিকর। রায়ের কপি হাতে নিয়ে তারা উল্লাস করে ছবি তুলছে, কেউ হাসিমুখে হাত নাড়িয়ে বিজয়ের মতো প্রদর্শনী করছে, কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিচ্ছে এ যেন বিচার নয়, একপক্ষীয় উৎসব। তাদের আচরণ থেকেই স্পষ্ট যে রায়ের ব্যাপারে তাদের মনে কোনো সংশয় বা অনিশ্চয়তা ছিল না। যে রায় জনগণের সামনে এখনো ঘোষণা হয়নি, সেটি যদি আগে থেকেই নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠী উদযাপন করতে পারে, তাহলে ভরসা মানুষ রাখবে কোথায়?

অবৈধ সরকারের সমর্থকরাও রায়ের আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনন্দ-উল্লাসে ভরে দেয় দেয়াল। কেউ কেউ আগেভাগেই “শাস্তি নিশ্চিত” ঘোষণা দিয়ে আনন্দে আত্মহারা। এই অস্বাভাবিক আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয় কোথায়? আদালতের ভেতর থেকে, নাকি সেই অদৃশ্য রাজনৈতিক নির্দেশনা থেকে যার ছায়া পুরো বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর পড়েছে? জনগণের মনে প্রশ্ন জাগে, বিচার কি আদালতের টেবিলে হয়েছে, নাকি রাজনৈতিক কার্যালয়ের অন্ধকার ঘরে? কারণ আদালত যদি স্বাধীন হতো, তবে রায় ঘোষণার আগে কোনো পক্ষ বিশেষত প্রসিকিউটরদের উল্লাস করার কোনো সুযোগই থাকত না।

এই উল্লাসমূলক প্রদর্শনী শুধু একটি আদালতের সুনামকেই নয়, পুরো বিচারপ্রতিষ্ঠানকেই কলুষিত করেছে। আদালতের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে উদযাপন করা মানে বিচারপ্রক্রিয়াকে উপহাস করা। এর অর্থ দাঁড়ায় বিচার আর নিরপেক্ষ নয়; এটি পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের হাতিয়ারে। যখন আদালত রাজনৈতিক খেলায় ব্যবহৃত হয়, তখন ন্যায়বিচারের ধারণাই ভেঙে পড়ে। মানুষের মনে জন্ম নেয় অবিশ্বাস, ক্ষোভ, আর ভয়ের অনুভূতি। কারণ এই ধরনের বিচার যে আজ একজনের ওপর প্রয়োগ হচ্ছে, কাল তা অন্য কারও ওপর হতে পারে আবার ক্ষমতার হাতবদলে একই অস্ত্র ঘুরে আসতে পারে যারা আজ উল্লাস করছে তাদের দিকেই।

বিচারব্যবস্থার শক্তি তার রায়ের ভাষায় নয়, বরং তার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতায়। কিন্তু রায় ঘোষণার আগে রায়ের কপি ফাঁস হওয়া, প্রসিকিউটরদের আত্মতুষ্টি, সমর্থকদের আগাম আনন্দ এসবই প্রমাণ করে বিচার শুদ্ধতার পথ থেকে বহু দূরে সরে গেছে। আদালতের ভেতরে প্রমাণ, যুক্তি ও আইন দিয়ে যে লড়াই হওয়ার কথা, তা এখানে অনুপস্থিত বরং পুরো প্রক্রিয়া যেন আগে থেকেই নির্ধারিত একটি স্ক্রিপ্টের অনুসরণ করছে।

এই কাল্পনিক ঘটনাপ্রবাহ রাষ্ট্রের সামনে সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা বিচারব্যবস্থা একবার রাজনৈতিকীকৃত হয়ে গেলে আর ফিরে আসা কঠিন। জনগণ যখন বিশ্বাস হারায়, আইন তার শক্তি হারায়, আর আদালত হয়ে ওঠে ক্ষমতার যন্ত্র তখন ন্যায়বিচার নয়, প্রতিহিংসাই রাষ্ট্রের ভাষা হয়ে দাঁড়ায়। আর যে রাষ্ট্র প্রতিহিংসায় পরিচালিত হয়, তার পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

এ কারণেই প্রসিকিউটরদের এই উল্লাস, রায়ের আগাম ফাঁস, এবং অবৈধ সরকারের সমর্থকদের আগাম আনন্দ এসবই বিচারব্যবস্থার প্রতি সবচেয়ে বড় আঘাত। এটি শুধু একটি মামলার প্রশ্ন নয় এটি রাষ্ট্রের নৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগের সংকেত। আদালত যখন ন্যায় নয়, ক্ষমতার জয়গান গায়—তখন সেই আদালত আর জনগণের নয়, ক্ষমতাসীনদের হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু থাকে না।

আরো পড়ুন

সর্বশেষ